ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপিত মানবতা ও সম্প্রীতির মর্মবাণীতে

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ৯ মে ২০১৮

রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপিত মানবতা ও সম্প্রীতির মর্মবাণীতে

মনোয়ার হোসেন ॥ আকাশভরা সূর্যতারা কিংবা বিশ্বভরা প্রাণের মতোই আপন সৃষ্টির আলোয় উজ্জ্বল সেই বিশ্বকবি। গানের সুরে, কবিতার পঙ্ক্তিমালায়, মানবিক ভাবনায় অথবা স্বদেশ চেতনায় হয়ে তিনি বাঙালীর নিত্যসহচর। সেই সুবাদে মানবিক দর্শনের আলোকরেখায় ঠাঁই করে নিয়েছেন বাঙালীর মননে। সংকটে-সংগ্রামে, আনন্দ-ভালবাসায় হয়েছেন অনুপ্রেরণার সঙ্গী। সেই কৃতজ্ঞতার বন্ধনে প্রাণের উচ্ছ্বাসে মঙ্গলবার পঁচিশে বৈশাখ উদ্্যাপিত হলো কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৭তম জন্মজয়ন্তী। ধর্মান্ধতা ও উগ্রপন্থার আস্ফালনে মানবতার সংকটে সারাবিশ্ব যখন প্রকম্পিত সেই দুঃসময়ে জন্মদিনে আরও বেশি প্রাসঙ্গিকতায় সামনে এলেন রবীন্দ্রনাথ। ভালবাসার বন্ধনে সহজাতভাবেই রবীন্দ্র অনুরাগীদের মনে গুঞ্জরিত হয়েছেÑ আজি এ প্রভাতে রবির কর/কেমনে পশিল প্রাণের পর/কেমনে পশিল গুহার আঁধারে প্রভাতপাখির গান...। সেই প্রেরণায় অমানবিকতার বিরুদ্ধে উচ্চারিত হয়েছে তাঁরই বাণীÑ অন্তর মম বিকশিত করো অন্তরতর হে...। মানবতা ও সম্প্রীতির মর্মবাণীকে ধারণ করে সাড়ম্বরে উদ্্যাপিত হলো রবীন্দ্রজয়ন্তী। হৃদয়ের গহীন থেকে উৎসারিত শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করা হয় কবিগুরুকে। দেশব্যাপী নানা আনুষ্ঠানিকতায় বাঙালীর চিন্তা-মননের সঙ্গী এবং শিল্প-সংস্কৃতির অগ্রদূত কবিকে জানানো হলো বন্দনা। জন্মদিনে কবি বন্দনার পাশাপাশি ছিল তাঁর দেখানো পথ অনুসরণ করে হিংসা-বিদ্বেষ দূরে ঠেলে সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের পথে চলার প্রত্যয় গ্রহণ। নাগরিক কবি রবীন্দ্রনাথের মননকে গ্রামীণ জীবনের প্রতি আলোড়িত করেছিল এই বাংলার প্রকৃতি। প্রান্তিক মানুষের জীবনচিত্র উপলব্ধির পাশাপাশি নিসর্গের রূপে মুগ্ধ হয়েছিলেন এদেশের শিলাইদহ, শাহজাদপুর ও পতিসর কাটিয়ে দেয়া জীবন থেকে। কবিগুরুর স্মৃতিধন্য কুষ্টিয়ার শিলাইদহে এবার জাতীয়ভাবে উদ্্যাপিত হয়েছে তাঁর জন্মদিন। রবি ঠাকুরের জন্মজয়ন্তীর এ আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। স্মারক বক্তব্য রাখেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আবুল আহসান চৌধুরী। সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। ছিল নৃত্য-গীতে সাজানো সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, রবীন্দ্রনাথ ও তার সংস্কৃতি বাংলাদেশের মানুষ তথা বিশ্বের প্রতিটি বাঙালীর মজ্জায় মিশে আছে। রবীন্দ্রনাথের গান আজ ভারত ও বাংলাদশের জাতীয় সঙ্গীত। শ্রীলঙ্কার জাতীয় সঙ্গীতও রবীন্দ্রনাথের সুরে রচিত। এ থেকেই বোঝা যায় এই উপমহাদেশের মানুষের ওপর রবীন্দ্রনাথের প্রভাব কতটা প্রবল। তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ আন্তর্জাতিকতাবাদ ও জাতীয়বাদের এক দারুণ সমন্বয় করেছিলেন। এছাড়া কবির স্মৃতিমাখা নওগাঁর পতিসর, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ও খুলনার দক্ষিণডিহিতে নানা আয়োজন-আনুষ্ঠানিকতায় কবির জন্মদিন উদ্্যাপনের তথ্য জানিয়েছেন স্ব স্ব জেলার জনকণ্ঠ প্রতিনিধিবৃন্দ। বিশ্ব কবির জন্মদিনের সকালে পতিসরের কাচারী বাড়ির দেবেন্দ্র মঞ্চে সপ্তাহব্যাপী রবীন্দ্র মেলার সূচনা হয়। এ মেলা উদ্বোধন করেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী মুহাম্মদ ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক। নওগাঁর জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমানের সভাপতিতত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ডেপুটি স্পীকার এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। নওগাঁবাসীর দাবি পতিসরে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে তিনি আগ্রহী হবেন বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। তিনি আরও বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সোনার বাংলা নির্মাণের যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেই একই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন। বর্তমানে জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা সেই স্বপ্নের বাস্তবে রূপদান করছেন। রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে খুলনার দক্ষিণডিহিতে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন হয় মঙ্গলবার। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক। তিন দিনের এ আয়োজনে প্রতিদিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক পরিবেশনার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে লোকমেলা। এদিকে কবিগুরুর অসাম্প্রদায়িক চেতনার চেতনা সর্বস্তরে ছড়িয়ে দেয়ার প্রত্যয়ে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দিনাজপুরেও বর্ণিল আয়োজনে উদ্যাপিত হয়েছে রবীন্দ্রজয়ন্তী। মঙ্গলবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আলোচনাসভা, সঙ্গীতানুষ্ঠান ও আবৃত্তির প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দিনাজপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ। এদিকে পঁচিশে বৈশাখ কবির জন্মদিনে সকাল থেকেই সরব ছিল রাজধানীর সংস্কৃতি ভুবন। রবীন্দ্রজয়ন্তীর রকমারি আয়োজনে সজীব হয়েছে কংক্রিটের শহর ঢাকা। নৃত্য-গীত, পাঠ, কবিতা আবৃত্তি, মেলাসহ বহুমাত্রিক আনুষ্ঠানিকতায় প্রকাশিত হয়েছে কবিগুরুর প্রতি অনুরাগ। বিশিষ্টজনদের আলোচায় উঠে এসেছে বাঙালীর জীবন ও মননের গড়নের রবীন্দ্র সৃষ্টির অনিবার্যতার কথা। এসব আয়োজনে গানের সুরে, কবিতার ছন্দে, নৃত্যের মুদ্রা কিংবা বক্তার কথায় নির্মল আনন্দ উপভোগের পাশাপাশি প্রাণের কবির প্রতি হৃদয় উজাড় করা শ্রদ্ধা ও ভালবাসা জানিয়েছেন উপস্থিত ররীন্দ্র অনুরাগী দর্শক-শ্রোতারা। কবির জন্মদিন উদ্্যাপনে বহুমাত্রিক পরিবেশনায় সজ্জিত বৈচিত্র্যময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ছায়ানট, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, চ্যানেল আইসহ বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান। জন্মদিনের একদিন আগে সোমবার রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপনের আয়োজন করে বাংলা একাডেমি। বৃহস্পতিবার থেকে শাহবাগের সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারে শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে শুরু হবে তিন দিনের জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত উৎসব। ৩০তম বারের মতো এ উৎসবের আয়োজন করেছে জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থা। এছাড়া কবির জন্মদিনে দৈনিক পত্রিকাগুলো প্রকাশ করেছে বিশেষ ক্রোড়পত্র। সরকারী-বেসরকারী চ্যানেলগুলো প্রচার করেছে রবীন্দ্র সৃষ্টিস্নাত গান-কবিতা ও নাটকে সজ্জিত অনুষ্ঠানমালা। পূর্বাচলে রবীন্দ্রনাথ ॥ রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় সজ্জিত অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বাংলাদেশ তথা তৎকালীন পূর্ববঙ্গে কবিগুরু অবস্থানকালে তার রচিত সম্ভারের কিয়দংশ নিয়ে ‘পূর্বাচলে রবীন্দ্রনাথ’ শিরোনামে এ অনুষ্ঠান হয় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তন। এতে প্রধান আলোচক ছিলেন শিক্ষাবিদ ড. হায়াৎ মামুদ। সভাপতিত্ব করেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। আলোচনা শেষে ছিল সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এ পর্বের শুরুতেই সুরের ধারার শিল্পীরা সম্মেলক কণ্ঠে গেয়ে শোনান ‘আলো আমার আলো ওগো আলোয় ভুবন ভরা’ গানটি। সম্মেলক কণ্ঠে সুরের ধারার শিল্পীরা আরও গেয়ে শোনান ‘সব নিতে চাই’ ও ‘অন্তর মম বিকশিত কর’। তামান্না রহমানের পরিচালনায় শিল্পকলা একাডেমির নৃত্যশিল্পীরা ‘হৃদয় আমার নাচেরে আজিকে’, ‘আমি চিনি গো চিনি’ ও ‘বিশ^বীণা রবে বিশ^জন মোহিছে’ গানের সঙ্গে সমবেত নৃত্য পরিবেশন করেন। ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় এককভাবে পাঠ করেন ‘নববর্ষ’ এবং তামান্না তিথির সঙ্গে যৌথভাবে আবৃত্তি করেন ‘দুই পাখী’ কবিতা। একক কণ্ঠে স্বাতী বিশ্বাস গেয়ে শোনান ‘শুধু যাওয়া আসা শুধু ¯্রােতে ভাসা’ ও ‘পূর্বাচলের পানে তাকাই’, নীলোৎপল সাধ্য ‘ঝরো ঝরো বরিষে বারিধারা’, আজিজুর রহমান তুহিন ‘খাঁচার পাখী ছিল সোনার খাঁচাটিতে’, মহাদেব ঘোষ ‘তুমি সন্ধ্যার মেঘমালা’, সালমা আকবর ‘হৃদয়ের একূল ওকূল’, আদ্রিজা ‘ওলো সই ওলো সই’, শিউলী আশীষ সরকার ‘যদি বারণ করো তবে’, জলি রহমান ‘আমি কেবলই স্বপন’, বুলবুল ইসলাম ‘আজি ঝড়ের রাতে’ ও ছায়া কর্মকারের কণ্ঠে গীত হয় ‘ভালবেসে সখী নিভৃতে যতনে’। ছায়ানটের রবীন্দ্র উৎসব : রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে মঙ্গল ও বুধবার দুই দিনব্যাপী রবীন্দ্র উৎসবের আয়োজন করেছে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট। ধানম-ির ছায়ানট সংস্কৃতি ভবন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সান্ধ্যকালীন এ আয়োজন সাজানো হয়েছে গান, পাঠ, আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশনায়। পাশাপাশি আয়োজনে যুক্ত করা হয়েছে অরুণাভ লাহিড়ি রচিত ‘মহাবিশ্বে মহাকাশে’ গীতি আলেখ্য এবং রবীন্দ্র-ভাবনায় ভ্রষ্টলগ্ন নিয়ে সন্দা খাতুনের ভূমিকা ও গ্রন্থনায় একটি গীতকাব্য পরিবেশনা। মঙ্গলবার উৎসবের সূচনা দিনে স্বাগত কথনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা বলেন, রবীন্দ্র জন্মশতবর্ষের অনুষ্ঠান উদযাপনের মধ্য দিয়ে ছায়ানটের জন্ম। এরপর স্বাধিকার আন্দোলন মুক্তিযুদ্ধে রবীন্দ্রনাথের স্বদেশ প্রেমের গান আমাদের প্রেরণা যুগিয়েছে। আজও অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠনের লক্ষ্যে রবীন্দ্র রচনা আমাদের আদর্শ হিসেবে পথ দেখায়। প্রথম দিনের আকর্ষণ ছিল রবীন্দ্রগীতি আলেখ্য ‘মহাবিশে^ মহাকাশে’। অনুষ্ঠানে শিল্পীরা গীতি নৃত্যে পরিবেশন করে ‘বিপুল তরঙ্গ রে’ ও ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’। সম্মেলক কণ্ঠে শিল্পীরা গেয়ে শোানান ‘আনন্দ ধারা বহিছে ভুবনে’, ‘প্রথম আদি তব শক্তি’, ‘প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে’. ‘আনন্দধ্বনি জাগাও গগনে’, ‘বাঁধন ছেঁড়ার সাধন হবে’ ও ‘আপন হতে বাহির হয়ে’। অনুষ্ঠানে একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন সেমন্তী মঞ্জরী, সাজেদ আকবর, সালমা আকবর, মহাদেব ঘোষ, মহিউজ্জামান চৌধুরী ময়না, লাইসা আহমদ লিসা, ফারজানা আক্তার পপি, সত্যম কুমার দেবনাথ, সিফায়েত উল্লাহ, ডাঃ এ বি এম খুরশীদ আলম, রোকাইয়া হাসিনা, মিতা হক, আসিফ আরমান, সুস্মিতা আহমেদ বর্ণা, মাকছুরা আক্তার, আব্দুল ওয়াদুদ, ও সুমান্ত রায়। আবৃত্তি করেন মিল্পী জয়ন্ত রায়, সুমনা বিশ^াস ও কৃষ্টি হেফাজ। আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় শুরু হবে দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠান। চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে রবীন্দ্র মেলা ॥ বিগত এক যুগের ধারাবাহিকতায় এবারও রবীন্দ্রজয়ন্তীতে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে রবীন্দ্র মেলা। এবারের রবীন্দ্র মেলায় আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে রবীন্দ্র গবেষক ড. আতিউর রহমান। রবীন্দ্র মেলায় তার হাতে আজীবন সম্মাননার ৫০ হাজার টাকার চেক, ক্রেস্ট এবং উত্তরীয় তুলে দেন নাট্যজন আতাউর রহমান, চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, পরিচালক ও বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ এবং মেলার পৃষ্ঠপোষক ইগলুর প্রধান নির্বাহী জি এম কামরুল হাসান। মেলায় রেজওয়ানা চৌধুরীর রবীন্দ্র সঙ্গীতের সিডি ‘বনে এমন ফুল ফুটেছে’, শিমু দে’র ‘সাগর পাড়ের সুর’ এবং কোনালের রবীন্দ্র সঙ্গীতের ভিডিও আর্ট ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে’র মোড়ক উন্মোচিত হয়। মেলা মঞ্চে পরিবেশিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের অংশগ্রহণে রবীন্দ্র নৃত্যনাট্য, কবিতা থেকে আবৃত্তি, রবীন্দ্র রচনাবলী থেকে পাঠ। সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী ইফফাত আরা দেওয়ান, সুরের ধারার শিল্পীরাসহ চ্যানেল আইর বিভিন্ন রিয়েলিটি শোয়ের শিল্পীরা। আরো ছিল চিত্রশিল্পী আবুল মান্নানের নেতৃত্বে শিশুদের রবীন্দ্র বিষয়ক ছবি আঁকা পর্ব। মেলার স্টলগুলোতে ছিল রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে লিখিত গ্রন্থ, রবীন্দ্র সঙ্গীতের অডিও ভিডিও গানের স্টল ও রেকর্ড কাভার প্রদশর্নী, চলচ্চিত্রের স্টল ইত্যাদি। ছিল বাংলার ঐতিহ্যসমৃদ্ধ রকমারি পণ্য সামগ্রীর স্টল।
×