স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ যে দলটি অন্যদের চেয়ে সবচেয়ে বেশি সময় (ছয় মাস) ধরে নিবিড় অনুশীলন করল, সেই দলটিই কি না ছিটকে পড়ল কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই? দলটির নাম সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড। ‘ওয়ালটন অ-১৮ ফুটবল টুর্নামেন্ট’-এর ফাইনালে তো দূরে থাকুক, সেমিতেই উঠল পারেনি তারা। সোমবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে তারা অপ্রত্যাশিতভাবে ০-২ গোলে হেরে যায় আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের কাছে। যদিও খেলার প্রথমার্ধের স্কোরলাইন ছিল ০-০। আজ একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত চতুর্থ ও শেষ কোয়ার্টারে ঢাকা আবাহনী বনাম শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাব লিমিটেডের মধ্যে বিজয়ীর সঙ্গে সেমিতে মোকাবেলা করবে আরামবাগ। গোল হওয়ার আগ পর্যন্ত উভয় দলই খেলে সমানতালে। দু’দলই খেলে আক্রমণাত্মক এবং গতিশীল ফুটবল। প্রথমার্ধে কোন দলই গোলের দেখা পায়নি। তবে বিরতির পর বদলে যায় দৃশ্যপট। ৫৩ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় আরামবাগ। কর্নার পায় তারা। মিডফিল্ডার আজফর আকিব জাবেদের কর্নারের বল লাফিয়ে উঠে মাথা ছুঁইয়ে সাইফের জালে পাঠিয়ে দলকে আনন্দের উপলক্ষে এনে দেন ফরোয়ার্ড শাকিল আহমেদ (১-০)।
গোল খেয়ে সেটা শোধ করতে সাইফ শুধু আক্রমণের মাত্রাই বাড়িয়ে দেয়নি। বাড়িয়ে দেয় ফাউল করে খেলাও। ৬০ মিনিটেই তেমনই একটি অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার জন্ম দেয় তারা। এবং তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তারাই। সাইফের মিডফিল্ডার ফয়সাল আহমেদ ফাহিম প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের সঙ্গে মারামারি করলে তাকে লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠছাড়া করে রেফারি এবিএম সিরাজ। ফলে বাকি সময়টা দশ জন নিয়েই খেলে তারা। তবে আরামবাগকে ব্যবধান বাড়াতে দিচ্ছিল না তারা। অবশেষে ইনজুরি টাইমে (৯০+১) সাইফের রক্ষণদুর্গ ভেঙ্গে ফেলে আরামবাগ। আদায় করে নেয় আরেকটি গোল। আরামবাগের ফরোয়ার্ড ফাহিম উদ্দিন সোহেল নিপুণভাবে অফসাইডের ফাঁদ এড়িয়ে বল নিয়ে ক্ষিপ্রগতিতে সাইফের পোস্টে ঢুকে পড়ে দুর্দান্ত ফিনিশ করেন (২-০)। গোলরক্ষক শান্ত কুমার রায় এর আগে তিন-চারটি বল নিশ্চিতভাবে বাঁচিয়ে দিলেও এ যাত্রা আর পারেননি। গোল খেয়ে ম্যাচে ফেরার আর সময় পাইনি সাইফ। ম্যাচ জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে মতিঝিলপাড়ার ক্লাব আরামবাগ।