ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ক্রিকেটারদের সামনে ব্যস্ত সূচী

প্রকাশিত: ০৫:০৬, ৭ মে ২০১৮

ক্রিকেটারদের সামনে  ব্যস্ত সূচী

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টানা ক্রিকেটের পর বেশ কিছুদিন বিরতি মিলেছিল। সেই বিরতি শীঘ্রই শেষ হতে চলেছে। সামনে বাংলাদেশের ব্যস্তসূচী। আর সেই ব্যস্ততায় ঝাঁপিয়ে পড়তে ১৩ মে থেকে মাঠে নেমে পড়ছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। ১৩ মে ক্যাম্প শুরু হওয়া দিয়েই আবারও ব্যস্ত দিনের শুরু হচ্ছে। দুই বছর আগে ২০১৬ সালের টি২০ বিশ্বকাপের পর ছয় মাস বিরতি পেয়েছিলেন ক্রিকেটাররা। মার্চে বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর সেপ্টেম্বরের আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে নামতে হয়নি। আবার সেই সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে ব্যস্তসূচী, তা টানা এ বছর মার্চ পর্যন্ত চলেছে। এরপর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সামান্য বিরতি মিলেছে। প্রায় তিনমাসের বিরতি মিলেছে। জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকে আবার ব্যস্ত ক্রিকেট সূচীতে ঢুকে পড়বেন ক্রিকেটাররা। ২০১৬ সালের মার্চের পর সেপ্টেম্বরে যেমন আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে ব্যস্ততা শুরু হয়েছিল। এবারও তাই হচ্ছে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজ দিয়ে এ সূচীতে প্রবেশ হবে। যা চলতে থাকবে। ভারতের দেরাদুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ খেলার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে জুলাইয়ে দুই টেস্ট, তিন ওয়ানডে ও দুই ম্যাচের টি২০ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এরপর সামান্য কিছুদিন বিরতির পর সেপ্টেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে এশিয়া কাপ খেলবে। এশিয়া কাপ শেষে নবেম্বর-ডিসেম্বরে দেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই টেস্ট, তিন ওয়ানডে ও এক টি২০ খেলবে বাংলাদেশ। এর আগে অক্টোবরে ঘরোয়া টি২০ লীগ বিপিএলেও খেলবেন ক্রিকেটাররা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ খেলা দিয়েই এ বছর শেষ হবে। আগামী বছর ২০১৯ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে দেশের মাটিতে তিন টেস্ট ও তিন ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ। ফেব্রুয়ারি-মার্চে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন টেস্ট ও তিন ওয়ানডে খেলবে। এ সিরিজ শেষে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগেও খেলতে হবে ক্রিকেটারদের। লীগ খেলে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ খেলতে হবে। মে থেকে জুন পর্যন্ত ইংল্যান্ড এ্যান্ড ওয়েলসে ওয়ানডে বিশ্বকাপে অংশ নেবে। এ বছর অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে সিরিজ খেলার কথা ছিল। তা হচ্ছে না। তবে আগামী বছর ফাঁকা সময়ে সেটি হতে পারে। সেটি জুলাই-আগস্টের দিকে হলেও হতে পারে। এরপর বিপিএল খেলে অক্টোবর-নবেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দেশের মাটিতে দুই টেস্ট, তিন ওয়ানডে ও এক টি২০ ম্যাচের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। নবেম্বর-ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কায় দুই টেস্ট, তিন ওয়ানডে ও ২টি টি২০ ম্যাচ খেলতে যাবে বাংলাদেশ। এর মধ্যদিয়ে দুই বছরের টানা ব্যস্তসূচী শেষ হবে। এরপর ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালে সূচী শুরু হবে। যেখানে বাংলাদেশের খেলা আরও অনেক বেশি আছে। চার বছরে বাংলাদেশ ৩৫টি টেস্ট খেলবে। যা ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার পর সর্বোচ্চ টেস্ট খেলার সুযোগ বাংলাদেশের। এমনকি এবার ভারতের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট খেলার সুযোগও থাকছে বাংলাদেশের। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ, ওয়ানডে লীগের খেলাও থাকছে। ৪৫টি ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ। ৪২টি টি২০ও খেলবে। বোঝাই যাচ্ছে এই যে ব্যস্ততা শুরু হয়ে যাবে। তা চলতেই থাকবে। এই ব্যস্তসূচী নিয়ে তাই বাংলাদেশ ওপেনার তামিম ইকবাল বলেছেন, ‘আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশ যত ম্যাচ খেলবে গত ১০-১৫ বছরে মনে হয় এত ম্যাচ খেলেনি। এটা ইতিবাচক দিক। সবাইকে কৃতিত্ব দেয়া উচিত। বোর্ড খেলোয়াড়কে। খেলোয়াড়রা ভাল খেলেছে বলেই অনেক কিছু সম্ভব হয়। আগামী পাঁচ বছর আশাকরি দলের সঙ্গে থাকব আর যত বেশি ম্যাচ খেলতে পারি, খেলব। চেষ্টা করব যে সুযোগগুলো আসছে দু’হাতে লুফে নিতে। শুধু খেলার জন্য খেলা নয়, চেষ্টা করব ভাল খেলতে।’
×