ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৪:৪২, ৮ মে ২০১৮

ঢাকার দিনরাত

ঢাকা তার ছন্দে ফিরেছে। মাঝে সপ্তাহাধিককাল ছিল অঘোষিত ছুটি অনেকেরই। সাপ্তাহিক ছুটি দু’দিন করে এ সপ্তাহ ও সপ্তাহ এবং মে দিবস, শব-ই-বরাতের ছুটির সঙ্গে বাড়তি দুদিন ছুটি কাটানো। এই লম্বা ছুটি পেয়ে অনেকেই ঢাকার বাইরে, এমনকি দেশের বাইরেও চলে যান। ফলে ঢাকা অনেকটাই ফাঁকা হয়ে পড়ে। মে মাসের ২ তারিখে গণমাধ্যমকর্মীদের অফিস খোলা ছিল। অফিসে যাওয়ার পথে রাস্তাঘাট এতটা ফাঁকা দেখলাম যে মনে হলো ঈদের ছুটিই চলছে ঢাকায়। যানজটহীন নাগরিক কোলাহলবিহীন এমন ছুটির দিনগুলো উপভোগ করেন ঢাকাবাসী। বর্ষাপ্রধান বৈশাখ প্রতিদিন বৃষ্টি। সেই সঙ্গে কখনও কখনও ঝড়। আর এখন ঝড় মানেই বজ্রপাত। ঢাকার বহু জায়গায় মেট্রো রেলের জন্য খোঁড়াখুঁড়ির কাজ চলছে। ফলে একদিকে যেমন সড়ক সরু হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে তেমনি কাদা ও পানির জন্য রাস্তায় চলাচল বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। বৃষ্টিপাতের কারণে হাঁটু পর্যন্ত পানি রাস্তায়। অলিগলির প্রতিটি রাস্তাই পানিতে সয়লাব। এ ছাড়া রাস্তার জায়গায় ম্যানহোলের ঢাকনা থাকায় ময়লা- আবর্জনা ছড়িয়ে পড়ছে। এসব কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েক ঘণ্টা পানিবন্দী থাকতে হয়েছে। পানি কমে যাওয়ার পর বের হলেও নানা দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে তাদের। রাস্তার দু’পাশে জলাবদ্ধতায় সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজটের। রাজধানীতে বৃষ্টি মানে জনদুর্ভোগ। জলাবদ্ধতার কারণে নগরবাসী সরাসরি দুষছেন দুই সিটি কর্পোরেশনকে। তারা বলছেন, বৃষ্টি মানেই রাজধানীতে এখন জলাবদ্ধতা। প্রতিদিন বৃষ্টি হলেই রাজধানীর সব রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যায় তা দেখেও সিটি কর্পোরেশনের লোকেরা নিশ্চুপ। বইয়ের ওপরে মোবাইল ঢাকার দিনরাত লেখার সময় মোবাইলে বার্তা প্রবেশের সংকেত পেলাম। মনোযোগ নষ্ট হলো। পড়ে দেখি বেঙ্গল বই-য়ে বইকেন্দ্রীক আসরের আমন্ত্রণ: কথাশিল্পী সেলিনা হোসেনের সঙ্গে তাঁর এবছর প্রকাশিত উপন্যাস ‘সাতই মার্চের বিকেল’ নিয়ে আলাপ করবেন আরেক লেখক ইমদাদুল হক মিলন। এ ধরনের আয়োজন পাঠকদের জন্যে উপকারী ও আকর্ষণীয়। মাঝে দুদিন গেছি ধানমন্ডির বেঙ্গল বইয়ে। তারুণ্যের সমাবেশ চোখে পড়ার মতো। নিচতলার ঘাসের গালিচার বড়োসড়ো প্রাঙ্গণটি মুখরিত থাকে আড্ডায়। চা-সিঙ্গাড়া কিনে খাওয়ার সুবন্দোবস্ত আছে। আর ওপরে পাঠাগার ও বিক্রয়কেন্দ্র। একটি কফিশপও আছে। সব মিলিয়ে জমজমাট ব্যাপারস্যাপার। পাঠক সারি সারি সাজানো বই থেকে যেটি খুশি তুলে নিয়ে সামনের টেবিলে বসে পড়তে পারেন। আমিও সদ্যপ্রয়াত বেলাল চৌধুরীকে লেখা গুণীজনদের চিঠির সংকলনটি হাতে নিয়ে টেবিলের দিকে এগিয়ে যাই। আগেও এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি। দেখেছি মূলত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা টেবিল দখল করে বসে আছেন। ‘দখল’ শব্দটি ইচ্ছে করেই ব্যবহার করলাম। কেননা বেশির ভাগ ছেলেমেয়েই টেবিলের ওপর বই খুলে বসলেও সেই বইয়ের খোলা পাতার ওপর কিংবা হাতে ধরে রেখেছেন মোবাইল। কখনো টেক্সট করছেন, কখনো ট্যাপ করছেন। তারা যে বুকরিডিংয়ের উছিলায় ফেসবুকিং করছেন, সেটি বুঝতে বিজ্ঞ হতে হয় না। যাহোক, তবু তারুণ্যের এই সমাবেশকে আমি ইতিবাচকভাবেই দেখতে চাই। হাতে তো বই তুলে নিচ্ছে তারা। লোকদেখানো হলেও বইয়ের পাতায় চোখ রাখতে হচ্ছে। আর চোখ রাখলে একটি-দুটি বাক্যও তাদের পড়তে হচ্ছে। এভাবে শতকরা পাঁচজনের মধ্যেও যদি আউট বইয়ের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়, তবে সেটাও মন্দ নয়। অবশ্য দুয়েকজনকে দেখেছি যারা সত্যি সত্যি বই-ই পড়তে আসছেন, ফেসবুকিং কিংবা পাশের বন্ধুটির সঙ্গে আড্ডা দিতে নয়। তবে অস্বীকার করবো না, ওপর-নিচ মিলিয়ে, এমনকি সিঁড়িতেও চলছে সেলফি তোলা। চলুক। তবু তারা আসুক। বইয়ের গন্ধ নিক আড্ডা দিতে দিতে। এক ভদ্রমহিলাকে দেখলাম, তার শিশুটিকে গল্প শোনাচ্ছেন। দৃশ্যটি সুখকর। অনুমতি নিয়েই ছবিটি তুলে ফেললাম। ছায়ানটে বিজন মিস্ত্রীর পরিবেশনা শনিবার ছায়ানট ভবনে বিজন মিস্ত্রীর গান হবে- এমন আগাম খবর পেয়ে অফিস শেষে সরাসরি সেখানে চলে যাই। দেড় দশক আগে ঘরোয়া আসরে তার গান শুনেছিলাম। ভাল লেগেছিল। তরুণ বিজনকে সেদিন সদ্য কিশোর বলেই বোধ হয়েছিল। ছায়ানটে নিজের পরিবেশনার এক ফাঁকে তিনি তার শিশুকন্যাকে ডেকে নিলেন। প্রথমে যুগল পরে একক কণ্ঠে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত পরিবেশন করলো ওই শিশুটি! দর্শক-শ্রোতারাও পছন্দ করলেন সেটা বুঝলাম করতালির ঝড় শুনে। বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী মূলত নজরুল সঙ্গীতশিল্পী। নজরুল সঙ্গীত ছাড়া উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত, পদাবলী কীর্তন পরিবেশনে অত্যন্ত সাবলীল তিনি। বরগুনার গুণী শিক্ষক যতীন মজুমদারের কাছে তার সঙ্গীতে হাতেখড়ি। এরপর ছায়ানট সঙ্গীত বিদ্যায়তন এবং মিউজিক কলেজে অধ্যয়ন করেন। ২০০৬ সালে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় শান্ত মারিয়াম থেকে নজরুল সঙ্গীতর বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। এ ছাড়া ইন্ডিয়ান হাইকমিশন, বেঙ্গল ফাউন্ডেশনে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত চর্চা করেছেন। বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের বিশেষ শ্রেণীর শিল্পী বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী। নজরুল সঙ্গীতের প্রতি একনিষ্ঠতার জন্য ২০০৯ সালে জাতীয় নজরুল একাডেমি থেকে নবীন প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পী হিসেবে পুরস্কার অর্জন করেছেন। তার একক অনুষ্ঠানে শুদ্ধসঙ্গীতই ছিল প্রধান। শেষের দিকে পরিবেশন করলেন দুটি নজরুল সঙ্গীত- আমার আপনার চেয়ে আপন যে জন এবং চেয়ো না সুনয়না আর চেয়োনা এ নয়নপানে। খুবই সাবলীল পরিবেশনা, আর ব্যতিক্রমী কণ্ঠ। তিনি যে আগামীতে বহুদূর যাবেন, তার স্বাক্ষর স্পষ্ট। বিনয়ী এই শিল্পীকে শুভেচ্ছা জানান সঙ্গীতজ্ঞ আজাদ রহমান। এটির আয়োজক ছিল ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার। বনলতা রিডিংস : পঞ্চকবির আসর মিরপুরের পশ্চিম মনিপুরের একটি শিল্পম-িত বাড়ির নাম বনলতা। বাড়িতে বসবাস করেন লেখক জুটি। তাদের আয়োজনে বাড়িটিতে ক’বছর হলো শুরু হয়েছে ‘বনলতা রিডিংস’ শিরোনামে পাঠ-আয়োজন। আসলে এটি লেখক-আড্ডাই। গত শুক্রবার ছিল বনলতা রিডিংসের পঞ্চম আসর। এবার ষাটের দশক থেকে শুরু করে পাঁচ প্রজন্মের পাঁচজন কবিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এই পঞ্চকবি হলেন রুবী রহমান, আসাদ মান্নান, কামরুল হাসান, মাহবুব কবির ও আফরোজা সোমা। অনুষ্ঠানে সস্ত্রীক এসেছিলেন কথাসাহিত্যিক ফারুক মঈনউদ্দিন। এই আসরে আরও ছিলেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ড, মেখলা সরকার, চিত্রশিল্পী নাজিব তারেক, কবি সোহরাব সুমন, কবি লুৎফুল হোসেন এবং উপস্থাপক আবদুল্লাহ জাফর দম্পতি। আমন্ত্রিত কবিরা তাদের কবিতা পাঠ করেন, সঙ্গে ছিল কবিতা নিয়ে তাদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর পর্ব। শুরুতেই ডাক পড়ে কবি কামরুল হাসানের। তিনি তার ‘বাছাই ১০০ কবিতা’ গ্রন্থ থেকে পাঁচটি কবিতা পড়েন। এরপর আসেন সত্তর দশকের কবি আসাদ মান্নান। তিনি বেশ কয়েকটি কবিতা পড়ে শোনান যার মধ্যে ছিল তার জনপ্রিয় কবিতা, ‘পা দু’খানি দেখতে দেখতে’ আর আলোচিত কাব্য ‘সৈয়দ বংশের ফুল’ থেকে একটি কবিতা। তার বক্তব্য হলো ‘দুঃখ ছাড়া কবিতা হয়না’। কবিতায় ছন্দ একটি প্রশ্নের উত্তরে কবি আসাদ মান্নান কবিতাকে গাড়ির সঙ্গে তুলনা করে বলেন ছন্দ হচ্ছে কবিতার চাকা যা ছাড়া গাড়ি চলবে না। কবি আফরোজা সোমা তার নিজস্ব ভঙ্গিমার আবৃত্তি দিয়ে সবাইকে মুগ্ধ করেন। কবি মোহাম্মদ সাদিকের শুভেচ্ছা বক্তব্য ছিল কবিতার মতন। কান পেতে শুনবার মতোই। বনলতার আয়োজনকে তিনি সাধুবাদ জানান। তার মতে, কবিতা লেখা হচ্ছে নিজের কবর খোঁড়ার মতো, নিজেকে সমাহিত করেই কবিতার সৃষ্টি হয়। কবি মাহবুব কবির ছিলেন এই আসরে নব্বই দশকের কবিদের প্রতিনিধি। আসরের সবচেয়ে কম কথা বলা এই কবি ছোট ছোট বেশ কয়েকটি কবিতা পড়ে শোনান। সবশেষে মঞ্চে আসেন এ আসরের বিশেষ আকর্ষণ কবি রুবী রহমান। এবারের একুশের বইমেলায় প্রকাশিত তার ‘তমোহর’ বই থেকে পড়ে শোনান কয়েকটি কবিতা। তার স্বামী গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি ও শ্রমিক নেতা নুরুল ইসলাম ও তার ছেলে ইসলাম তমোহর পুচির হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে লেখা একটি কবিতার শেষ কটি লাইন সবার মন ছুঁয়ে যায়... ‘পিলপিল করে মানুষেরা উঠতে থাকে/ পাঁচতলায় সাততলায় এজলাসের দিকে/ ধূসর উষরতর বিচারের আহ্বানে... একদিন হয়তো বলে বসবে আমিও আমি নই/ তখন কি কিছু করার থাকবে মেনে নেয়া ছাড়া!’ বনলতা রিডিংন দলের অন্যতম সদস্য সায়কা শর্মিন ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন: শুধু কবিদের কথাই না, কবিতা নিয়ে কথাসাহিত্যকদের দৃষ্টিভঙ্গি জানতেও ছিল বিশেষ পর্ব। উপস্থিত কথাসাহিত্যিকদের সঙ্গে সঞ্চালক কবি মারুফ রায়হানের আলাপচারিতায় জানা যায় কিছু মজার তথ্য। পাপড়ি রহমানের মতে, কবিতা লেখা খুব কঠিন কাজ। কবিতা লিখতে ব্যর্থ হয়ে তিনি কথাসাহিত্যে এসেছেন। তিনি নিজেও কবিতা পড়েন আর অন্যদেরও ধর্মগ্রন্থের মতো কবিতাগ্রন্থ পড়ার আহ্বান জানান। কথাসাহিত্যিক ফারুক মঈনউদ্দিনের সঙ্গেও কবিতা নিয়ে জমে ওঠে আলাপচারিতা। ক্লিনটন বি সিলির লেখা জীবনানন্দ দাশের সাহিত্যিক জীবনী অনুবাদ করার জন্য সুবিখ্যাত ফারুক মঈনুদ্দীন। সেই অনুবাদের পটভূমি বললেন তিনি। অবাক করা বিষয় ছিল তার নিজের লেখা দুটি কবিতার পাঠ। এরই মাঝে আসরে কিছুটা বৈচিত্র্য আনতে সঞ্চালক ফাঁকে ফাঁকে মঞ্চে ডেকে নেন ফারহানা মান্নান, সায়কা শর্মিন, লাবণ্যসুধা আর সুলতানা শাহরিয়া পিউকে। ফারহানা মান্নান স্কুলের পাঠ্যক্রমে কবিতার গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেন। তার মতে, কবিতা পড়লে শিশু-কিশোরদের মনে ভাষা, ছন্দ, সৌন্দর্য নিয়ে আগ্রহ জাগে, তারা ভাষা ভালভাবে রপ্ত করতে পাওে, জীবন সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি উন্নত হয়। সায়কা শর্মিন পড়ে শোনান ববীন্দ্রনাথের ‘কিন্তুওয়ালা’। লাবণ্যসুধা আর শাহরিয়া পিউর কথা ও গানের যুগলবন্দী ছিলো মনে রাখার মতো। আসরের কিছু অংশ ফেসবুকে লাইভ প্রচার করা হয়- একবার শুরুতে, আরেকবার কবি রুবী রহমানের কবিতা পাঠের সময়। কবির বিদায় কবি বেলাল চৌধুরীর বিদায়ে কবিতাপ্রেমিকদের শোক থিতিয়ে না আসতেই আরেকজন কবির বিদায় তাদের ব্যথিত করেছে। এই কবি ছিলেন বেশ নিভৃতচারী। শেষের বছরগুলো অর্থকষ্টে ছিলেন। তিনি সত্তর দশকের কবি মোস্তফা মীর। এই শহরে টিকে থাকার জন্য পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমিও বিক্রি করেছেন। দুশ্চিন্তায় নানা অনিরাময়যোগ্য ব্যাধিতেও আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। কিডনি জটিলতা অন্যতম। শেষ পর্যন্ত চলে গেলেন তিনি। শতাধিক গ্রন্থের লেখক মোস্তফা মীর। এক সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের মেধাবী ছাত্র ছিলেন তিনি। লেখক সালাম সালেহ উদদীন জানালেন, হল-জীবনে অনেককেই তিনি আর্থিক সহযোগিতা করেছেন। তার অমেধাবী বন্ধুরা আজ সপ্রতিষ্ঠিত। অথচ তিনি নিদারুণ অর্থ কষ্টে ভুগছিলেন। মৃত্যুর বেশ কিছুদিন আগে অনুজতুল্য এ লেখককে বলেন, এই শহরে তাকে কেউ একটা কাজ দিল না। দ্রুতই তাকে এই প্রিয় শহর ছেড়ে দিতে হবে। তার জীবনে স্বপ্ন ছিল লেখক হওয়ার, হয়েছেনও। কিন্তু অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠা পাননি। তার সঙ্কটের কথা তুলে ধরে ফেসবুকে লিখে লাভ হয়নি। সবাই কেবল সমবেদনা জানিয়েছেন, কেউ সাহায্যে এগিয়ে আসেননি। এ এক নিষ্ঠুর বাস্তবতা। আসলে আমরা সবাই আত্মকেন্দ্রিক, নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত সবাই। এই আত্মকেন্দ্রিকতার ভিড়ে হারিয়ে গেলেন একজন প্রতিভাবান লেখক। ৬ মে ২০১৮ [email protected]
×