ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মিয়ানমারকে চাপ দিন ॥ বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ান

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ৬ মে ২০১৮

মিয়ানমারকে চাপ দিন ॥ বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ান

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে মিয়ানমারের প্রতি আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখার জন্য ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। এ প্রেক্ষিতে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে সব ধরনের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ওআইসি। শনিবার ঢাকায় ওআইসির ৪৫তম পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে ওআইসির শীর্ষ নেতারা এই প্রতিশ্রুতি দেন। এদিকে ওআইসির সহকারী মহাসচিব পদে হেরেছে বাংলাদেশ। এছাড়া ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকেও ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে ইয়েমেন ইস্যুতে তীব্র বিতর্ক হয়েছে। শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৫তম সম্মেলন শুরু হয়েছে। দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্মেলনে ৫৭টি ওআইসি সদস্য দেশের মধ্যে ৫২টি দেশের ৬শ’ প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন। সম্মেলনে ৪০ জন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী অংশ নেন। এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘টেকসই শান্তি, সংহতি ও উন্নয়নে ইসলামিক মূল্যবোধ।’সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী পর্বে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড এবং ওআইসি মহাসচিব ইউসুফ এ আল ওথাইমিন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে আইভরিকোস্টের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ৪৪তম পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের (সিএফএম) সভাপতি মার্সেল আমন-তানোহ বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর কাছে ৪৫তম সিএফএমের সভাপতিত্ব হস্তান্তর করেন। তুরস্কের উপপ্রধানমন্ত্রী এবং ওআইসি সম্মেলনের সভাপতির প্রতিনিধি বেকির বোজড্যাগসহ এশিয়া, আরব এবং আফ্রিকার পক্ষে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত ভাইস মিনিস্টার আব্দুর রাহমান মোহাম্মাদ ফাসির, সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দেল বিন আহমেদ আল জুবায়ের এবং সেনেগালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিদকি কাবা অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। ওআইসির উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামী সহযোগিতা সংস্থাকে (ওআইসি) বিপন্ন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে ওআইসিকে অবশ্যই নেপিডোর ওপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখতে হবে। হজরত মুহম্মদ (সঃ) এর বিপন্ন মানবতার পাশে দাঁড়ানোর অমোঘ বাণীর উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ (সঃ) নিপীড়িত মানবতার পাশে দাঁড়ানোর জন্য নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। কাজেই মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী যখন জাতিগত নির্মূলের মুখোমুখি ওআইসি তখন নিশ্চুপ থাকতে পারে না। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীও আমাদের সবার মতো মর্যাদার সঙ্গে বাঁচার এবং জীবন-জীবিকার অধিকার রাখে।’ শেখ হাসিনা বলেন, নিপীড়িত মানবতার জন্য আমরা আমাদের চিত্ত ও সীমান্ত দুই-ই উন্মুক্ত করে দিয়েছি। মিয়ানমারের প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ মানবিক কারণে আমরা আশ্রয় দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে রোহিঙ্গাদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদের ব্যথায় ব্যথিত। কারণ আমার পিতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের ১৮ সদস্য নির্মমভাবে নিহত হওয়ার পর আমি ব্যক্তিগতভাবে ছয় বছর দেশে ফিরতে পারিনি, উদ্বাস্তু হিসেবে বিদেশের মাটিতে কাটিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাজেই জোরপূর্বক বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের মর্যাদা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমি ওআইসিকে তাদের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখনকার মতো মুসলিম বিশ্ব আগে কখনও এত বেশি পরিমাণ সংঘাত, অভ্যন্তরীণ গোলযোগ, বিভাজন ও অস্থিরতার মুখোমুখি হয়নি। লক্ষ্য করা যায়নি এত ব্যাপকহারে বাস্তুহারা জনগোষ্ঠীর দেশান্তর। আজকে মুসলমান পরিচয়কে ভুলভাবে সহিংসতা ও চরমপন্থার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা হচ্ছে। এই অবস্থা চলতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন সময় এসেছে আমাদের চিন্তা-চেতনা ও দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আনার। সময় এসেছে টেকসই শান্তি, সংহতি ও সমৃদ্ধির আলোকে আমাদের ভবিষ্যতকে নতুন আঙ্গিকে ঢেলে সাজানোর। শেখ হাসিনা বলেন, ইসলামী বিশ্বের রূপকল্প এমন হতে হবে যাতে আমরা আমাদের সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার করতে পারি। নিজেরাই সকল দ্বন্দ্ব-সংঘাতের সমাধান করতে পারি। দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের পথ আমাদের নিজেদেরই খুঁজে বের করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন ফলাফল- কেন্দ্রিক নতুন কৌশল-সংবলিত একটি রূপান্তরিত ওআইসি। তিনি এ প্রসঙ্গে ২০১৭ সালে রিয়াদ সম্মেলনে সন্ত্রাস দমনে যে চার দফা প্রস্তাব করেছিলেন তার পুনরোল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রথমত: আমাদের সন্ত্রাসীদের অস্ত্র সরবরাহের পথ বন্ধ করতে হবে। দ্বিতীয়ত: সন্ত্রাসীদের অর্থ সরবরাহ বন্ধ করতে হবে। তৃতীয়ত: ইসলামী উম্মাহর ভেতরে বিভেদ বন্ধ করতে হবে এবং চতুর্থত: নতুনভাবে সব পক্ষের জন্য সুবিধাজনক হয় এমন ব্যবস্থা রেখে আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ পথে যে কোন বিরোধ নিষ্পত্তি করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর ৫ দফা পেশ ॥ ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ দফা পেশ করেছেন। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর এক-পঞ্চমাংশ জনশক্তি, এক-তৃতীয়াংশের বেশি কৌশলগত সম্পদ এবং প্রচুর সম্ভাবনাময় কয়েকটি উদীয়মান শক্তিশালী অর্থনীতির দেশসহ অপার সম্ভাবনা ও সম্পদশালী মুসলিম বিশ্বের পিছিয়ে পড়ে বা অমর্যাদাকর অবস্থায় থাকার কোন কারণ নেই। তিনি বলেন, উন্নয়ন আমাদের অধিকার, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আমাদের নাগালের মধ্যে এবং সামাজিক অগ্রগতির উপায় আমাদের হাতে। আমাদের এখন প্রয়োজন যৌথ ইসলামী কর্ম-কৌশল ঢেলে সাজানো। তিনি এ প্রসঙ্গে তাঁর ৫ দফা চিন্তা-ভাবনা তুলে ধরেন- এক. ইসলামের মৌলিক বিশ্বাসের ওপর সকলকে আস্থাশীল হতে হবে। সাম্প্রদায়িক মানসিকতা বর্জন করতে হবে এবং ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করা বা সমাজে বিভাজন সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ধর্মকে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। দুই. শান্তিপূর্ণ উপায়ে সকল বিবাদের সমাধান করতে হবে। আমাদের নিন্দুকদের কোন ধরনের হস্তক্ষেপ বা প্রভাব বিস্তারের সুযোগ না দিয়ে নিজেদের সমস্যা নিজেদেরই সমাধান করতে হবে। ওআইসিতে আমাদের বিরোধ মীমাংসার প্রক্রিয়াসমূহকে শক্তিশালী করতে হবে এবং আমাদের নিজস্ব শক্তি ও সম্পদসমূহের আরও উৎকর্ষ সাধন করতে হবে। তিন. আমাদের আত্মসচেতন আলোকিত জীবনযাপন করতে হবে। আমাদের মৌলিক বিশ্বাসকে অটুট রেখে আজকের আধুনিক সমাজের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে জীবনযাপন করতে হবে। তাহলেই ইসলাম-সম্পর্কিত ভীতি দূর হবে। আমাদের মূল্যবোধভিত্তিক আন্তর্জাতিক সম্পর্কের লালন করে আলোকিত বিশ্ব ব্যবস্থার পথ দেখাতে হবে। চার. দারিদ্র্য ও ক্ষুধা দূরীকরণ এবং জরুরী মানবিক দুরবস্থা মোকাবিলার জন্য ইসলামী সম্মেলন সংস্থার বলিষ্ঠ কর্মসূচীসহ একটি দ্রুত কার্যকর উন্নয়নমূলক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা আবশ্যক। ওআইসি-২০২৫ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আমাদের যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। সর্বশেষ: ইসলামের শাশ্বত মূল্যবোধ যেমন শান্তি, সংযম, ভ্রাতৃত্ব, সমতা, ন্যায়বিচার ও সমবেদনা থেকে আমাদের সর্বদা অনুপ্রেরণা ও শক্তি আহরণ করতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, আসুন, আমরা আমাদের শক্তি ও সাহস একীভূত করার অঙ্গীকার করি এবং আমাদের মূল্যবোধ, সম্পদ ও সভ্যতাকে সুরক্ষা দেই। আসুন, আমরা সমঝোতা ও শান্তির বার্তা বিশ্বময় ছড়িয়ে দেই। মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। প্রধানমন্ত্রী বক্তৃতার শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বলেন, তাঁর সুদূরপ্রসারী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে ইসলামী সম্মেলন সংস্থায় যোগদান করে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রথম থেকেই বিশ্বের সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মুসলিম উম্মার সমন্বিত ভূমিকার অপরিসীম গুরুত্বের বিষয়টি উপলব্ধি করেছিলেন এবং শান্তি, সমৃদ্ধি, উন্নয়ন ও নিরাপত্তা অর্জনের অভিন্ন আকাক্সক্ষা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সংহতির ওপর জোর দিয়েছিলেন। শেখ হাসিনা বলেন, রক্তপাত শুধু অপ্রয়োজনীয়ই নয় বরং তা আরও খারাপ পরিস্থিতির জন্ম দেয়। ওআইসি মহাসচিব ইউসুফ এ ওথাইমিন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে পবিত্র কাবা শরীফের গিলাফ উপহার দেন। প্রধানমন্ত্রী ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৫তম বৈঠক (সিএফএম) উপলক্ষে অনুষ্ঠানে স্মারক ডাক টিকেটও অবমুক্ত করেন। রোহিঙ্গা সঙ্কটে পাশে থাকবে ওআইসি ॥ ওআইসির মহাসচিব ইউসুফ এ আল ওথাইমিন সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে ওআইসির দেশগুলো বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। এই সঙ্কটের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ওআইসি বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে যাবে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিকভাবে সকল মুসলিম দেশও এই সঙ্কট সমাধানে এগিয়ে আসবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন। কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড বলেন, আমি নিজে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প ঘুরে এসেছি। তারা অত্যন্ত কষ্টে দিনযাপন করছেন। এসব রোহিঙ্গা নিজ ভূমিতে ফিরে যেতে চান। রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে কানাডা শুরু থেকেই বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। এই সঙ্কট সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কানাডা বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলেও তিনি জানান। কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বর্ষা মৌসুম আসন্ন। এই বর্ষা মৌসুমে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা এলাকায় ভূমিধস হতে পারে। এই কারণে রোহিঙ্গাদের জীবনহানিও হতে পারে। তাই আমাদের দ্রুত এই সঙ্কট সমাধান করতে হবে। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কানাডা অবরোধ আরোপ করবে বলেও জানান তিনি। সৌদি-ইরান বিতর্ক ॥ ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে কার্যনির্বাহী অধিবেশন শুরু হয়। রুদ্ধদ্বার এই অধিবেশনে ইরানের প্রতিনিধি অভিযোগ করেন, ইয়েমেন ইস্যুতে সৌদি আরবের ভূমিকা কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। এছাড়া সৌদি আরব বিভিন্ন সময়ে ইরানকে নানা ইস্যুতে অযথাই দোষারোপ করে থাকে। ইরানের প্রতিনিধির বক্তব্য শেষ হতে না হতেই সৌদি আরবের প্রতিনিধিরা এই বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে বক্তব্য দিয়েছে। সৌদি আরবের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইরানের বক্তব্য কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। পরে দুই দেশের প্রতিনিধিদের শান্ত করা হয়। উল্লেখ্য, আজ রবিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ওআইসি সম্মেলন শেষ হবে। সম্মেলন শেষে ঢাকা ঘোষণা দেয়া হবে।
×