ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীতে পানির তীব্র সঙ্কট

প্রকাশিত: ০৬:৪৮, ৭ মে ২০১৮

রাজশাহীতে পানির  তীব্র সঙ্কট

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহী নগরীতে খাবার পানির সঙ্কট চরম আকার ধারণ করেছে। রাজশাহী পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ওয়াসা) স্বাভাবিক পানি সরবরাহে এমনিতেই ঘাটতি। তার ওপর এখন বিকেলের পর থেকেই মিলছে না পাইপলাইনের পানি। ফলে পানি নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। রাজশাহী ওয়াসা জানিয়েছে, এখন প্রতিদিন ভোর ৫টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত নগরীতে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে নগরবাসী বলছেন, বিকেল ৫টার পরই বন্ধ হয়ে যায় বেশিরভাগ এলাকার পানি সরবরাহ। কোথাও কোথাও সাড়ে ৫টা পর্যন্ত পানি সরবরাহ করা হলেও তারপর আর পানি পাওয়া যায় না। নগরীর উপশহর এলাকার গৃহিনী শাহানারা বেগম বলেন, বিকেলের পর এলাকার কলে পানি পান না। সরবরাহ বন্ধ থাকায় মাগরিবের ওজু করার মতোও পানি মিলে না। ফলে তাদের মহল্লার টিউবওয়েল থেকে পানি সংগ্রহ করতে হয়। এদিকে প্রতিষ্ঠার সাত বছরেও পুরো নগরীতে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারেনি ওয়াসা। ফলে এখনও হস্তচালিত নলকূপের ওপর নির্ভর করছেন নগরীর ৩০ ভাগ এলাকার বাসিন্দা। এখন নগরীর ৩০ ওয়ার্ডের ১০৪ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ৭৬টি গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করে ওয়াসা। আগে প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে মাঝে দুপুরে এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পানি সরবরাহ করা হতো। এখন দুপুরের এক ঘণ্টা বিরতি তুলে দেয়া হয়েছে। তবে ওয়াসার কয়েকটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকায় প্রতিদিনই পানির সঙ্কট থাকছে। নগরীতে এখন দৈনিক পানির চাহিদা প্রায় ১৫০ কোটি লিটার হলেও সরবরাহ করা হচ্ছে ১২০ কোটি লিটার। ফলে পুরো নগরী আসেনি পানি সরবরাহের আওতায়। আবার যেসব এলাকায় পাইপলাইন আছে তার মধ্যে উঁচু এলাকাগুলোতে পানির গতি খুব কম বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। নগরীর সাগরপাড়া এলাকার বাসিন্দারা জানান, সকালে পানির সরবরাহ স্বাভাবিক থাকে। কিন্তু বেলা ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত এ এলাকায় পানির গতি থাকে না। আবার বিকেল ৫টার পর পানি সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। তাই আরও অন্তত দুই ঘণ্টা বেশি পানি সরবরাহ করার দাবি জানান তিনি। রাজশাহী ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুলতান আবদুল হামিদ বলেন, আসছে রোজায় তারা রাত ৮টা পর্যন্ত পানি সরবরাহ করবেন। রমজানে দুপুরে পানির চাহিদা কম থাকবে। তাই সে সময় দুই ঘণ্টা পানি সরবরাহ বন্ধ রাখা হবে। আবার সেহরির সময় পানি দেয়া হবে। এছাড়া আপাতত পানি সররবাহের সময় বৃদ্ধির পরিকল্পনা তাদের নেই।
×