ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

স্কুলছাত্রী তাসফিয়া হত্যা আদনানের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর, কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

প্রকাশিত: ০৫:০০, ৭ মে ২০১৮

স্কুলছাত্রী তাসফিয়া হত্যা  আদনানের রিমান্ড  আবেদন নামঞ্জুর,  কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামে স্কুলছাত্রী তাসফিয়া আমিন হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার আদনান মির্জাকে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়কের উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসাবাদে অনুমতি দিয়েছে আদালত। মামলার তদন্ত কর্মকর্তার করা ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন নামঞ্জুর করে রবিবার এ আদেশ দেন চট্টগ্রাম শিশু আদালত। চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী জানান, চট্টগ্রামের ৫ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ও শিশু আদালতের বিচারক জান্নাতুল ফেরদৌসের আদালতে রবিবার আদনান মির্জাকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আদনান মির্জা কিশোর হওয়ায় বিচারক রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করেননি। তিনি গাজীপুরে অবস্থিত শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়কের উপস্থিতিতে আদনানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে। এদিকে, স্কুলছাত্রী তাসফিয়া (১৬) হত্যার ৫ দিনেও এর নেপথ্যের কোন ক্লু উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় একমাত্র গ্রেফতার রয়েছে আদনান মির্জা (১৬)। এ দুজনই নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। পতেঙ্গা থানা পুলিশ জানিয়েছে, হত্যার পেছনের সম্ভাব্য সব কারণই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মামলার সব আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। উল্লেখ্য, গত ২ মে সকালে পতেঙ্গা নেভাল বিচ এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় নগরীর সানসাইন গ্রামার স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী তাফসিয়া আমিনের মরদেহ। এ ঘটনায় পরদিন পুলিশ গ্রেফতার করে তারই বন্ধু আদনান মির্জাকে। এ ঘটনায় পতেঙ্গা থানায় আদনানসহ ৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন মেয়েটির পিতা মোহাম্মদ আমিন। মেয়েটি কার সঙ্গে সমুদ্র সৈকতে গিয়েছিল তা এখনও রহস্যাবৃত। ১ মে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর চায়না গ্রিল রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়ার পর আদনান তাসফিয়াকে একটি বেবিটেক্সিতে উঠিয়ে দিয়েছিল বলে নিশ্চিত হয় পুলিশ। সেখানকার সিসি ক্যামেরায়ও দেখা যায় দু’জন দুটি সিএনজি অটোরিক্সা নিয়ে দু’দিকে চলে গেছে। সে কারণে পরবর্তী সময়ে ওরা আবারও এক হয়েছিল কিনা অথবা তাসফিয়া আদনানের সঙ্গেই সৈকতে গিয়েছিল কিনা সে রহস্য রয়েই গেছে। মেয়েটি একা অথবা অন্য কারও সঙ্গেও পতেঙ্গায় গিয়ে থাকতে পারে। তাসফিয়া হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় যে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে তারা হলো- আদনান মির্জা, সৈকত মিরাজ, আসিক মিজান, ইমতিয়াজ সুলতান ইকরাম, মোহাম্মদ হোসেন ও মোঃ ফিরোজ। বাকি ৫/৬ জনের নাম পরিচয় অজ্ঞাত। সানসাইন গ্রামার স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী তাসফিয়া আমিনের বাবা একজন ব্যবসায়ী।
×