ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ধর্ম নিয়ে রাজনীতি দিন দিন বাড়ছে ॥ মেনন

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ৪ মে ২০১৮

 ধর্ম নিয়ে রাজনীতি দিন দিন  বাড়ছে ॥ মেনন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ইসলাম শান্তির ধর্ম। এখানে সহিংসতার স্থান নেই। সুফিসাধকদের মাধ্যমে ইসলামের এই মর্মবাণী এদেশের মাটিতে বিস্তার লাভ করেছে। কিন্তু ওহাবিজম এই ইসলামকে মানবতার ধর্ম থেকে রাজনীতির সন্ত্রাসের ধর্মে পরিণত করেছে। তাদের রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয়ভাবে মোকাবেলা করতে হবে; না হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে না। শহীদ জননী জাহানার ইমামের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। সুফীসাধকের মানবতার ইসলাম বনাম ওহাবী মওদুদিবাদীদের সন্ত্রাসের ইসলাম শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। অনুষ্ঠানে শাহরিয়ার কবির সুফিসাধক রুমীর ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র মিথাতের স্বপ্ন প্রদর্শিত হয়। অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, এদেশে দিন দিন ধর্ম নিয়ে রাজনীতি বাড়ছে। ওহাবীরা আরও জেঁকে বসছে। তারা শান্তির ধর্ম ইসলামকে রাজনীতির ধর্মে পরিণত করছে। ওহাবীদের পৃষ্ঠপোষকতার জন্য মধ্যপ্রাচ্য থেকে প্রচুর অর্থ এসেছে। তারা এর মাধ্যমে ব্যাংক, শিক্ষা, চিকিৎসা খাতসহ সব জায়গায় শেকড় গেড়েছে। যুদ্ধপরাধীদের শাস্তি দেয়া গেলেও তাদের মতবাদ নির্মূল হয়নি বরং আরও বেড়েছে। তিনি অভিযোগ করেন যুদ্ধাপরাধের দায়ে জেলে থাকা সাঈদীর বয়ান এখনও বাইরে বের হচ্ছে। এটা কেমন করে হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। তিনি বলেন, সংবিধানে ধর্মনিরেপক্ষ চরিত্র পুরো ফিরে আনা যায়নি। তারা চেষ্টা করেছেন। কিন্ত সংসদের বাইরে এ নিয়ে বড় আন্দোলন গড়ে না ওঠায় তা সম্ভব হয়নি। সভাপতির বক্তৃতায় সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে। কিন্তু তাদের রাজনীতি এখনও বন্ধ হয়নি। তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধের জন্য আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করা হয়েছে। কিন্তু এখনও সংগঠন হিসেবে জামায়াতের বিচার হয়নি। বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, সরকার ধর্মনিরেপক্ষতার কথা বললেও হেফাজত-মৌলবাদকে তোষামোদ করছে। কিন্তু তাদের যতই সুবিধা দেয়া হোক এসব ভোট আওয়ামী লীগের বাক্সে পড়বে না। এসব নিয়ে বলতে গেলে তাদের রাজাকার বলা হয়। তারা রাজাকার হলে আওয়ামী লীগ কে? অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, চলচিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম, বাংলাদেশ সম্মিলিত ইসলামী জোটের সভাপতি মাওলানা জিয়াউল হক ও ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক রোবায়েত ফেরদৌস।
×