ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নাজনীন বেগম

রবীন্দ্রনাথের ইউরোপ যাত্রা

প্রকাশিত: ০৪:৪৭, ৮ মে ২০১৮

রবীন্দ্রনাথের ইউরোপ যাত্রা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দেশ-বিদেশে ভ্রমণ শুরু হয় অতি বাল্যকাল থেকেই। উনিশ শতকের সমৃদ্ধ যুগে জন্ম নেয়া কবি যে বিরাট ঐতিহ্যের স্বর্ণঅধ্যায়ে শৈশব, কৈশোর অতিক্রম করে যৌবনে পা রাখেন সেখানে তাঁর মানস চেতনা ও অভিজ্ঞতালব্ধ অভিব্যক্তি সুদূরপ্রসারী এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলবে সেটাই স্বাভাবিক। যুগোত্তীর্ণ সৃষ্টিশীল ক্ষমতা কবিকে সমকালের ঐশ্বর্য যেমন আত্মস্থ করায়, সঙ্গে ঐতিহ্যিক বোধও তাঁকে সার্বক্ষণিক অনুপ্রাণিত করে। একইভাবে অল্প বয়সে দেশ-বিদেশ ভ্রমণ তাঁর সৃজনপ্রতিভাকে নানা দিক থেকে পরিপূর্ণও করে। পিতার সঙ্গে কবির হিমালয় যাত্রা পথে বোলপুরে কিছুদিন থাকা সব মিলিয়ে ভ্রমণপিয়াসী রবীন্দ্রনাথের জীবনে এক নব অধ্যায়ের দ্বার উন্মোচন হলো। যখন তাঁর বয়স মাত্র ১১ বছর। জীবন স্মৃতিতে এর মুগ্ধতা আছে, অনেক স্মৃতিচারণে তাঁকে প্রথম এই দুর্লভ অভিজ্ঞতায় আবিষ্ট হতেও দেখা যায়। সেই শুরু দেশ থেকে দেশান্তরে ঘুরে বেড়ানো। সবচেয়ে অবিস্মরণীয় ঘটনাটির আখ্যান শুরু হলো মাত্র ১৭ বছর বয়সে। সেও এক শৈশব-কৈশোরের শিক্ষা জীবনের নানা অভিঘাতের পালাক্রম। জীবন স্মৃতিতে আছে অতি অল্প বয়সে নিজের অদম্য তাগিদে কিভাবে বিদ্যালয়ের গ-ি স্পর্শ করা। কিন্তু এত বিশাল সৃজন-ক্ষমতা নিয়ে যার পৃথিবীতে আগমন তাঁকে কি কোন সীমাবদ্ধ আলয়ে আটকে রাখা সম্ভব। কবির ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। ধরাবাধা নিয়মের গতি আর বিদ্যার্জনের নামে অতি কট্টরভাবে জ্ঞানকে ভেতরে প্রবেশ করানো যা তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ব্যক্তিক অনুভব কখনও মানতে পারেনি। ১০ থেকে ৪টা নির্বাসিত আন্দামান দ্বীপের শৃঙ্খল বেড়ি আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি তাঁর বিরূপ মনোবৃত্তি তৈরি করে। ফলে পিতা দেবেন্দ্রনাথ কনিষ্ঠ পুত্রকে একেবারে সাত সমুদ্র তের নদী পার করে বিলেতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। যাতে ইউরোপীয় শিক্ষা-অর্জন করে রবি আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে পারদর্শী হতে পারেন। এর আগে দ্বিতীয় সন্তান সত্যন্দ্রনাথ ঠাকুর বিলেতের ডিগ্রী অর্জন করে ভারতের প্রথম আইসিএস অফিসার হওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন। সেই অভিজ্ঞতা মহর্ষি কবির ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করার তাগিদ অনুভব করলেন। কিন্তু বিলেতে যাওয়ার আগে সেই সভ্যতাকে কিছুটা আয়ত্তে আনার অভিপ্রায় থেকে তাকে পাঠানো হলো সত্যন্দ্রনাথের কর্মস্থল বোম্বেতে। কিন্তু যিনি প্রতিভাদীপ্ত মননের বিশাল ঐশ্বর্য নিয়ে জীবনভর সদর্পে বিচরণ করবেন তাঁকে দিয়ে যে প্রচলিত কোন ব্যবস্থাই সফল হবে না এটাই তো স্বাভাবিক। ফলে বোম্বেতে যা ঘটেছিল তা কবির ‘ছেলেবেলায়’ অত্যন্ত শৈল্পিক মহিমায় বর্ণিত আছে। স্মৃতিবিজড়িত এই লেখায় উদীয়মান কিশোরের প্রথম ভাল লাগাই শুধু নয় আগত যৌবনের উচ্ছ্বাসে ভরা কবির আত্মকথনমূলক লেখায় স্পষ্ট হয়ে আছে মনের গভীরে দাগ কাটা অনেক ঘটনা। প্রথম দেখা ভিন্ন দেশী নারী আন্না তড়খড়ের সঙ্গে আলাপচারিতায় মুগ্ধ রবীন্দ্রনাথের আবিষ্ট হওয়ার অভিব্যক্তিও আমরা জানতে পারি। একইভাবে আন্নাও নিবিষ্ট আর অভিভূত কবির সান্নিধ্যে। তাঁর কাছে একটি নাম চাইলে তিনি ‘নলিনী’ হিসেবে আন্নাকে ভাবতে শুরু করলেন। কবির উক্তিই দেয়া যাকÑ ‘কবির কাছ থেকে একটা ডাক নাম চাইলেন,Ñ দিলেম যুগিয়ে- সেটা ভাল লাগল তাঁর কানে। ইচ্ছে করেছিলেম সেই নামটি আমার কবিতার ছন্দে জড়িয়ে দিতে বেঁধে দিলুম সেটাকে কাব্যের গাঁথুনিতে।’ এটা কারও অজানা নয় নলিনীকে নিয়ে তাঁর কবিতা আছে। শুধু তাই নয় স্ত্রী ভবতারিণীর নামও রাখলেন প্রায়ই সমার্থক শব্দে মৃণালিনী। এরপর সুদূর বিলেত যাত্রা। মেজ-বৌঠান ইতোমধ্যে দুই সন্তান নিয়ে বিলেতে প্রবাসী জীবন কাটাচ্ছেন। বোম্বেতে মেজদার বাসায় থেকে আন্নার একান্ত সাহচর্যে কতখানি ইউরোপীয় কায়দা-কানুন রপ্ত করেছিলেন তা বলা মুশকিল। সেই ধরনের কোন অনুভব য়ুরোপ প্রবাসী পত্র থেকে বের হয়েও আসে না। বোম্বোর অভিজ্ঞতা নিয়ে কবি রওনা হলেন ১৮৭৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সুদূর ইউরোপে। সেখানে প্রতিদিনের ঘটনা নিয়ে লিখতে শুরু করলেন নিয়মিত চিঠি। জ্যোতিদাদাকে লেখা এসব পত্র প্রতিনিয়তই লিপিবদ্ধ হতে থাকে। তবে কবির জীবনীকার প্রভাত কুমার মনে করেন ন’দাদাকে লেখা এই চিঠিগুলোর বর্ণনা দেখে বুঝতে অসুবিধা হয় না সবই নতুন বৌঠানকেই উদ্দেশ্য করে রচনা। ২০ সেপ্টেম্বর কবি ‘পুনা’ জাহাজে করে সমুদ্র যাত্রা শুরু করলেন। প্রথম চিঠিতেই এই সমুদ্র যাত্রার যে বর্ণনা আছে তাতে অশান্ত সাগরের নিরন্তর দুর্বিপাকে পড়া ছাড়া আর কোন কাল্পনিক স্বপ্ন স্পষ্ট হয় না। নদী¯œাত আবহমান বাংলার রূপশৌর্য কবি তখনও সেভাবে প্রত্যক্ষ করেননি। তার পরও নদ-নদীর অববাহিকায় শান্ত-স্নিগ্ধ বাংলার একটা কমনীয় রূপ তো কবির সৃজন চেতনায় গেঁথে ছিল। সেভাবে সমুদ্রের প্রতিও ছিল এক ধরনের স্বাপ্নিক আবিষ্টতা। কিন্তু প্রথম সমুদ্র দর্শনে যে বিষণœ আর বিপন্নতার অনুভব তাতে কল্পনার সঙ্গে বাস্তবের এত গরমিল কবিকে হতাশ করে। কবির কথাই ধরা যাকÑ ‘দেখো সমুদ্রের উপর আমার কতটা অশ্রদ্ধা হয়েছে। কল্পনায় সমুদ্রকে যা মনে করতেম, সমুদ্রে এসে দেখি তার সঙ্গে অনেক বিষয় মেলে না। তীর থেকে সমুদ্রকে অনেক মহান বলে, মনে হয়, কিন্তু সমুদ্রের মধ্যে এলে আর ততটা মনে হয় না’। পাশাপাশি বোম্বেতে সমুদ্র দেখার অভিজ্ঞতাও রয়েছে। কিন্তু তাঁর মনে হয় দেখা এবং এর মধ্যে দিয়ে যাত্রা কোনভাবেই এক নয়। ছয়দিন পর যখন এডেনে পৌঁছানো গেল রবীন্দ্রনাথের মনে হলো চেতনার সুসংহত ভাবগুলো কেমন যেন সমুদ্র ভ্রমণে ওলোট পালট হয়ে গেছে। এডেন থেকে সুয়েজ হয়ে আলেকজেন্দ্রিয়ায় পৌঁছে নতুন জাহাজ ‘মঙ্গোলিয়া’য় উঠতে হলো। এর পরই ইউরোপীয় সভ্যতার পাদপীঠ ইতালিতে পৌঁছালেন। ইউরোপের মাটিতে পা রেখেই নতুন কোন দেশকে চেনার অভিজ্ঞতা তাকে বিমোহিত করেনি। কারণ নিবেদিত পাঠক এবং জ্ঞানপিপাসু রবীন্দ্রনাথ তাঁর মনন চর্চার বিচিত্র আঙ্গিকে অনেক কিছু রপ্ত করেছিলেন। ইতালির ব্রিন্দিস শহর দেখার সময় কবির কাছে কোন ধরনের বিশেষ দৃশ্য নজরে আসেনি। বরং অনেকটা শান্ত, কোলাহলহীন রাস্তা তাঁকে অবাকই করেছে। একেবারে সাধারণ জীবনযাত্রা, রাস্তার চারপাশে স্বল্পসংখ্যক মানুষের সমাগম, নিশ্চিন্তে, নির্ভাবনায় সময় কাটানো যাতে কারও কোন গরজ নেই কিংবা তাগিদও নেই। ধারে কাছে ফলের বাগানে তরমুজ, দুই ধরনের আঙ্গুর, বড় বড় গাছে আপেলের সারি সাজানো সঙ্গে তাদের পরিচারিকাদেরও দৃষ্টিনন্দন আপ্যায়ন। বিশেষ করে ফলফুলের ডালি নিয়ে সুন্দরী নারীদের দর্শনার্থীর নজরকাড়া সব মিলিয়ে এক মনোহর, স্নিগ্ধ পরিবেশ। কবি মুগ্ধ, বিমোহিত। আকর্ষণীয় ইতালিয়ান মেয়েদের সঙ্গে আমাদের দেশের নারীদের শারীরিক মাধুর্যের যে অনুপম সহমর্মিতা তাতে কবির অন্তর তৃপ্তি আর আনন্দে ভরে ওঠে। এরপরে ট্রেনে করে স্বপ্নের নগরী প্যারিসে যাত্রা। চার পাশে পাহাড়, নদী, সারি সারি বৃক্ষের সুশৃঙ্খল সমারোহ, কুটির, হ্রদ, শস্য ক্ষেত্রÑ সব কিছু মিলিয়ে কবি যেন কল্পনার সমুদ্রে বিহার করছেন। প্যারিসে পৌঁছে আরও অবাক বিস্ময়ে মনে হলো স্বর্গ যেন পৃথিবীতে নেমে এসেছে। অভ্রভেদী অরণ্যের মতো সুরম্য অট্টালিকা প্যারিস শহরকে শুধু জমকালোই করেনি তার চেয়েও বেশি সৌন্দর্যের সম্রাজ্ঞী হিসেবে তার বৈশিষ্ট্যকেও উদ্দীপ্ত করেছে। এত অল্প সময় মাত্র একদিন প্যারিসে যাত্রাবিরতি করে তো এমন স্বর্গপুরীকে চেনার সুযোগই হলো না। কিন্তু পরের দিনই লন্ডনে এসে মন তিক্ত বিষণœতায় ভরে গেল। তমাসাচ্ছন্ন, ধোঁয়াটে, মেঘের আনাগোনা, বর্ষণস্নাত দিন সব মিলিয়ে যেন আলো-আঁধারির লুকোচুরি খেলা। মাত্র দুই ঘণ্টা লন্ডনে অবস্থানের পর যাত্রা শুরু করাটা যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচা। সবশেষে নির্ধারিত গন্তব্য ইংল্যান্ডে আসা গেল। যে আশা আর আকাক্সক্ষা নিয়ে এই ক্ষুদ্র দ্বীপে আগমন, যেখানে জগতখ্যাত জ্ঞানী-গুণীদের চর্চাকেন্দ্র সেভাবে কোন কিছুই কবির দর্শনে এলো না। বরং অন্য রকমভাবে ইংল্যান্ডকে দেখতে হলো। নিত্যনৈমিত্তিক জীবন প্রবাহে মেয়েরা বেশভূষায় লিপ্ত, পুরুষরা কাজে কর্মে ব্যস্ত, সাংসারিক নিয়মগুলো যথারীতিতে বহমান। তবে রাজনীতি নিয়ে বিশেষ কোলাহল, উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠার যেন কোন সীমারেখা টানা চলে না। রাস্তায় হরেক রকম দোকানের সারিতে মদ, মাংস, জুতা, দরজি, খেলনার দোকান থাকলেও নতুন সভ্যতার নির্ণায়ক এই ইংল্যান্ডে বইয়ের দোকানের সংখ্যা এত অপ্রতুল যে কবিকে তা বিস্ময়ে হতবাক করে দেয়। আবশ্যিক কিছু কবিতার বই কবিকে খেলনার দোকানদারের মাধ্যমে আনিয়ে নিতে হয়েছিল। ব্যস্ততম শহর ইংল্যান্ডের সন্তানরা প্রকৃতির কোলে লালিত আদুরে পুত্র-কন্যা নয়। তাদের অনেক কষ্টে প্রতিদিনের জীবনের গতিকে নিজের শ্রমে আর তাগিদেই সচল রাখতে হয়। নদী¯œাত বাংলার উর্বর পলিমাটিতে যেমন সোনা ফলে, শ্যামল প্রকৃতি যেমন দু’হাত ভরে অকাতরে তার সন্তানদের নিরবচ্ছিন্ন বাস্তব জীবনের অনুষঙ্গ হয় এই নতুন সভ্য হওয়া দেশ ইংল্যান্ডে তেমন নৈসর্গিক মুগ্ধতা কিংবা আবহ নেই। শীতের সঙ্গে রীতিমতো লড়াই করে কঠিন জমিতে শস্য ফলাতে হয় তা যেভাবে কবিকে আহত আর বিমর্ষ করে তার বর্ণনাও এই চিঠিপত্রের প্রবন্ধে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। ইংল্যান্ডের দৈনন্দিন জীবন প্রণালী যেমন ‘য়ুরোপ প্রবাসী পত্রে’ লিপিবদ্ধ আছে পাশাপাশি উৎসব আয়োজনের বর্ণাঢ্য সমারোহে সঙ্গীত সন্ধ্যার বর্ণনাও অত্যন্ত সুললিত ভাষায় ঝঙ্কৃত হয়েছে। বিশেষ করে সান্ধ্যকালীন আসরে নৃত্যের যে অপূর্ব ছন্দোবদ্ধ, আবেগাপ্লুত আবহ তাতে নারী-পুরুষের সমান অংশীদারিত্ব কবি চিত্তকে ভিন্ন মাত্রার আনন্দে পরিপূর্ণ করে দেয়। ভাবতে থাকেন আমাদের দেশের মেয়েরা এই নতুন জাগরণ থেকে কতখানি পিছিয়ে আছে। অগণিত শ্বেতাঙ্গিনীর মধ্যে হাতেগোনা ভারতীয় শ্যামাঙ্গিনী দর্শনে কবির হৃদয়ে খুশির বন্যা বইয়ে দেয়। কবির ইংল্যান্ডের প্রবাস জীবনে শিক্ষার্জন ছাড়া আর সবাই নিয়মিত চলতে থাকে। ইংল্যান্ড থেকে লেখা চিঠির বর্ণনায় পিতা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর বুঝতে পারলেন যে উদ্দেশ্যে তিনি ছেলেকে বিদেশে পাঠান তার কিঞ্চিত মাত্রও সফল হয়নি। ফলে এক সময় মহর্ষির নির্দেশে কবি ১৯ বছর বয়সে কলকাতায় ফিরে আসতে বাধ্য হন। কবি যখন ইউরোগ ভ্রমণে বের হন তখন তাঁর বয়ঃসন্ধিকাল, তিনি উদীয়মান কিশোর কিন্তু ফিরলেন নবযৌবনের পূর্ণ আকাক্সক্ষা আর উদ্যোম নিয়ে। আর নিয়ে আসলেন ইউরোপীয় সভ্যতার নানা নির্দেশনা। যেখানে সবচেয়ে জোরালা ভূমিকা রাখে তার নারী বিষয়ক চেতনা। যে বোধ তার সৃজন আর মনন বিকাশে বিশেষ অবদান রাখে। কবির ইউরোপ ভ্রমণ তার জীবনে বিশ্বজনীনতার যে দ্বার খুলে দেয় পাশাপাশি বাংলা সাহিত্যও পায় এক ভিন্নমাত্রার শব্দ চয়নের নান্দনিক অভিগমন। প্রভাত কুমারের মতে য়ুরোপ প্রবাসী পত্রে কবি প্রথমবারের মতো সাহিত্যের আঙ্গিনায় গদ্যে কথ্য ভাষা সংযুক্ত করেন। যা রবীন্দ্রনাথের সৃজন সম্ভারের এক অনবদ্য সংযোজন। লেখক : সাংবাদিক
×