ডিসেম্বরে ১১ কোটি লিটার পানি পাবে খুলনাবাসী

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ খুলনা পানি সরবরাহ প্রকল্পের ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ‘সুপেয় পানি সরবরাহ প্রকল্প’ চালু করা হবে। আশা করা হচ্ছে আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে পুরাতন ১৯ হাজার ও নতুন ২৬ হাজারসহ মোট ৪৫ হাজার গ্রাহক এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। প্রকল্পের আওতায় ১১ কোটি লিটার সুপেয় পানি সরবরাহ করা হবে। শনিবার খুলনা ওয়াসা’র বোর্ড সভায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ পিইঞ্জ এ তথ্য অবহিত করেন। জানা যায়, ওয়াসার চেয়ারম্যান ও আইইবির ভাইস-প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মোহাম্মাদ নুরুজ্জামানের সভাপতিত্বে বোর্ড সভায় উপস্থিত ছিলেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, খুলনা চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি কাজী আমিনুল হক, বিএমএ খুলনার সভাপতি ডাঃ শেখ বাহারুল আলম, চার্টার্ড এ্যাকাউনটেন্ট এ এফ নেসার উদ্দিন, খুলনা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট সরদার আনিসুর রহমান পপলু, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের (কেইউজে) সভাপতি এস এম জাহিদ হোসেন, কেসিসি’র কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম মুন্না ও পারভীন আক্তার এবং ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের সদস্য মোঃ আবুল হোসেন। সভায় জানানো হয়, ২০১৯ সালের জুন মাসে খুলনা মহনগরীর ৬৪ হাজার গ্রাহককে সুপেয় পানি সরবরাহ করা হবে। বর্তমানে পাইপ লাইনের মাধ্যমে দৈনিক ৬ কোটি লিটার ও নলকূপের মাধ্যমে ৫ কোটি লিটার পানির সুবিধা পাচ্ছে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ। আগামী ডিসেম্বর মাসে পাইপ লাইনে ১১ কোটি লিটার সুপেয় পানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে। সকল নগরবাসী ওয়াসার সুপেয় পানির লাইনের সংযোগ নিলে চাহিদার পারিমাণ দাঁড়াবে দৈনিক প্রায় ২৪ কোটি লিটার। সভায় অবহিত করা হয়, ইতোমধ্যে ৬৪০ কিলোমিটার সংযোগ পাইপ বসানো সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ২৫ কিলোমিটার পাইপ সেপ্টেম্বর মাসের আগেই বসানোর কাজ শেষ হবে। এছাড়া ৯০ শতাংশ সড়ক মেরামত, ৯৫ শতাংশ ওভার হেড ট্যাঙ্কসহ অবকাঠামো নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অবশিষ্ট কাজ সেপ্টেম্বরে আগেই সম্পন্ন হবে। জানা গেছে, খুলনা ওয়াসার সাবেক ওয়াসার চেয়ারম্যান তালুকদার আব্দুল খালেকের প্রচেষ্টায় খুলনা ওয়াসার আওতায় জাইকা ও এডিবি’র আর্থিক সহায়তায় ‘খুলনা পানি সরবরাহ প্রকল্প’ কাজ গ্রহণ করা হয়। ২০১১ সালের জুন মাসে জাতীয় অর্থনৈতিক নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ২ হাজার ৫৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি অনুমোদন লাভ করে। ২০১৪ সালের জুলাই মাসে জমি অধিগ্রহণ কাজ সম্পন্ন হয়। একই বছর ডিসেম্বরে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের আওতায় পাইপ লাইনের মাধ্যমে মধুমতি নদী থেকে পানি সংগ্রহ করে খুলনার রূপসায় মজুদ করা এবং সেখান থেকে সুপেয় পানি নগরবাসীর কাছে সরবরাহ করা হবে।