ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রুবেলের ভাবনায় ‘নাকল বল’

প্রকাশিত: ০৭:২৭, ৬ মে ২০১৮

রুবেলের ভাবনায় ‘নাকল বল’

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এ বছর ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ‘নাকল বল’ করে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলেন ভারত পেসার ভুবনেশ্বর কুমার। তার সাফল্য দেখে পেসাররা এখন এ বল করার চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছেন। তাতে সাফল্যও মিলছে। বাংলাদেশ পেসার রুবেল হোসেনও সেই ‘নাকল বল’ নিয়ে ভাবছেন। শনিবার ‘নাকল বল’ নিয়ে কথা উঠতেই রুবেল জানালেন, ‘এটা নিয়ে অনেক আগেই অনুশীলন করেছি। নিউজিল্যান্ডে দুই একটা বল এ্যাপ্লাই করেছি। ভাল হয়েছে। আত্মবিশ্বাসের ব্যাপার। আইপিএলে এটা সবাই চেষ্টা করছে। মোটামুটি সবাই সফল হচ্ছে। এটা নিয়ে আমাকে আরেকটু কাজ করতে হবে।’ ‘নাকল বল’ কী? এত ভয়ঙ্কর কেন এ বল? ভুবনেশ্বর প্রথম এ বোলিং করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে নাকাল করেছিলেন। ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন। সাধারণত বল সুইং করাতে গেলে সিমের দু’দিকে আঙ্গুল রেখে বল ব্যাক স্পিন করাতে হয়। নাকল বলের ক্ষেত্রে আঙ্গুল ভাঁজ করে ধরতে হয় সিমের পাশে। এ সময় সিম সোজা রেখে দু’আঙ্গুলের ধাক্কায় ব্যাটসম্যানের দিকে বলটা ঠেলে দিতে হয়। এক্ষেত্রে বল সুইংও করে। সিম সোজা থাকার কারণে বলটি যে মন্থর গতিতে আসছে তা বুঝতে অসুবিধে হয় ব্যাটসম্যানদের। সে কারণেই বিভ্রান্ত হয়ে আউট হন ব্যাটসম্যানরা। যে বোলার ঘণ্টায় ১৩৫-১৪০ কিলোমিটার গতিতে বল করেন, তার নাকল বলের গতি সাধারণত দাঁড়ায় ১১০-১১৫ কি.মি.। আর এই স্লো-সুইং খেলতেই সমস্যায় পড়েন ব্যাটসম্যানরা। রুবেল সেই বল নিয়েই এখন ভাবছেন। শুধু ‘নাকল বল’ই নয়, অসুস্থ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা রুবেল ২০১৯ সালে ইংল্যান্ড এ্যান্ড ওয়েলসে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবছেন। বিশ্বকাপ নিয়ে রুবেলের ভাবনা হচ্ছে, ‘সেভাবে রোমাঞ্চিত না। ইংল্যান্ডে আমরা অনেক খেলেছি। ওখানে আমার দু’একটা ভাল স্মৃতি আছে। যদি সুস্থ থাকি এবং আমাকে নেয় বিশ্বকাপ দলে, চেষ্টা করব সেরাটা দিতে, ভাল স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে। ওখানে ভাল খেলেছি, চাইব ভাল কিছু উপহার দিতে।’ যতই এখন ভাবা হোক, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো কন্ডিশনে পেসাররা সুবিধা পাবে। আসলে তা শেষ পর্যন্ত হয় না। ব্যাটসম্যানদের ম্যাচই হয়ে ওঠে। রুবেলেরও তাই ভাবনা। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপেও রানের দেখা মিলবে, ‘দেখবেন শুধু ইংল্যান্ডে নয়, সবখানে। দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার আগে আমরা শুনেছি সেখানে বাউন্স থাকবে, উইকেট পেসারদের জন্য থাকবে। কিন্তু ওখানে গিয়ে দেখেছি উইকেট ফ্ল্যাট। সবাই উইকেটে রান দেখতে চাই। জমজমাট ম্যাচ চাই। দর্শকরা চায়, আইসিসি চায়। বাংলাদেশের উইকেটেও ৩০০ রান দেখি। বাইরেও হয়তো সেটাই হবে। সেভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে।’ সামনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ। এরপরই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ আছে। এ সিরিজ নিয়ে রুবেল ভাবছেন সুবিধা পাবেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজে তো খেলেছি। ওখানে বোলারদের জন্য মোটামুটি হেল্প থাকে। ওখানে বাংলাদেশ গেলে তারা চাইবে পেস সহায়ক উইকেট, ওদের পেস বোলিং মোটামুটি শক্তিশালী থাকে। আমরা পেসাররা যারাই যাই ওখানকার কন্ডিশন, উইকেট অনুযায়ী ভাল বোলিং করতে। প্রস্তুতিটাও গুরুত্বপূর্ণ। ওখানে যেয়ে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলব। আশাকরি প্রস্তুতি ম্যাচের সুযোগ আমরা কাজে লাগাতে পারব।’ টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে যাওয়াটাকে সাফল্য হিসেবেই দেখছেন রুবেলও, ‘অবশ্যই। টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে এক ধাপ ওপরে উঠে গেছি আমরা। এটা বাংলাদেশের অনেক বড় অর্জন। এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ আমাদের নিচে, এটা মাথায় থাকবে। আমাদের ক্রিকেটারদের অনেক সহায়তা করবে, আত্মবিশ্বাস জোগাবে। দ্রুত মানিয়ে নেয়া যাবে।’
×