ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

তুরস্ক-পাকিস্তানের বিরোধিতায় ওআইসি সহকারী মহাসচিব পদে হারল বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ৬ মে ২০১৮

তুরস্ক-পাকিস্তানের বিরোধিতায় ওআইসি সহকারী মহাসচিব পদে হারল বাংলাদেশ

কূটনেতিক রিপোর্টার ॥ তুরস্ক ও পাকিস্তানের বিরোধিতার কারণে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সহকারী মহাসচিব পদে হেরেছে বাংলাদেশ। এই পদে বাংলাদেশ যেন কোনভাবেই বিজয়ী হতে না পারে সে লক্ষ্যে শুরু থেকেই দেশ দুটি তৎপরতা চালিয়ে আসছিল। যে কারণে ভোটাভুটিতে হেরে যায় বাংলাদেশ। শনিবার ঢাকায় ওআইসি পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের ৪৫তম সম্মেলনে ওআইসি সহকারী মহাসচিব পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বাংলাদেশ কাজাখাস্তানের কাছে পরাজিত হয়। এই পদে এশিয়া মহাদেশ থেকে মোট ভোট ছিল ১৮। ভোটাভুটিতে বাংলাদেশ পেয়েছে ৬ ভোট। আর কাজাখাস্তান পেয়েছে ১২। ওআইসির সহকারী মহাসচিব পদে বাংলাদেশ গতবছর জুন মাসে প্রার্থিতা ঘোষণা করে। তারপর থেকেই এই পদে বিজয়ী হওয়ার জন্য বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রাখে। ঢাকায় ওআইসি দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে ব্রিফিং করে বাংলাদেশ এই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথাও জানিয়েছিল। বাংলাদেশ বিভিন্ন মুসলিম দেশ সফর করে সমর্থন আদায়েরও জোর চেষ্টা করে। সূত্র জানায়, শনিবার ঢাকায় গোপন ব্যালটে ভোট হয়েছে। তবে গোপন ব্যালটে ভোট হলেও বাংলাদেশের পক্ষে কারা ভোট দিয়েছে, আর কারা বিরোধিতা করেছে সেটা খুব স্পষ্ট। এছাড়া বাংলাদেশ প্রার্থিতা ঘোষণার পরেই এই পদে কোনভাবেই যেন জিততে না পারে তার জন্য ব্যাপক তৎপরতা চালায় তুরস্ক ও পাকিস্তান। ওআইসির পাঁচটি সহকারী মহাসচিব পদ রয়েছে। মহাসচিবের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কর্মকর্তার অন্যতম এই পদে বাংলাদেশের প্রার্থী হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল আহসানকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল। এ পদে বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল কাজাখাস্তান। ওআইসিতে প্রতিটি মহাদেশ থেকে একজন করে সহকারী মহাসচিব সহকারী থাকে। এশিয়া মহাদেশ থেকে কাজাখাস্তান ও বাংলাদেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। উল্লেখ্য, এবারে ওআইসির যে পদে বাংলাদেশ লড়েছে সেটির অবস্থান সংস্থাটির অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী দ্বিতীয় সারিতে হলেও তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৮৩ সালের পর এবারই প্রথম বাংলাদেশ ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলন আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে। সেই বিবেচনায় এবারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন বা সিএফএম আয়োজনের হোস্ট কান্ট্রি হিসেবেও সহকারী মহাসচিব পদে নির্বাচনে বাংলাদেশ বাড়তি সুবিধা পাবে বলেও প্রত্যাশা ছিল। তবে তুরস্ক ও পাকিস্তানের বিরোধিতার জন্য এই পদে জয়ী হতে পারেনি বাংলাদেশ।
×