ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যুব এশিয়া কাপ ক্রিকেট কক্সবাজারেও

প্রকাশিত: ০৭:৩০, ৬ মে ২০১৮

যুব এশিয়া কাপ ক্রিকেট কক্সবাজারেও

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আর মাত্র কয়েক মাস বাকি। চার মাস পরই অনুষ্ঠিত হবে যুব এশিয়া কাপ। এবার টুর্নামেন্টটি হবে বাংলাদেশে। নয়নাভিরাম স্টেডিয়াম কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামেও হবে যুব এশিয়া কাপের খেলা। আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে যুব এশিয়া কাপ হবে। ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ১২দিন হবে টুর্নামেন্ট। কক্সবাজারে আটটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। বাকি ম্যাচগুলো চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী ও এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। কক্সবাজারে শুধু গ্রুপপর্বের আটটি ম্যাচ হবে। দুই সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচসহ বাকি ম্যাচগুলো চট্টগ্রামের দুই ভেন্যুতে হবে। আট দলের টুর্নামেন্টে আট ম্যাচ বাদ দিয়ে দুই সেমিফাইনাল ও ফাইনালসহ মোট ৭ ম্যাচ হবে চট্টগ্রামে। টুর্নামেন্টে অংশ নেয়া দলগুলো হচ্ছেÑ বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, নেপাল, হংকং এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। গ্রুপপর্বে দুটি গ্রুপ থাকবে। আট দল দুই গ্রুপে চার দল ভাগ হয়ে খেলবে। সূচী এখনও তৈরি হয়নি। যে কোন এক গ্রুপের সবগুলো ম্যাচ হবে কক্সবাজারে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির ম্যানেজার সৈয়দ আব্দুল বাতেন। শনিবার দুপুরে কক্সবাজার মাঠে তিনি বলেছেন, ‘কক্সবাজারে অনুর্ধ-১৯ এশিয়া কাপের আটটি ম্যাচ হবে। একটি গ্রুপের খেলা হবে এখানে। সেমিফাইনাল ও ফাইনাল হবে চট্টগ্রামে। আরেক গ্রুপের খেলা হবে চট্টগ্রামের এম এ আজিজ ও জহুর আহমেদে।’ চট্টগ্রামে দুটি সেমিফাইনাল ও ফাইনাল না করে কক্সবাজারে নকআউট পর্বের অন্তত একটি ম্যাচ দেয়া যেত না? বাতেন কিছু অসুবিধার কথা জানালেন। সেটি সম্প্রচার নিয়ে। সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচগুলো স্টার স্পোর্টস দেখাবে। কক্সবাজারে সেটি সম্ভব নয়। আর তাই চট্টগ্রামে হবে শেষ তিনটি ম্যাচ। কক্সবাজার স্টেডিয়ামে ব্রডকাস্ট সুবিধা না থাকাতেই এমন ঝামেলা হয়েছে। বাতেন জানালেন, ‘সরাসরি সম্প্রচারের সুযোগ-সুবিধা এ মুহূর্তে না থাকার কারণে কক্সবাজারে ফাইনাল খেলা হচ্ছে না। তবে এখানে ৮টি ম্যাচ হবে এবং এরজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ফাইনাল ও সেমিফাইনাল স্টার স্পোর্টস সরাসরি সম্প্রচার করবে। এখানে ক্যামেরা বসানোর জন্য স্টেজ নেই। তারচেয়ে বড় ব্যাপার হলো এখানে ফ্লাডলাইট নেই। গ্যালারিও নেই। তরুণ ক্রিকেটারদের খেলা দেখার জন্য দর্শক টানারও একটা ব্যাপার থাকে। এখানে গ্যালারি নেই।’ কক্সবাজার স্টেডিয়ামে এর আগে অনুর্ধ-১৯ বিশ্বকাপের ম্যাচ, ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপ ও সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে মেয়েদের সিরিজের খেলা হয়েছে। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের খেলা হচ্ছে নিয়মিত। এরপর ভেন্যুটির বেহাল দশা চোখে পড়ে। স্টেডিয়ামের প্রেসিডেন্ট বক্সে প্রবেশ করলে দেখা যায় ছাদ (সিলিং) ঝুলে আছে। ক্রিকেটারদের ড্রেসিং রুমের ছাদেরও একই অবস্থা। স্টেডিয়ামের লোহার তৈরি অবকাঠামোগুলোতে মরিচা পড়েছে। স্টেডিয়ামের মাঠ দুটোই শুধু ঠিক আছে। বাকি সব স্থান অগোছালো হয়ে পড়েছে। এমনকি ফলস সিলিং বিভিন্ন কক্ষের টাইলস ও টিনের ছাদও ভেঙ্গে পড়েছে বিভিন্ন স্থানে। দুই বছর ধরেই একই অবস্থা। যুব এশিয়া কাপ থাকায় এখন সংস্কার হবে। যা যা দরকার করা হবে। বাতেন জানান, ‘আমরা কিছুদিনের মধ্যেই কাজ শুরু করতে পারব। খুব বেশিদিন সময় লাগবে না দ্রুত গতিতে কাজ করলে। ১০-১৫ দিনই যথেষ্ট। যেসব জায়গায় ত্রুটি আছে সেগুলো ঠিক হয়ে যাবে নির্ধারিত সময়ের আগেই।’ এর আগে চারবার যুব এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে হবে এ টুর্নামেন্ট। ২০১২ সালে প্রথমবার মালয়েশিয়ায়, দ্বিতীয়বার ২০১৪ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে, তৃতীয়বার ২০১৬ সালে শ্রীলঙ্কায় এবং সর্বশেষ গত বছর আবার মালয়েশিয়ায় যুব এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হয়। গত আসরে আফগানিস্তান হয় চ্যাম্পিয়ন। টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশিবার চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। তিনবার চ্যাম্পিয়ন হয়। প্রথমবার পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় আসরেও ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়। এবার বাংলাদেশে হবে টুর্নামেন্ট। বাংলাদেশের শিরোপা জেতার সম্ভাবনা থাকছে। টুর্নামেন্টের খেলাগুলো চট্টগ্রামে হওয়ার সঙ্গে কক্সবাজারেও হবে।ং
×