ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

দুই কোটি টাকা আদায়ে মাঠে যশোর পৌরসভা

৫ শতাধিক প্রতিষ্ঠানের গৃহকর দিতে গড়িমসি

প্রকাশিত: ০৪:৪০, ৫ মে ২০১৮

৫ শতাধিক প্রতিষ্ঠানের  গৃহকর দিতে গড়িমসি

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ বারবার তাগিদ দেয়া সত্ত্বেও পৌরসভার (হোল্ডিং ট্যাক্স) গৃহকর পরিশোধ করছে না যশোরের পাঁচ সরকারী প্রতিষ্ঠান। গৃহকর বাবদ এসব প্রতিষ্ঠানের কাছে পৌরসভার পাওনা রয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকা। এ ছাড়া ৫৫০টি ব্যক্তি মালিকানাধীন হোল্ডিংয়ের অর্ধকোটি টাকার ওপর গৃহকর বকেয়া রয়েছে। পাঁচ সরকারী প্রতিষ্ঠানসহ ব্যক্তি মালিকানাধীন এসব হোল্ডিংয়ের খেলাপি গৃহকরের পরিমাণ সব মিলিয়ে ২ কোটি ১১ লাখ ৫২ হাজার ৫৫২ টাকা। জানা গেছে, যশোর পৌর এলাকার অবকাঠামো উন্নয়নে চলমান রয়েছে দেড় শ’ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প ইউজিপ-৩। দাতা সংস্থার শর্তানুযায়ী মোট গৃহকরের শতকরা ৮০ ভাগ আদায়ে ব্যর্থ হলে প্রকল্পটি হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে মনে করছেন পৌর সংশ্লিষ্টরা। তৃতীয় নগর পরিচালনা ও অবকাঠামো উন্নতিকরণ (সেক্টর) শীর্ষক প্রকল্প (ইউজিপ-৩) মাধ্যমে শহর জুড়ে রাস্তা, ড্রেন, ফুটপাথ নির্মাণ চলছে। প্রকল্পটির প্রথম ধাপের বরাদ্দ পাওয়া ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে এসব রাস্তা, ড্রেন ও ফুটপাথের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। পরবর্তী আরও দুইটি ধাপে বরাদ্দ মিলবে আরও ১০০ কোটি টাকা। তবে এ ক্ষেত্রে প্রকল্পের আরোপিত বিভিন্ন শর্তের অন্যতম একটি মোট গৃহকরের শতকরা ৮০ ভাগ আদায় করতে হবে। যশোর পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, গৃহকর বাবদ যশোর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ৬২ লাখ ২৪ হাজার ৩৭৬ টাকা, শিল্পকলা একাডেমির ২৮ লাখ ২৩ হাজার টাকা, জেলা ক্রীড়া সংস্থার ২৫ লাখ ১ হাজার ৫৪৮ টাকা, জেলা পরিষদের ৮ লাখ ২৯৫ টাকা ও জেলা জজ আদালতের ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা বকেয়া রয়েছে। এ দিকে ৫৫০টি ব্যক্তি মালিকানাধীন হোল্ডিংয়ের ৬৭ লাখ টাকা গৃহকর বকেয়া রয়েছে। যশোর পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা উত্তম কুমার কু-ু জানান, সরকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বকেয়া গৃহকরের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি যশোর সরকারী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের। এ প্রতিষ্ঠানটিকে বারবার তাগিদ দেয়া সত্ত্বেও বকেয়া পরিশোধ করছে না। এ ছাড়া অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোও বকেয়া পরিশোধে আন্তরিক না। যশোর পৌরসভার সচিব আজমল হোসেন জানান, ব্যক্তি মালিকানাধীন হোল্ডিংয়ের বকেয়া গৃহকর আদায়ে বর্তমানে ক্রোকি অভিযান চলছে। একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একটি টিম গৃহকর আদায়ে অভিযান চালাচ্ছে। শর্তানুযায়ী গৃহকর হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ে ব্যর্থ হলে ইউজিপ-৩ প্রকল্প নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হবে কী না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, চলতি বছরের জুনের মধ্যে প্রকল্পের শর্তানুযায়ী মোট হোল্ডিং ট্যাক্সের ৮০ভাগ আদায় করতে হবে। এটি করতে ব্যর্থ হলে প্রকল্পের পরবর্তী ধাপের অর্থ বরাদ্দ বন্ধ হয়ে যাবে। এ জন্য যশোর পৌরসভার উন্নয়নের স্বার্থে গৃহকর পরিশোধে সবাইকে আন্তরিক হতে হবে।
×