ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ৪ মে ২০১৮

উবাচ

ষড়যন্ত্রের গন্ধ! স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঘটনা ঠিক পদ্মা সেতুর মতো। অর্থায়নের আগেই দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়িয়েছিল বিশ্বব্যাংক। শেষ পর্যন্ত অভিযোগ মিথ্যে প্রমাণিত হলো। এবার বিশ্বব্যাংকের মতো নির্বাচনের প্রস্তুতি বা নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগেই ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন বিএনপি সরকারের সাবেক রাষ্ট্রপতি বি চৌধুরী! সরকার যেন প্রহসনের নির্বাচন করতে চাইলে তা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিকল্পধারা প্রেসিডেন্ট ও যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ.কিউ.এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। তিনি বলেন, সরকার যেন কোন প্রহসনের নির্বাচন করতে না পারে, সেজন্য শ্রমিক ও সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে তা প্রতিহত করতে হবে। মহান মে দিবস উপলক্ষে শ্রমিক সমাবেশ ও আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। বি. চৌধুরী বলেন, ‘এই সরকার যে পাঁয়তারা চালাচ্ছে, তাতে সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায় না। এই সরকার এর আগে একটা নির্বাচন করল। তখন ১৫৩ এমপি বিনা ভোটে নির্বাচিত হলেন। বাকি ১৪৭ সদস্য হয়ে গেলেন মাইনরিটি। এই মাইনরিটির সংসদ দিয়ে তারা সংবিধান সংশোধন করলেন, যা অন্যায় ও বেআইনি। বেআইনি নির্বাচন করে তারা রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। কিন্তু ওই নির্বাচনের আগে তারা বলেছিল, এটা নিয়ম রক্ষার নির্বাচন। তারা কথা রাখেনি। সুতরাং যে সরকার কথা রাখে না, সে সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন হাসির খোরাক ছাড়া আর কী হতে পারে?’ তিনি বলেন, ‘এখন সরকার বলছে, নির্বাচনের আগে সংসদ ভাঙবে না।তাদের তথাকথিত সংসদ সদস্যরা এমপি পদের মর্যাদা ও ক্ষমতা নিয়ে মাঠে নামবেন।’ সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য এই অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।’ চিঠি! স্টাফ রিপোর্টার ॥ চিঠি দিও প্রতিদিন... চিঠি দিও...নইলে...। চিঠির উত্তর দিস রে বন্ধু...চিঠি নিয়ে কালজয়ী কত গানই না আছে। বন্ধুত্ব, প্রিয়জনের প্রতি ভালবাসা, আবেগ, অনুভূতি প্রকাশসহ সামাজিক বন্ধনের অন্যতম অনুষঙ্গ চিঠি। বিখ্যাত মানুষের হাতে লেখা চিঠি জাদুঘরে পর্যন্ত রয়েছে। তাই চিঠির যে গুরুত্ব কত, তা সহজেই বোঝা যায়। তবে আকাশ সংস্কৃতি আর তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় হাতে লেখা চিঠি কমেছে। ডাক বাক্সে এখন চিঠি খুবই কম পড়ে। একসময়ের চিঠির ব্যাপকতার ইতিহাসও এখন নেই বললেই চলে। পারিবারিক চিঠি হ্রাস পেলেও সরকারী কর্মকা-ে চিঠির আদান প্রদান এখনও কম-বেশি আছে! সর্বোপরি চিঠির কথা শুনলেই মন যেন আনচান করে ওঠে! কিন্তু এখন যে চিঠির খবর এল তা একটু ভিন্ন রকমের। দুই মামলায় দণ্ডিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে লন্ডন থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা কার্যকর করতে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পত্র যোগাযোগ চলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি ‘প্রক্রিয়ার মধ্যে’ আছে। আমরা বেশ কয়েকটি চিঠি দিয়েছি, ভবিষ্যতেও দেব। ইতোমধ্যে তারা (ব্রিটিশ হোম অফিস) আমাদের চিঠির জবাবও দিয়েছে। জরুরী অবস্থার মধ্যে ২০০৮ সালে সপরিবারে লন্ডন যাওয়ার পর আর ফেরেননি তারেক। সেখানে থাকা অবস্থায় বাংলাদেশের আদালতে মুদ্রা পাচার ও দুর্নীতির দুটি মামলায় তার সাত ও দশ বছরের সাজা হয়। এছাড়া বিভিন্ন অভিযোগে কয়েক ডজন মামলায় তারেক রহমানের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। এর মধ্যে ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলা চালিয়ে তখনকার বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় তারেকের বিচার চলছে তাকে পলাতক দেখিয়েই। গত মাসে লন্ডনে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবেই হোক তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আদালতের মুখোমুখি করার ঘোষণা দেন। বুধবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে তিনি বলেন, এই সাজাপ্রাপ্ত আসামি বিদেশের মাটিতে। আবার বিদেশের মাটিতে বসে প্রতিদিন সে আন্দোলন করে। ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। তার সম্পর্কে আলোচনা করছি। মশকরা স্টাফ রিপোর্টার ॥ বন্ধু, কিংবা নিকটজনের সঙ্গে মশকরা করার শব্দটি প্রচলিত। সাধারণত মজা করার উদ্দেশ্য থেকেই ‘ঠাট্টা’ বা ‘মশকরার’ প্রচলন। কিন্তু সময় বদলেছে। বদলে গেছে মশকরার ধরনও। এখন রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতেও ‘মশকরা’ শব্দটির ব্যবহার বাড়ছে। তবে শব্দটি ঘটনাভেদে উপযোগী হোক না হোক ব্যবহার করতে দোষ কি। না দোষ নেই। তবে ভাল লাগা না লাগার বিষয় আছে। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতারা ‘উপহাস’ ও ‘মশকরা’ করছেন বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। প্রশ্ন হলো একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসা নিয়ে কি উপহাস করা যায়। নাকি এটি উপহাস করার মত বিষয়। হয়ত বিষয়টির ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে রাজনীতির মারপ্যাঁচে গুলিয়ে ফেলেছেন রিজভী। খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা যে মিথ্যাচার করছেন তাতে জাতীয়তাবাদী চিকিৎসকরা চিকিৎসা করলে যে সার্টিফিকেট দেবেন সেখানেও সন্দেহ থাকবেই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রিজভী। তিনি বলেন, তাহলে কী স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদের সার্টিফিকেটধারীদের চিকিৎসার বাইরে দেশের মানুষ যেতে পারবে না? দেশনেত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা দীর্ঘ ২০/২৫ বছর ধরে তার চিকিৎসা করছেন। যারা তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক তারা দেশের পেশাদার চিকিৎসক। শেখ হাসিনার রক্তাক্ত শাসন থেকে জনগণের দৃষ্টিকে সরাতে প্রতিদিন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের উদ্ভট ও আবোল-তাবোল কথা মানুষকে শুনতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন রিজভী। তিনি বলেন, কারা কর্তৃপক্ষের টালবাহানায় বিনা চিকিৎসায় কারাগারে বিপন্ন জীবন কাটাতে হচ্ছে খালেদা জিয়াকে। অথচ এ বিষয়ে সরকার নিশ্চুপ-নির্বাক থেকে দলের সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে ঠাট্টা তামাশা করাচ্ছে। সহজাত বিচার-বুদ্ধি হারিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা মোহগ্রস্ত হয়ে গেছে। রিজভীর এ বক্তব্যের সমালোচনা আছে খোদ রাজনীতিতে। নিজ বলয়ের লোকজনও বিষয়টিকে যে খুব স্বাভাবিকভাবে দেখেছেন তা নয়। বলার মূল বিষয় হলো, শব্দের ব্যবহার। ভিন্ন শব্দ চয়নের মধ্য দিয়ে সমস্যা সমাধানে ক্ষমতাসীন দলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা কঠিন কোন বিষয় ছিল না। খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ইস্যুতে সরকারের কোন বিষয়টিকে উনি মশকরা হিসেবে দেখলেন সেটিই ভাবনার।
×