ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সাবিহা রহমান

ফ্যাশনেবল সামার

প্রকাশিত: ০৭:৩৯, ৪ মে ২০১৮

ফ্যাশনেবল সামার

ফ্যাশনে মেয়েদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হলো পোশাক। আর সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পাল্টে যায় পোশাকের ফ্যাশন, ধরন ও স্টাইল। তবে কর্মজীবী নারীদের যেহেতু সময়ের অভাব, তাই তাদের পোশাক এমন হওয়া উচিত যা আরামদায়ক, কাজের পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। শুধু পোশাকের ম্যাটেরিয়ালের ক্ষেত্রে নয়, সম্পূর্ণ পোশাকটাই এমন হওয়া উচিত যা সহজে সামলানো যায়। এ কারণেই কর্মজীবী নারীরা আজকাল শাড়ির চেয়ে সালোয়ার-কামিজ ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। যদিও বাঙালী নারীর চিরন্তন সৌন্দর্য শাড়ির মতো অন্য কোন পোশাকে ফুটে ওঠে না। হাল্কা রঙের সুতি, তাঁত বা কোটার শাড়ি কিংবা পাতলা কাজের সিল্ক বা জর্জেট শাড়িও কর্মক্ষেত্রে মানানসই। কর্মজীবী মেয়েরা যে পোশাকই পরুন না কেন পোশাক নির্বাচনের সময় মাথায় রাখবেন আপনার পোশাকটি যেন মার্জিত রুচির হয়। তবেই আপনাকে দেখাবে স্টাইলিশ। এবার সামারে নারীদের ক্যাজুয়াল কালেকশনে রয়েছে টিউনিক, শার্গ, শার্ট ও টপ ইত্যাদি। গ্রীষ্মের নান্দনিকতা ফুটিয়ে তুলতে রঙের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে উজ্জ্বল হলুদ, সজীব কমলা, মিষ্টি গোলাপি, উষ্ণ গেরুয়া, গাঁড় বেগুনি, ছাই ধূসরসহ অন্যান্য। আভিজাত্য এনে দিতে এসব পোশাকের হাতায় বৈচিত্র্যের পাশাপাশি ব্যবহার করা হয়েছে ফ্লাওয়েন্স, লেয়ার্ড ট্রাম্পেটস, বিলো এ্যান্ড কোল্ড শোল্ডার ইত্যাদি নেকলাইন এবং রাফলসমৃদ্ধ ৩-৪ টাই কাফ প্যাটার্ন ইত্যাদি আধুনিক অনুষঙ্গ। হাউসগুলোতে রয়েছে নারীদের এথনিক কালেকশনে শাড়ির বিশাল সংগ্রহের সঙ্গে আরও রয়েছে কামিজ, সালোয়ার-কামিজ ও অন্যান্য সাজপোশাক। ফ্লক, পাফ, রাবার ও ডিজিটাল প্রিন্ট ছাড়াও এমব্রয়ডারি ও হ্যান্ড এমব্রয়ডারির মাধ্যমে থ্রিডি এম্বেলিশমেন্ট করা নজরকারা এসব পোশাক যে কোন উৎসব-আয়োজনে কিংবা ঘরে ও বাইরে পরার জন্য মানানসই ও সময়োপযোগী। পাশাপাশি এই আয়োজনে আরও থাকছে- পালাজ্জো, হারেম ও বেল্টেড কিউলটস, ডেনিম ট্রাউজার, লেগিং, ভিস্কোস ট্রাউজার ও অন্য অনুষঙ্গ। ছেলেদের গ্রীষ্ম সমাহারে বাড়তি মাত্রা যোগ করতে ভাইব্রেন্ট ক্যারিবিয়ান হলিডে অনুসৃত পোশাকসমূহকে মূলত তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে- ক্যাজুয়াল, এ্যাথলেইজার ও নাইন-টু-নাইন অফিস এ্যান্ড আফটার অফিস। কেবল ভ্রমণপিয়াসু নয়, ঘরে-বাইরে যে কোন কিছুতেই মানানসই ক্যাজুয়াল আয়োজনে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে ডিজিটালি প্রিন্টেড ক্যারিবিয়ান সামার শার্ট, গ্রাফিক প্রিন্ট শার্ট উইথ মেচিং শর্ট, ক্যাজুয়াল ট্রাউজার এ্যান্ড ডেনিম। আর অফিসের সাজে স্টাইলে রাখতে হবে পেশাদার ভাব। অফিসে যাওয়ার আগে একটু নজর দিন নিজের দিকে। বেছে নিতে পারেন সালোয়ার-কামিজ, পরতে পারেন শাড়ি, শর্ট পাঞ্জাবি বা লম্বা ব্লেজার। অফিসে রংচঙে পোশাক না পরাই ভাল। সালোয়ার-কামিজ বা শাড়ি পুরোপুরি সুতি না হয়ে বরং সিনথেটিক হোক। সুতির পোশাক সারা দিন ঠিক রাখা বেশ কষ্টের। তার পরও যদি সুতি কাপড় পরা হয়, তাহলে মাথায় রাখতে হবে পোশাকটা যেন ইস্ত্রি করা হয় এবং কাপড়টা ভাল হয়। খাটো পাঞ্জাবি বা কুর্তা পরলে দেখবেন হাত ও গলা যেন ভালভাবে ফিট হয়; কিন্তু দেহের মাপটা একটু ঢিলেঢালা থাকে। এবার নজর দিন পায়ের দিকে। ব্লেজার, খাটো পাঞ্জাবি বা সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে মানিয়ে যেতে পারে বেল্টসহ জুতা অথবা স্যু। আর শাড়ির সঙ্গে পরতে পারেন একটু হিল জুতা। চুল সবসময় খোঁপা, বেণি বা ব্যান্ড দিয়ে আটকে রাখলে ভাল। খোলা বা ভেজা চুলে অফিসে না যাওয়াই ভাল। হাতে হাতঘড়ি তো থাকবেই, সেই সঙ্গে পাতলা চুড়ি বা সুন্দর কাঁকন। পছন্দ হলে ব্রেসলেটও ব্যবহার করতে পারেন। আঙ্গুলে আংটি পরলে মন্দ কি! অফিসের সাজ সব সময়ই হাল্কা হওয়া উচিত। অফিসের সাজের ক্ষেত্রে মুখে হাল্কা ফাউন্ডেশন এবং ফেসপাউডার ব্যবহার করলে ভাল লাগবে। চোখে মাশকারা, কাজল বা আইলাইনার আর ঠোঁটে হাল্কা লিপস্টিক লাগালেই আপনার অফিসের সাজ পূর্ণতা পাবে। বাইরে যখন বের হবেন, চোখে পছন্দসহ একটি স্টাইলিশ রোদ চশমাও পরা যেতে পারে। মেয়েদের ব্যাগ একটু বড় হওয়া উচিত। ব্যাগ নিতে পারেন জুতার সঙ্গে মিলিয়ে। কালো বা বাদামি ব্যাগ বেশ মানিয়ে যায় অফিসের সঙ্গে। তবে পোশাকের রংটা গাঢ় ও অনুজ্জ্বল হলে হাল ফ্যাশনের উজ্জ্বল ব্যাগ নিতেই পারেন। ব্যাগের সাইজ এমন হওয়া উচিত যেখানে প্রয়োজনীয় কার্ড, কাগজপত্র, আইডি কার্ড, টিফিন বক্স, পানির বোতল ইত্যাদি সব জিনিসের জায়গা হয়। জুতা এবং ব্যাগের রং কাছাকাছি শেডের মধ্যে বাছাই করলে দেখতে দারুণ লাগবে। ল্যাপটপ বহন করতে হলে বড় ব্যাগ বাছাই করুন যেন ল্যাপটপের সঙ্গে অন্যান্য জিনিসও অনায়াসে নেয়া যায়। ছবি : লা রিভ
×