ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শান্তি নিকেতনে ‘বাংলাদেশ ভবন’ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:২৪, ৫ মে ২০১৮

শান্তি নিকেতনে ‘বাংলাদেশ ভবন’ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ ভারত সফরকালে শান্তিনিকেতনে ‘বাংলাদেশ ভবন’ উদ্বোধন করতে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ২৫ মে ভবনটি উদ্বোধনের সম্ভাবনা রয়েছে। এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার পাশে থাকবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। লন্ডনে কমনওয়েলথ সম্মেলনের সময়ে দুই শীর্ষ নেতার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময়ই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বিশ্বভারতীর আচার্য ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারত সফরের সময় বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধন ছাড়াও দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হবে। দু’দেশের বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবেই শান্তিনিকেতনে নির্মাণ করা হচ্ছে ‘বাংলাদেশ ভবন’। বাংলাদেশ ভবনে একটি অত্যাধুনিক প্রেক্ষাগৃহ তৈরি করা হয়েছে, যেখানে বছরজুড়ে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। তাছাড়া রয়েছে প্রদর্শনী কক্ষ। বড় একটি পাঠাগারও তৈরি করা হয়েছে, যেখানে দুই বাংলার সাহিত্য, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও স্বাধীনতাসংগ্রামের কাহিনী সংক্রান্ত বইপত্র থাকবে। দুই দেশের সম্পর্ক দৃঢ় করতে এই উদ্যোগ একটা বড় ভূমিকা নেবে বলে দুই দেশের বিশ্বাস। সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর সম্প্রতি শান্তিনিকেতন সফর করেন। তিনি বাংলাদেশ ভবনের কাজের অগ্রগতিরও পরিদর্শন করেন। ওই সময়েই তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁরা চান মে মাসের মধ্যেই বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করতে। শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র থেকেও আভাস দেয়া হয়েছে, আগামী ২৫ মে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি হতে যাচ্ছে। লন্ডনে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ সম্মেলনের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকেও এ ইস্যুটি সামনে আসে। ওই বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, ‘আপনি (শেখ হাসিনা) আসলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমিও আসব।’ বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংকালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। জানা গেছে, দুই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরই বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করতে উভয় দেশের মধ্যে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু হয়। সরকারী সূত্র অনুযায়ী, উভয় দেশের সম্মতিক্রমে আগামী ২৫ মে উদ্বোধনের অনুষ্ঠান সূচী নির্ধারিত হয়। তবে ভারত কিংবা বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তারিখ ঘোষণা না করা হলেও দু’দেশের একাধিক সূত্রই আভাস দিয়েছেন যে, আগামী ২৫ মে-ই দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে শান্তিনিকেতনে উদ্বোধন করা হবে বাংলাদেশ ভবনের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পশ্চিমবঙ্গ সফরের সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে কোন বৈঠক হবে কি না, তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। তিস্তার পানিবন্টন চুক্তির বিষয়টির এখনও কোন সুরাহা হয়নি। ভারত ও বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচন প্রায় কাছাকাছি সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। দু’দেশেই ইতোমধ্যে লেগেছে নির্বাচনী হাওয়া। নির্বাচনকে সামনে রেখে তিস্তার পানিবন্টন চুক্তি নিয়ে যে সঙ্কট সৃষ্টি করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় সেই জট আদৌ খুলবে কি না, এ নিয়েও বিস্তর আলোচনা চলছে উভয় দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নীতিনির্ধারক পর্যায়ে।
×