ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

নওয়াপাড়ায় ভৈরব সেতু ডিসেম্বরে চালু হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৪:৫৬, ৩ মে ২০১৮

নওয়াপাড়ায় ভৈরব সেতু  ডিসেম্বরে চালু হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোরের শিল্প ও বাণিজ্য শহর নওয়াপাড়াবাসীর স্বপ্নের ভৈরব সেতু চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসেই চালু হতে যাচ্ছে। সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ডিসেম্বরের মধ্যেই সেতুটির উদ্বোধনের পর তা সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে। এ লক্ষ্যে সেতুটির বাকি ৫ ভাগ কাজসহ দুই পাড়ে চলছে রাস্তা নির্মাণের কাজ। উভয়পাড়ের ৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এই রাস্তা নির্মাণের লক্ষ্যে সরকারের ব্যয় বাড়ছে আরও ৭ কোটি টাকা। সেতু পাড়ের গাছ-গাছালি, বাড়ি-ঘর সরানোর ব্যবস্থা ইতোমধ্যে করা হয়েছে। সেতু নির্মাণের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে ম্যাক্স র‌্যাংকিং জয়েন্ট ভেঞ্চার কর্তৃপক্ষ জানায়, ইতোমধ্যে সেতুটির নির্মাণ কাজ ৯৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ৫ ভাগ কাজ আগামী জুন মাসের মধ্যেই সমাপ্ত করার লক্ষ্যে অবিরাম কাজ করে চলেছে তারা। গত সোমবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, নওয়াপাড়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের মশরহাটি এবং শ্রীধরপুর ইউনিয়নের দেয়াপাড়া এলাকায় নির্মিত হচ্ছে অভয়নগরবাসীর স্বপ্নের এই ভৈরব সেতু। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল মন্ত্রণালয় ভৈরব সেতু নির্মাণে ৭৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয় করছে। সেতুটি ৭০২ দশমিক ৫৫ মিটার দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ হচ্ছে ৮ দশমিক ১ মিটার। ম্যাক্স র‌্যাংকিং জয়েন্ট ভেঞ্চারের প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, এ বছরের জুন মাসের মধ্যেই শেষ হবে এই সেতুটির নির্মাণ কাজ। তাছাড়া সেতুটির দুই পাড়ে ৩ কিলোমিটারের রাস্তার কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। ইতোমধ্যে রাস্তা নির্মাণে সরকার বরাদ্দ দিয়েছে ৭ কোটি টাকা। তাই আশা করছি, এ বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই সেতুটির উদ্বোধনের পর যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা যাবে। তিনি আরও জানান, ২০১৫ সালের জুন মাসে শুরু হয় এই সেতুর নির্মাণ কাজ। মাঝপথে জমি অধিগ্রহণের জন্য কিছুটা বিলম্ব ঘটে। ১৫টি পিয়ারের (কলাম) উপর দাঁড়িয়ে থাকবে স্বপ্নের এই সেতুটি। সেতুটি নির্মাণের ফলে লাখ লাখ মানুষ উপকৃত হবে। সেতুর পশ্চিমপাড়ের বাসিন্দা পৌর কাউন্সিলর শেখ আবদুল ওয়াদুদ জানান, আমাদের স্বপ্নের ভৈরব সেতুটি নির্মিত হলে আমাদের পশ্চিম পাড়সহ পূর্ব পাড়ের লাখ লাখ মানুষের দুঃখ লাঘব হবে। উপজেলার শংকরপাশা গ্রামের বাসিন্দা বিশিষ্ট সমাজসেবক আলী আকবর বিশ্বাস ও বাবলু রায় বলেন, সেতুটি চালু হলে রাজধানী ঢাকায় যেতে সময় লাগবে কম। এখন নওয়াপাড়াবাসীর ঢাকা যেতে হয় যশোর হয়ে, ব্রিজটি চালু হলে নড়াইল হয়ে কালনা ফেরি পার হয়ে সোজা মাওয়া দিয়ে অল্প সময়ে ঢাকা যাওয়া যাবে। তাছাড়া সেতুটি চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাণিজ্য শহর নওয়াপাড়াসহ নড়াইল, যশোর, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলার ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে।
×