ঝড় তুলেছেন কিম কারদাশিয়ান

প্রচারই নাকি প্রসার। এবার হোক সেটা যে ভাবেই। খ্যাতি চায়না এমন লোক দুনিয়ায় খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। খ্যাতি যে ভাবেই আসুক তাকে আপন করে নেওয়াটাই উত্তম। হলিউডের অভিনেত্রীরা একটু, আধটু বেখেয়ালী জীবন-যাপন করেন এটা নতুন কিছু নয়। কিন্তু কিমের গল্পটা একটু আলাধা। অর্ধনগ্ন নয়, মাঝে মাঝে পুরো নগ্ন হয়েও মিডিয়ায় ঝড় তুলেছেন কিম কারদাশিয়ান। সোস্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে মেইন স্ট্রিম মিডিয়ায় ও তার এ নগ্নতার বিষয়টি বেশ ভাইরাল হয়েছিল। তবে এবার নতুন আঙ্গিকে নিজের নগ্নতাকে প্রকাশ করেছেন কিম। নিজের পারফিউম ব্র্যান্ডের জন্য ক্যামেরার সামনে নগ্ন হলেন হলিউড এ তারকা। কয়েকদিন ধরেই গুঞ্জন শুনা যাচ্ছিল যে কিম নিজের ব্র্যান্ড বাজারে আনতে উঠে পরে লেগেছেন। ই-অনলাইনকে দেয়া সাক্ষাতকারে কিম জানিয়েছেন ৩০ এপ্রিল বাজারে এসেছে তার ব্র্যান্ডের পারফিউম। পণ্যটি অলরেডি তৈরি হয়ে গেছে। এখন তাই চলছে জোর প্রচারণা। কিম আরও বলেন, ‘এটি সত্যিই সেক্সি। এটি আমাকে গ্রীষ্মের কথা মনে করিয়ে দেয়। এটি আমার মধ্যে যৌন উদ্দীপনা বাড়িয়ে দেয়। কিম কারণে-অকারণে নগ্ন হতে যেন নেই কোন বিপত্তি। যখন-তখন নগ্ন হয়ে সে ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতেও তার নেই কার্পণ্য। মার্কিন এ হলিউড তারকা সারা বিশে^ নগ্নতার জন্য এমনিতেই সুপরিচিত। নগ্নতাকেই তাই তার ব্যবসায়েও খাটাতে চান। নগ্নতাকে পুঁজি করে তাই চলছে তার জোর প্রচার-প্রচারণা। ২৬ এপ্রিল ইনস্ট্রাগ্রামে প্রথম ছবিতে নিজের উর্ধাঙ্গ প্রদর্শন করেছেন। এর কিছুক্ষণ পরই আরেকটি ছবিতে নিজের পুরো নগ্ন ছবি তিনি পোস্ট করেন। কিমের সে ছবিতে দেখা যায় তিনি পুরো শরীর ঢেকেছেন সাদা রঙের আবরণে। ৩৭ বছরের এ মার্কিন তারকা স্বভাবতই চালাক। আর তার চালাকি তাঁর ব্যবসাকে সমৃদ্ধ করবে। তিনি যেহেতু পুরো বিশ্বে নগ্ন হওয়ার ‘সুখ্যাতি’ অর্জন করেছেন, তাই তাঁর পারফিউম এর বোতলটি ও তাঁর শরীরের আদলেই গড়ে উঠতে চলেছে। তাঁর শরীরের ধাঁচ ও নেওয়া হয়েছে। মাঝখান দিয়ে নগ্নতাকে পুঁজি করে চলবে তার পারফিউম ব্যবসা। কিম জানান, অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর এই পারফিউম তৈরি হয়েছে। পণ্যের প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয় তিনি নিজেই নির্বাচন করেছেন। বাজারে আসার পূর্বে তিনি পারফিউমটি নিজে ব্যবহার করে দেখেছেন। এবার দেখার পালা তাঁর এ নগ্নতাকে পুঁজি করে ব্যবসা কতটা সামনে এগিয়ে যায়। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর নগ্ন ছবি প্রকাশ করলে সেখানে প্রচুর সমলোচনার মুখোমুখি হন। কিন্তু এ অভিজ্ঞতা তার নতুন কিছু নয়, এর আগেও তিনি বহুবার নগ্ন হয়ে ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন। তবে এবারই প্রথম নগ্নতাকে তিনি তাঁর ব্যবসায়ে লিপিবদ্ধ করেছেন। আর তাই সমলোচিত ও হয়েছেন। তবে কোন সমলোচনাকেই তিনি পরোয়া করেন না। তিনি মনে করেন তিনি যেটা করেছেন সেটাই সঠিক। আর ব্যবসায়ে তিনি তাই প্রচারণা হিসেবে নগ্নতাকে বেছে নিয়েছেন। তবে যে যাই বলুক তার পণ্যের খবর যে সারাবিশ্বে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে তা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। ২০০৩ সালে প্রাক্তন প্রেমিক রে জে-র সঙ্গে সেক্স টেপ প্রকাশ্যে আসতেই সংবাদের শিরোনামে উঠে আসে কিম কারদাশিয়ানের নাম। হলিউডে তেমন কোন অর্জন না থাকলে ও নগ্নতার ওপর ভর করে রাতারাতি তারকা বনে গেছেন তিনি। এবার দেখার পালা হলিউডের মতো নিজের ব্যবসায় কতটা সফল হতে পারেন তিনি।