ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতিবাদে মানববন্ধন চলন্ত ট্রেনে পাথর ছোড়া মৃত্যুদন্ড যোগ্য হলেও থেমে নেই এই বিপজ্জনক প্রবণতা

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ৭ মে ২০১৮

প্রতিবাদে মানববন্ধন চলন্ত ট্রেনে পাথর ছোড়া  মৃত্যুদন্ড যোগ্য হলেও থেমে নেই এই বিপজ্জনক প্রবণতা

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চলন্ত ট্রেনে পাথর বা ঢিল ছোড়ার শাস্তি মৃত্যুদন্ড হলেও বন্ধ হচ্ছে না দুষ্কৃতকারীদের আস্ফালন। রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর দায়িত্বহীনতা ও সচেতনতা সৃষ্টির অভাবে এ ধরনের ঘটনার মাত্রা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে দেশের প্রায় অর্ধশত রুটে প্রতিদিন ট্রেন পরিচালনায় থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারী ও যাত্রীরা আতঙ্কগ্রস্ত। মৃত্যুদন্ডের বিধান থাকা সত্ত্বেও এই বিপজ্জনক প্রবণতা বন্ধ হচ্ছে না। অভিযোগ রয়েছে, শুধু ট্রেনেই নয়, ছুড়ে মারা পাথর ট্রেনে লাগার পর বিপরীতে ফিরে আসা পাথরের আঘাতে আশপাশে থাকা মানুষজনও আহত-নিহতের ঘটনা ঘটছে। সম্প্রতি খুলনায় কর্তব্যরত অবস্থায় দুষ্কৃতকারীদের ছোড়া পাথরে মারাত্মকভাবে আহত হয়ে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (কমার্শিয়াল) মোহাম্মদ সিকদার বায়েজিদ। এ ঘটনার প্রতিবাদে রেলের পূর্বাঞ্চলীয় ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) দফতরের সামনে রবিবার সকালে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন রেলের পূর্বাঞ্চলীয় ট্রাফিক বিভাগের শতাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী। মানববন্ধনে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রতিবাদ ব্যক্ত করতে গিয়ে পূর্বাঞ্চলীয় ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, রেললাইনের আশপাশ থেকে চলন্ত ট্রেনকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এতে একটি জীবননাশের সঙ্গে সঙ্গে একটি পরিবারও ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। রেললাইন দেখভালের দায়িত্ব রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর। কিন্তু পদক্ষেপ ও সচেতনতা সৃষ্টির অভাবে অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে অঘটন, ঘটছে আহত নিহতের ঘটনায় হারাতে হচ্ছে পরিবারের গৃহকর্তা বা একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে।
×