ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

হুমকি দিয়ে নির্বাচন বন্ধ করার ক্ষমতা জামায়াত বিএনপির নেই ॥ হানিফ

প্রকাশিত: ০৬:০২, ৪ মে ২০১৮

হুমকি দিয়ে নির্বাচন বন্ধ করার ক্ষমতা  জামায়াত বিএনপির নেই ॥ হানিফ

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ হুমকি দিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচন বন্ধ করার কোন ক্ষমতা বিএনপি-জামায়াতের নেই বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, এ ধরনের হুমকি বাংলাদেশের জনগণ দেখতেও চায় না। সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন হবে এবং সেই নির্বাচনে কোন কোন দল অংশ নেবে, সেটা তাদের দলীয় সিদ্ধান্তের ব্যাপার। কোন দলের জন্য নির্বাচন বন্ধ থাকবে না। যথাসময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে যাবে। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় শ্রমিক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে মহান মে দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখতে গিয়ে তিনি একথা বলেন। খালেদা জিয়াকে ছাড়া জনগণ নির্বাচন হতে দেবে না- বিএনপি নেতাদের এমন হুমকির জবাবে হানিফ বলেন, ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনের আগেও বিএনপি হুঙ্কার দিয়েছিল। তারা হুঙ্কার দিয়েছিল বিএনপিকে ছাড়া বাংলাদেশে কোন নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। কিন্তু নির্বাচন হয়েছে। জনগণ বিএনপির ডাকে সাড়া দেয়নি। নির্বাচন হয়েছে, সরকারও গঠন হয়েছিল। বিএনপি নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি। ভোট হয়েছিল, নির্বাচনও হয়েছিল। সরকারও গঠন হয়েছিল। গাজীপুর ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছেÑ বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে, যাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে, যারা সন্ত্রাসী কর্মকা-ের সঙ্গে যুক্ত, যারা বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকা-ে এজাহারভুক্ত আসামি, তাদের নির্বাচনের দোহাই দিয়ে এই সন্ত্রাসীদের রাজনীতির মাঠে আশ্রয় দেয়ার কোন সুযোগ নেই। এসব মামলার আসামি ও সন্ত্রাসীকে রাজনীতি ও নির্বাচনের দোহাই দিয়ে তাদের রাজনীতির মাঠে প্রতিষ্ঠিত করতে চান, সেই সুযোগ পাওয়া যাবে না। এ ব্যাপারে উক্ত সিটির প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে যাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসীর সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে, তাদের দেখামাত্র গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানান হানিফ। তিনি আরও বলেন, আমরা কোন নিরীহ মানুষের হয়রানি চাই না। কিন্তু কোন সন্ত্রাসী, দাগি আসামিরা নির্বাচনের দোহাই দিয়ে রাজনীতিকভাবে আবার প্রতিষ্ঠিত হোক। এটা বাংলার জনগণ দেখতে চায় না।
×