ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রার্থীরা হন্যে হয়ে ছুটছেন

প্রকাশিত: ০৫:২১, ৩ মে ২০১৮

ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রার্থীরা হন্যে হয়ে ছুটছেন

মোস্তাফিজুর রহমান টিটু, গাজীপুর নুরুল ইসলাম, টঙ্গী ও অমল সাহা/ খুলনা ॥ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে এবারের নির্বাচন বেশ জমে উঠেছে। ভোট গ্রহণের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে প্রার্থী ও কর্মী সমর্থকদের ব্যস্ততা, বাড়ছে নির্বাচনী উত্তাপ। নির্বাচনী আমেজ ও উত্তাপ সিটি এলাকাসহ আশপাশের এলাকাগুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছে। বুধবার সরকারী ছুটির দিনেও ঝড় বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে প্রার্থীরা ভোটারদের খোঁজে হন্যে হয়ে ছুটে গেছেন শহরের অলিগলিসহ বিভিন্ন মহল্লায়, বাজারে ও বাড়িতে। তারা ভোটারদের কাছে ভোট ও সমর্থন চেয়ে এদিনটি ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন। প্রত্যন্ত এলাকায় কর্দমাক্ত পথে পায়ে হেঁটে আগের দিনের নির্বাচনী প্রচার কাজ শেষ করতে দেরি হওয়ায় এবং পরদিন ভোর থেকে নির্বাচনী প্রচার কাজ শুরু করার সুবিধার্থে কর্মী সমর্থকদের কয়েক প্রার্থী রাত কাটিয়েছেন স্থানীয় কর্মী ও ভোটারদের বাড়িতে। যেন কোন প্রতিবন্ধকতাই তাদের থামাতে পারছে না। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের এ নির্বাচনে মেয়র পদের সাত প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও আলোচনায় রয়েছেন দেশের প্রধান দুই জোট তথা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনীত দুই মেয়র প্রার্থী। সবার দৃষ্টিই এখন এই দুই মেয়র প্রার্থীর দিকে। উভয় জোটের নেতাকর্মীরা নিজেদের অস্তিত্বের লড়াই মনে করে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। নানা কৌশলে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করছেন। পোস্টার, মাইকিং, কেন্দ্রীয় নেতাসহ নেতাকর্মীদের পদচারণায় ইতোমধ্যে জমে উঠেছে গাজীপুর সিটির এবারের নির্বাচন। মে দিবস ও পবিত্র শবেবরাতের ছুটিকে কেন্দ্র করে ঝড় বৃষ্টির মাঝে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীরা প্রচারে ব্যস্ত দিন কাটাচ্ছেন। মেয়র প্রার্থীদের পাশাপাশি সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলররাও দিন রাত প্রচারে ব্যস্ত রয়েছেন। তারা এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকা-ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাছে টানার চেষ্টা করছেন ভোটারদের। এসব নির্বাচনী প্রচার ও গণসংযোগে স্থানীয় নেতাকর্মী ও সমর্থক ছাড়াও আশপাশের জেলাগুলো থেকে এসে অনেক নেতাকর্মী অংশ নিচ্ছেন। ইতোমধ্যে প্রতীকসহ সব প্রার্থীদের পোস্টারে পুরো নগরী ছেয়ে গেছে। তবে গত কয়েকদিনের ঝড় ও বৃষ্টিপাতের কারণে প্রার্থীদের বিপুলসংখ্যক পোস্টার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও ঝড় বৃষ্টির কারণে প্রার্থীদের গণসংযোগ কার্যক্রমে ব্যাহত হচ্ছে। এদিকে দেশে প্রথমবারের মতো গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের নির্বাচনী এজেন্টদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন। অনুরূপ অবস্থা বিরাজ করছে খুলনা নগরীতে। সেখানেও প্রচার জমে উঠেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ উপেক্ষা করে প্রার্থীরা কর্মী সমর্থক নিয়ে ভোটারের কাছে যাচ্ছেন, চাচ্ছেন ভোট। আওয়ামী লীগ ॥ আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম (নৌকা প্রতীক) গাজীপুরকে ক্লিন এবং গ্রীন সিটি হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয়ে মহানগরের আট অঞ্চলে শ্রমিকদের জন্য স্বল্প ভাড়ার আবাসিক কমপ্লেক্সসহ পরিকল্পিত স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, মার্কেট এবং বিনোদন পার্ক নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বুধবার সকালে মহানগরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মাধবপুর থেকে দিনের গণসংযোগ কর্মসূচী শুরু করেন। এদিন তিনি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ১, ২, ৩, ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচার করেন। এ সময় তিনি দক্ষিণ পানিশাইল, নুরুন নগর, মামুন নগর, চক্রবর্তী, ডালাস সিটি, লতিফপুর, হাতিমারা, সারদাগঞ্জ, স্কয়ার গেট, সুলতান মার্কেট, সুরাবাড়িতে অনুষ্ঠিত পথসভায় বক্তব্য রাখেন। এর আগের দিন মঙ্গলবার তিনি যোগীতলা নতুন বাজার, চান্দনা মধ্যপাড়া, সাধু কাচা বাজার, নলজানী, দক্ষিণ তেলিপাড়া, বাড়িয়ালী, টেকনগরপাড়া, তেলিপাড়া আশরাফিয়া মাদ্রাসার সামনে, বারবৈকা, দিঘিরচালা ও চান্দনা চৌরাস্তাসহ ১৩, ১৪, ১৫, ১৬, ১৭ এবং ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগ ও পথসভা করেন। পরে রাতে তিনি স্থানীয় লোহাকৈর মাজারে দোয়া করেন। মঙ্গলবারের নির্বাচনী প্রচার শেষে তিনি কাশিমপুর এলাকায় রাত্রিযাপন করেন। বিএনপি ॥ অপরদিকে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার বুধবার সকালে তার নিজ বাসায় বিভিন্ন পেশাজীবী ও আগত নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তিনি গাজীপুরকে পরিকল্পিত ও মাদকমুক্ত নগর করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিকেলে টঙ্গীর বিসিক, ফকির মার্কেট, ঝিনুমার্কেট, সালামের আটারকল, টিএন্ডটি, শিলমুন, গোপালপুর ও মরকুন প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভা করে ভোট প্রার্থনা করেন। আগের দিন মঙ্গলবার তিনি কাশিমপুর এলাকার সুরাবাড়ি রাইসমিল, সারদাগঞ্জ মনি ফ্যাশন, লতিফপুর প্রাইমারি স্কুল, হালিম মার্কেট, ফরচুন প্লাজা, জিরানি বাজার, বারেন্ডা, সাকের লেন এলাকায় গণসংযোগ করেন। এছাড়াও এদিনটিতে ২০ দলীয় জোট প্রার্থীর পক্ষে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডাঃ এজেডএম জাহিদ হোসেন ৪২নং ওয়ার্ডের পূবাইল করমতলা এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ সময় যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এলবার্ট পি কস্তা, ড্যাব কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক ডাঃ সাইফুল ইসলাম, ডাঃ মোঃ সফিউল্লাহ, ডাঃ আব্দুল কাদের, বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ, গাজীপুর জেলার সভাপতি অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, পেশাজীবী নেতা ইঞ্জিনিয়ার ফখরুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমিন, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রশিদ স্থানীয় বিএনপি নেতা মনির, সাইফ, খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এজেন্টদের প্রশিক্ষণের আয়োজন ॥ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এবারই প্রথম প্রার্থীদের নির্বাচনী এজেন্টদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রতি মেয়র প্রার্থীদের চার, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের প্রতি কাউন্সিলর প্রার্থীদের দুই এবং প্রতি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলরের একজন এজেন্টকে ওই প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। ট্রাফিক সহকারীদের প্রত্যাহার দাবি ॥ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম শিক্ষা ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত ও নগরীর বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে নিয়োজিত তিন শতাধিক ট্রাফিক সহকারীদের প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন সিটি নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার। নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দেয়া বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থীর নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত ট্রাফিক পুলিশ সহকারীরা জাহাঙ্গীর আলম শিক্ষা ফাউন্ডেশনের ব্যাচ ধারণ করে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছে। প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থী চলাচলের সময় আগে থেকেই রাস্তা যানজট মুক্ত রাখতে গিয়ে এসব ‘ট্রাফিক সহকারী’ বিপরীত পাশে যানজট সৃষ্টি করছে। একইভাবে আমি বা আমার নির্বাচনী প্রচার কাজে নিয়োজিত নেতাকর্মীরা মহাসড়কে চলাচলের সময় উক্ত ট্রাফিক সহকারীরা আমাদের চলাচল বাধাগ্রস্ত বা বিলম্বিত করতে সুকৌশলে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি করে থাকে। খুলনায় প্রচারে নতুন মাত্রা ॥ খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রচার জমজমাট হয়ে উঠেছে। গণসংযোগ, মতবিনিময় সভা, পথসভা, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাওয়ার সঙ্গে নতুন মাত্রা পেয়েছে ডিজিটাল প্রচার। আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের পক্ষে ডিজিটাল প্রচার খুলনা শহর ছাপিয়ে দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ছে। তরুণরা বর্তমানে ডিজিটাল মাধ্যমে বেশি যুক্ত থাকায় তাদের আকৃষ্ট করতে ডিজিটাল মাধ্যমকে ব্যবহার করছেন প্রার্থীরা। নির্বাচনী মাঠে সনাতন পদ্ধতির প্রচার কার্যক্রমের সঙ্গে ডিজিটাল প্রচার বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছে। কেসিসি নির্বাচনে শুধু মেয়র প্রার্থী নয়, কাউন্সিল প্রার্থীরাও জোর কদমে প্রচার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। ভোর হতে না হতেই প্রার্থীরা গণসংযোগে নেমে পড়ছেন। তবে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু নিরলসভাবে দিন রাত প্রচারে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন। যেন খাওয়া-ঘুমের ফুরসতও তাদের হাতে নেই। এই দুই প্রার্থীর দলীয় কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতা এবং জোটভুক্ত দলের নেতারাও ব্যস্ত রয়েছেন গণসংযোগসহ নির্বাচনী অন্যান্য কার্যক্রমে। কর্মীরা ভোটারদের ঘরে ঘরে যাচ্ছেন প্রার্থীর ছবি ও প্রতীক সংবলিত লিফলেট নিয়ে। এর পাশাপাশি ডিজিটাল পদ্ধতিতে এই দুই মেয়র প্রার্থীর পক্ষে ব্যাপক প্রচার চলছে। কাউন্সিলর প্রার্থীদের অনেকের সমর্থনে ডিজিটার প্রচার চালানো হচ্ছে। খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৫ মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুর সমর্থকরা ফেসবুকে ফ্যানপেজ খুলে সেখানে প্রার্থীদের নাম, প্রতীক এবং ব্যক্তির ভাল দিকগুলো তুলে ধরছেন। গণসংযোগের বিভিন্ন ছবি দিয়ে ভোট চাইছেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কিছু দিন আগে তার নির্বাচনী প্রচারণার জন্য ‘ভোট ফর খালেক’ নামে একটি ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেছেন। বিএনপির পক্ষ থেকে তৈরি করা হয়েছে ‘বিএনপি খুলনা. কম’ নামের ওয়েবসাইট। ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি সংযোগের লক্ষ্যে ওয়েবসাইট, ফেসবুকসহ অন্যান্য ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। ধানের শীষের বিজয় ছিনিয়ে নেয়ার চক্রান্ত মোকাবেলা করা হবেÑ সমন্বয় কমিটি ॥ খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচন উপলক্ষে কেন্দ্রীয়ভাবে গঠিত ২০ দলীয় জোটের সমন্বয় কমিটির সভায় বুধবার দুপরে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অভিযোগ করা হয়, কেসিসি নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি অভিযান, গ্রেফতার ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে পুলিশ ও সাদা পোশাকধারী গোয়েন্দা পুলিশ। আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী প্রতিনিয়ত নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে চলেছেন। এ নিয়ে রিটার্নিং অফিসারের দফতরে যথাসময়ে অভিযোগ দেয়া হলেও মিলছে না প্রতিকার। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার জন্য সেনা মোতায়েনের দাবিতে কর্ণপাত করছেনা ইসি। কমিটির সমন্বয়কারী ও বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে সভায় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হয় কেসিসি নির্বাচনে ধানের শীষের নিশ্চিত বিজয় ছিনিয়ে নেয়ার যে কোন ষড়যন্ত্র নগরবাসীকে সঙ্গে নিয়ে কঠোরভাবে মোকাবেলা করবে বিএনপি। সভায় সার্বিক নির্বাচনী কর্মকা-ের ওপর ব্রিফিং করেন মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু। নারীদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির আশ্বাস খালেকের ॥ কেসিসি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক বুধবার সকালে নগরীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি স্থানীয় জনগণের সমস্যার কথা শোনেন এবং বলেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার কর্র্মক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে। আগের যেকোন সময়ের তুলনায় নারীরা এখন বেশি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে। তিনি বলেন, নারীদের জীবনমান উন্নয়নে তার বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি মেয়র নির্বাচিত হলে বিশেষ প্রকল্পের মাধ্যমে নারীদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে খালেক বলেন, সকলের সহযোগিতা তিনি রায়ের মহল এলাকায় খেলাধুলার জন্য মাঠের ব্যবস্থা এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নতি করা হবে বলে আশ্বাস দেন। ভরাডুবির আশঙ্কায় বিএনপি-সুজত রায় নন্দী ॥ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেছেন, খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অবধারিত ভরাডুবির আভাস পেয়ে বিএনপি অপরাজনীতির পথ বেছে নিয়েছে।
×