ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

খালেক-মঞ্জু এক মঞ্চে, নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির অঙ্গীকার

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ৭ মে ২০১৮

খালেক-মঞ্জু এক মঞ্চে, নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির অঙ্গীকার

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক এবং বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু রবিবার একই মঞ্চ থেকে খুলনাবাসীকে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তারা খুলনা শহরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও জলাবদ্ধতা নিরসন, যানজট সমস্যা দূরীকরণ, স্বাস্থ্য সেবাদান ব্যবস্থা উন্নীতকরণ, মাদক সমস্যা নির্মূলকরণ, সিটি কর্পোরেশনের সেবা বিকেন্দ্রীকরণ, নগরবাসীর বিনোদন খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকা-ের সুযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাবেন বলে অঙ্গীকার করেন। ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের উদ্যোগে খুলনা নগরীর সিএসএস আভা সেন্টারে ‘সংলাপে নাগরিক অগ্রাধিকার’ শীর্ষক আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই দুই শক্তিশালী মেয়র প্রার্থী একই মঞ্চ থেকে নগরবাসীর উদ্দেশ্যে তাদের প্রতিশ্রুতির কথা ব্যক্ত করেন। আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে খুলনা মহানগরীর নাগরিকদের দৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আলোচনার জন্য এই অনুষ্ঠান আযোজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচক প্রধান দুই মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক ও নজরুল ইসলাম মঞ্জু। অনুষ্ঠানে উপস্থিত নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যম প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। তারা মহানগরীর উন্নয়ন কার্যক্রম ও কার্যকরী সেবাদান ব্যবস্থা নিয়ে মেয়র প্রার্থীদের পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চান এবং ৬টি গ্রুপ ওয়ার্ক শেষে মেয়র প্রার্থীদ্বয়ের কাছে ৬টি বিষয়ের ওপর কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব উপস্থাপিত হয়। বিষয়গুলো হচ্ছে মাদক সমস্যা, অবকাঠামো ও জলাবদ্ধতা, বিনোদন, সনদ ও অন্যান্য সার্টিফিকেট, যানজট ও স্বাস্থ্য। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের চীফ অব পার্টি কেটি ক্রোক বলেন, খুলনার নাগরিকরা ও মেয়র প্রার্থীদের সঙ্গে এই গঠনমূলক সংলাপে তিনি অভিভূত। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এই মেয়র প্রার্থীদের সংলাপ অনুষ্ঠানটি দেশ জুড়ে আসন্ন নির্বাচন চলাকালীন অনুকরণীয় মডেল হয়ে থাকবে। সংলাপ অনুষ্ঠানটি ইউএসআইডি ও ইউকেএইড’র যৌথ অর্থায়নে এবং ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের বাস্তবায়নে ‘স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়। সংলাপে মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে ক্ষমতা নয়, প্রয়োজন আন্তরিকতা। তিনি নির্বাচিত হলে মাদক সচেতনতায় কমিটি গঠন করবেন। মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলবেন। বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, প্রথমেই মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকা ও প্রশাসনের তালিকায় থাকা দলীয় নেতা-কর্মীদের দল থেকে বহিষ্কার করা উচিত। মাদক ব্যবসায়ী ও চাঁদাবাজ যে দলের হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণে কোন ধরনের বাধা দেয়া যাবে না। সর্বোপরি মাদক নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা সৃষ্টির আন্দোলন ঘর থেকেই শুরু করতে হবে। সংলাপে তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, বয়স্ক মহিলা ও শিশুদের জন্য আলাদা পার্ক ব্যবস্থা করতে চান। ইজিবাইক ও অটোরিক্সার লাইসেন্স প্রদানসহ এগুলোর চলাচল সহনীয় করতে আগ্রহী তিনি। সনদপত্র প্রদান বিষয়কে সহজিকরণ করবেন। বিভিন্ন উন্নয়ন সংগঠনের সঙ্গে সমন্বয় করেই নগরীর পরিকল্পিত উন্নয়নে আগ্রহী তিনি। কেডিএ সৃষ্টি হওয়ার পরই সিটির উন্নয়ন ব্যবস্থা খারাপ হয়েছে। সংস্থাটি যত্রতত্র নক্সা অনুমোদন দেয়ার ফলে নগরায়ন ব্যবস্থাপনায় সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। ওয়াসা অল্পদিনের সৃষ্টি হলেও কাজে বেশ অগ্রগতি হয়েছে। সকলের অংশগ্রহণ ছাড়া শহরের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব না। উন্নত সিটি কর্পোরেশন গড়তে হলে নাগরিকদের কর যেমন দরকার, তেমনি সরকারের কাছ থেকে অর্থ আনাও প্রয়োজন। তাছাড়া বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা অসম্ভব। মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, শহরের উন্নয়নে ও যানজট নিরসনে একমুখী সড়ক নির্মাণ করা প্রয়োজন। যাতে যানবাহন চলাচল নিরবচ্ছিন্ন হয়। বিভিন্ন সনদ ও সার্টিফিকেট প্রাপ্তিকে সহজ করতে হবে। এ নগরের বস্তি এলাকায় ২০-২২ শতাংশ মানুষের বসবাস। যাদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। তাদের সুচিকিৎসায় প্রয়োজন জরুরী ফ্রী এ্যাম্বুলেন্সসেবা। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন শহর উপহার দিতে সুপরিকল্পিত উদ্যোগ নেয়া হবে। লোনা পানি শহরের সবুজ বেষ্টনীকে নষ্ট করছে। যা রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে। এসব করার জন্য নাগরিক প্রদত্ত করের অর্থই যথেষ্ট। এসব কাজ করার জন্য সরকারের অর্থ প্রত্যাশায় সময় নষ্ট করার প্রয়োজন নেই। শিল্পাঞ্চলকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছিল বিএনপি-খালেক ॥ আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আলহাজ তালুকদার আব্দুল খালেক রবিবার সকালে খালিশপুরে ১৩ নং ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন। সকাল সাড়ে ৭টায় প্লাটিনাম চত্বর থেকে গণসংযোগ শুরু রে দৌলতপুর জুট মিলস, ক্রিসেন্ট জুট মিলস, আলমনগর মোড়, চরের হাট, পোড়া মসজিদ, চরের হাট ঘাট এলাকায় গণসংযোগ করেন এবং ভোটারদের সঙ্গে বিনিময় করেন। সময় প্লাটিনাম জুবিলী জুটমিল গেটে এক পথসভায় শ্রমিক-কর্মচারীদের উদ্দেশে মেয়র প্রার্থী খালেক বলেন, নির্বাচন এলেই শ্রমিকদের খুশি করতে বিএনপির প্রার্থীরা মিষ্টি মিষ্টি কথা বলেন। আসলে বিএনপি কখনও শ্রমিকবান্ধব ছিল না। বরং বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে খুলনাসহ দেশের অধিকাংশ মিল কলকারখানা বন্ধ করে হাজার হাজার শ্রমিককে বেকার করেছিল। তারা খালিশপুর শিল্পাঞ্চলকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছিল। আর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে সেই মৃত্যুপুরীতে প্রাণ ফিরিয়ে দিয়েছে। বন্ধ মিল চালুসহ শ্রমিকের বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে। মন ভোলানো বিএনপির মিথ্যাচারে কান না দেয়ার আহবান জানিয়ে খালেক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রমিকদের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি শিল্পাঞ্চলে বন্ধ থাকা মিলসমূহ চালু করে শ্রমিকদের আয়ের পথ আবারও খুলে দিয়েছেন। তার যোগ্য নেতৃত্বে শ্রমিক পরিবারগুলো ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তিনি নৌকা প্রতীকে তাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, মেয়র নির্বাচিত হলে শ্রমিদের স্বার্থরক্ষায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করবেন। শ্রমিকেরা যাতে সময়মতো তাদের বেতন ও মজুরি পান সে ব্যাপারে তিনি পদক্ষেপ নিবেন। কেসিসি হবে আদর্শ সেবামূলক নাগরিক প্রতিষ্ঠান-মঞ্জু ॥ কেসিসি নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত ২০ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু রবিবার নগরীর ২৩ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকে আগত পেনশন গ্রহীতাদের সঙ্গে মতবিনিমিয় করেন। এ সময় তিনি বয়স্ক নাগরিকসহ নারী পুরুষ নির্বিশেষে ধানের শীষ প্রতীকের প্রতি সমর্থন দেয়ার জন্য ভোট প্রার্থনা করেন। মেয়র নির্বাচিত হলে খুলনা সিটি কর্পোরেশনকে আদর্শ সেবামূলক নাগরিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার অঙ্গীকার করে তিনি বলেন, দল মত জাতি ধর্ম নারী পুরুষ নির্বিশেষে অভিজ্ঞ ও গুণী ব্যক্তিদের সমন্বয়ে কেসিসিতে গঠন করা হবে একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। এই পরামর্শক পরিষদের সাহায্যে নগরীর উন্নয়নে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী নাগরিক পরিকল্পনা তৈরি করা হবে। তিনি বলেন, জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ সিনিয়র সিটিজেন। জীবন সায়াহ্নে এসে যারা বাড়তি যতœ ও নজরদারির দাবিদার। তাদের জীবন মান উন্নয়ন ও অবসর বিনোদনে কেসিসি পক্ষ থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন। এর আগে তিনি নগরীর শামসুর রহমান রোড, আক্তার চেম্বার, জলিল টাওয়ার, সিটি সেন্টার, মালেক চেম্বার, মুড়িপট্টি, সিমেট্রি রোড এলাকায় গণসংযোগ করেন। গাজীপুর সিটি নির্বাচনÑনোমানসহ নেতাকর্মী গ্রেফতার ॥ স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, সীমানা জটিলতা নিয়ে এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে ভোট গ্রহণের মাত্র আটদিন আগে রবিবার গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করে হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের এ আদেশে নির্বাচনী সকল প্রচার কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। নির্বাচন স্থগিতের সংবাদ পেয়ে বড় দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থীসহ সকল প্রার্থী তাদের গণসংযোগ কার্যক্রম বন্ধ রেখে ফিরে আসে। এলাকায় এলাকায় মাইকিংও বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে উচ্চ আদালতের দেয়া আদেশে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন স্থগিতের খবর পেয়ে দুপুর হতে ১৪ দলীয় জোটের নেতা কর্মী ও সমর্থকরা আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের (নৌকা) ছয়দানা হাজীর পুকুর এলাকার বাসার সামনে এবং ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মী সমর্থকরা বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের (ধানের শীষ) টঙ্গীর আউচপাড়া এলাকার বাসার সামনে জড়ো হতে থাকে। এ সময় ধানের শীষের বিক্ষুব্ধ কর্মী সমর্থকরা হাসান উদ্দিন সরকারের বাসার সামনে বিক্ষোভ করে। দুপুরের পর নগরীর টঙ্গীর নিজ বাড়িতে নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে হঠাৎ করে উচ্চ আদালতের একটি রায় গাজীপুরবাসীকে স্তম্ভিত করে দিয়েছে। আমার জীবনের সর্বস্ব দিয়ে হলেও এ গাজীপুরবাসীর মনের কথা, জনগণ যাতে স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, তার জন্য আইনী লড়াই, মাঠের লড়াই, রাজনীতির লড়াই জনগণের পক্ষে এ লড়াই করে যাব। এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলনসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বিকেলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল গাজীপুর শহরের বিএনপি’র জেলা কার্যালয়ে গাজীপুর সিটি নির্বাচন স্থগিতের বিষয়ে মন্তব্য করে বলেন, এটা সরকারের ষড়যন্ত্র। ষড়যন্ত্র করে এ নির্বাচন বেশি দিন স্থগিত রাখা যাবে না। আমরা আদালতে যাব। আইনী লড়াইয়েও আমরা বিজয়ী হব, জনগণের সমর্থনেও বিজয়ী হব। আমাদের নেতা-কর্মীদের ঐক্য ধরে রাখতে হবে। ঐক্য ছাড়া আমাদের তো আর কোন পুঁজি নেই। আমাদের আবেগকে বেগে পরিণত করতে হবে। তিনি সরকারকে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, তারা মানুষের রায় ছিনিয়ে নিতে পারবে না। তাই মানুষকে নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। এটা নোংরা একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তারা, নজির স্থাপন করেছেন জাতির সামনে। আমরা ধিক্কার জানাই, নিন্দা জানাই, ঘৃণা জানাই। আমরা এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করি। আইনী লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে এ নির্বাচন যাতে আবার অনুষ্ঠিত হয় তার জন্য আমরা আদালতে লড়াই করব। সমস্ত অস্ত্র, সমস্ত গোলাবারুদ, সমস্ত অত্যাচার, নীল নক্সা, নির্যাতনের সমস্ত হাতিয়ার সরকার কুক্ষিগত করেছে। সেই হাতিয়ার প্রতিরোধ করার উপায় হচ্ছে নেতা-কর্মীদের সুদৃঢ় ঐক্য, ইস্পাত কঠিন ঐক্য। সেই ঐক্যকে ধারণ করে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাব। নির্বাচনের তারিখ পুনরায় ঘোষণা না করা পর্যন্ত আমরা নিন্দা, প্রতিবাদ অব্যাহত রাখব। হাসান সরকারের বাসায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ॥ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন রবিবার উচ্চ আদালতের দেয়া স্থগিতাদেশের পর বিকেলে টঙ্গীর নিজ বাড়িতে নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার এক সংবাদ সম্মেলনে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বক্তব্য দেন। এ সময় উত্তেজিত নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করে। এ সময় পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যানসহ আব্দুল্লাহ আল নোমানসহ ১৩ জনকে আটক করে। এ ব্যাপারে গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল শেখ জানান, রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, গাড়ি ভাংচুর ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে আব্দুল্লাহ আল নোমানসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেখানে পুলিশের আরও অভিযান চলছে।
×