ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মহেশখালীতে বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণে চীনা কোম্পানির সঙ্গে জেভিএ চুক্তি সই

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ৭ মে ২০১৮

মহেশখালীতে বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণে চীনা কোম্পানির সঙ্গে জেভিএ চুক্তি সই

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মহেশখালীতে আরও একটি এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লা চালিত বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণে যৌথ মূলধনী কোম্পানি (জেভিএ) চুক্তি সই হয়েছে। রবিবার দুপুরে রাজধানীতে চীনা হুদিয়ান হংকং কোম্পানি (সিএইচডিএইচকে) এবং বাংলাদেশ বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) মধ্যে চুক্তিটি সই হয়। পিডিবির এটি কয়লা চালিত বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণে দ্বিতীয় যৌথ মূলধনী কোম্পানি গঠন চুক্তি। এর আগে পিডিবি ভারতের ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কোম্পানির (এনটিপিসি) সঙ্গে যৌথ মূলধনী কোম্পানি গঠন করে রামপালে একটি এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করছে। অন্যদিকে সরকারের মেগা বিদ্যুত প্রকল্প এটি দ্বিতীয় চীনা বিনিয়োগ। এর আগে চীনের সিএমসির সঙ্গে রাষ্ট্রীয় নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি (এনডব্লিউপিজিসিএল) যৌথ মূলধনী কোম্পানি গঠন করে পায়রাতে একই ক্ষমতার বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করছে। প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার বা ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে মহেশখালী বিদ্যুত হাবে কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হবে। পিডিবি এবং সিএইচডিএইচকের সমান অংশীদারিত্বে বিদ্যুত কোম্পানিটির নাম হবে বে অব বেঙ্গল পাওয়ার কোম্পানি। কেন্দ্রটি নির্মাণে ২০১২ সালে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছিল। যৌথ মূলধনী কোম্পানি গঠনে পিডিবির পক্ষে সংস্থার সচিব মিনা মাসুদ উজ্জামান এবং সিএইচডিএইচকের পক্ষে প্রতিষ্ঠানের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং ঝু চুক্তিতে সই করেন। এরপর যৌথ মূলধনী কোম্পানিটি জয়েন্ট স্টক কোম্পানির নিবন্ধন নিয়ে কেন্দ্রটির নির্মাণে দরপত্র আহ্বান করবে। চীনা অর্থায়নে নির্মিত কেন্দ্রটি কয়লা আমদানি করে জ¦ালানি চাহিদা মেটাবে। চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিদ্যুত জ¦ালানি খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগকে কাজে লাগাতে চীনের কোম্পানিগুলোর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে দেশের বিদ্যুত উৎপাদন, সঞ্চালন এবং বিতরণে চীনা বিনিয়োগ এসেছে। তিনি বলেন, সরকার মহেশখালীতে একটি ১০ হাজার মেগাওয়াটের বিদ্যুত হাব তৈরি করছে আগামী তিন চার বছরের মধ্যে যা দৃশ্যমান হবে। চুক্তি সই অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুত খাতের চলমান গতি অব্যাহত রাখতে বিদ্যুত জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি বিশেষ বিধানের মেয়াদ ৩ বছর বৃদ্ধি করা হচ্ছে। আগামী ১১ অক্টোবর বিশেষ এই বিধানের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। বিদ্যুত ও জ্বালানি বিভাগ বিধানটির মেয়াদ ২০২১ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে চায়। তিনি অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, অর্থনৈতিক কারণে কয়লা চালিত বিদ্যুত কেন্দ্রের কাজে কিছুটা দেরি হচ্ছে। তিনি জানান, পায়রা বিদ্যুত কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ ৩৮ ভাগ শেষ হয়েছে তবে রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্রের কাজ কিছুটা ধীরগতিতে চলছে বলে জানান তিনি। অস্ট্রেলিয়ার কাছে কারিগরি ও প্রশিক্ষণগত সহযোগিতার আহ্বান ॥ বিদ্যুত ও জ্বালানি খাতে মানব দক্ষতা বাড়াতে অস্ট্রেলিয়ার কাছে কারিগরি ও প্রশিক্ষণগত সহযোগিতার আহ্বান করা হয়েছে। বিদ্যুত জ¦ালানি খাতের অবকাঠামো উন্নয়নে সকালে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁয়ে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে প্রতিমন্ত্রী বিপু এই আহ্বান জানান। অস্ট্রেলিয়ার মনাস ইউনিভার্সিটি এবং বিদ্যুত জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় যৌথভাবে দিনব্যাপী সেমিনারের আয়োজন করে।
×