ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রমজান সামনে রেখে রেকর্ড পরিমাণ ভোগ্যপণ্য আমদানি

প্রকাশিত: ০৪:৫৬, ৪ মে ২০১৮

 রমজান সামনে রেখে রেকর্ড পরিমাণ ভোগ্যপণ্য আমদানি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পবিত্র রমজান সামনে রেখে এবার রেকর্ড পরিমাণ ভোগ্যপণ্য আমদানি করেছে ব্যবসায়ীরা। তেল, চিনি, ছোলা এবং খেজুরের মতো ভোগ্যপণ্য আমদানি হয়েছে চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি। আন্তর্জাতিক বাজারে বুকিং রেট কম থাকার পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ ভারত তুলনামূলক আমদানি কমিয়ে দেয়ায় বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা সেই সুযোগ নিয়েছে। তবে মজুদদারদের কারসাজি ঠেকানো না গেলে ভোক্তা পর্যায়ে বিপুল পরিমাণ আমদানির সুফল না পাওয়ার আশঙ্কা ক্যাবের। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত নয় মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ২৩ লাখ ২৭ হাজার মেট্রিক টন ভোজ্যতেল, ১৮ লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন চিনি, ১ লাখ ২২ হাজার মেট্রিক টন ছোলা, ২ লাখ ৩ হাজার মেট্রিক টন মটর ডাল এবং ৪৯ হাজার ৭শ’ মেট্রিক টন খেজুর আমদানি হয়েছে। অথচ গত বছর এ সময়ে এসব ভোগ্যপণ্য আমদানির পরিমাণ ছিল অনেক কম। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার ড. এ কে এম নুরুজ্জামান বলেন, ভোগ্যপণ্যের আমদানিকারকরা যদি কোন সমস্যার সৃষ্টি না করে তবে অবাধে পণ্যের খালাস নিতে পারেন। এজন্য কাস্টমস তৎপর রয়েছে। প্রতিবছরই রমজানের অন্তত চার মাস আগে ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলেন ব্যবসায়ীরা। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ভোগ্যপণ্যবাহী জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে আসতে শুরু করেছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, আমাদের যে ১৭ থেকে ১৮টি অফ-ডক রয়েছে তা আমরা যথার্থভাবে মনিটরিং করে যাচ্ছি, যাতে তারা কাজগুলো সঠিকভাবে নেয় এবং সঠিক সময়ে ডেলিভারি করে। শিপিং এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আহসানুল হক চৌধুরী বলেন, দ্রুত সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছে সরবরাহ নিশ্চিত করা যাবে। রমজান মাসে প্রতিদিন ১৪ থেকে ১৫ হাজার মেট্রিক টন চিনি, ৮ থেকে ৯ মেট্রিক টন ভোজ্যতেল এবং পুরো মাসে ছোলার চাহিদা রয়েছে প্রায় দু’লাখ মেট্রিক টন। চাহিদার তুলনায় আমদানি বেশি হলেও নানা জটিলতার কারণে দাম বাড়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। চট্টগ্রাম ক্যাবের সভাপতি এস এম নাজের হোসেন বলেন, রমজান এলে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি করে। আমরা আশঙ্কা করছি এবারও তেমনটা ঘটতে পারে। বর্তমানে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি সাধারণ মানের ছোলা ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, চিনি প্রতি কেজি ৫১ থেকে ৫২ টাকা এবং সয়াবিন তেল ৭৩ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
×