স্ত্রী খুনের পর শাশুড়িকে নিয়ে ভাগল জামাই॥ তোলপাড়

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ৮ মে ॥ পরকীয়ার টানে নিজ মেয়েকে হত্যার পর জামাইর হাত ধরে পালিয়ে যাওয়া সেই শাশুড়ি এখন টক অব দ্য উপজেলায় পরিণত হয়েছে। খবরটি প্রকাশ হওয়ার পর সর্বত্র সমালোচনার ঝড় বইছে। জানা গেছে, অতি সম্প্রতি মায়ের সঙ্গে জামাইর আপত্তিকর দৃশ্য দেখে ফেলার পর মেয়ে মালাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে দেয় মা নার্গিস বেগম (৪২)। একপর্যায়ে স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে মালাকে (২২) বরিশাল শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার মালা মারা যায়। এ ঘটনার পর মালার মা নার্গিস বেগম ও মালার জামাই মামুন (৩৫) হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে মালার চাচা হেলাল হাওলাদার হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ বাউফলের মদনপুরা গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসেন এবং ওই দিন রাতেই তাকে পারিবারিক গোরস্তানে দাফন করেন। বাউফল উপজেলার পার্শ্ববর্তী গলাচিপা উপজেলা কলাগাছিয়া গ্রামের কাদের ঢালির ছেলে মামুনের সঙ্গে ৫ বছর আগে মালার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামীর সঙ্গেই মালা থাকত। সম্প্রতি মালার বাবা জাহাঙ্গীর হাওলাদার মারা যাওয়ার পর মালা ও তার স্বামী মামুনকে নিয়ে বাউফলের মদনপুরা গ্রামে তার মায়ের কাছে চলে আসেন। এই সুযোগে শাশুড়ি-জামাই পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এ ব্যাপারে বাউফল থানার ওসি মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, পরকীয়ার কারণে এ ঘটনাটি ঘটেছে। তবে হত্যার উদ্দেশ্যে মালাকে বিষ সেবন করানো হয়েছে কিনা তা ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা রিপোর্ট হাতে পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।