ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কর্মসংস্থান তৈরিতে অবদান রাখছে আইপি টেলিফোন

প্রকাশিত: ০৪:৪৮, ৩ মে ২০১৮

কর্মসংস্থান তৈরিতে অবদান রাখছে আইপি টেলিফোন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি ২০০৯ সালে দেশের ৩২টি ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে দেয় আইপি টেলিফোনি (আইপি) সেবার লাইসেন্স। ২০১০ সালে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান সেবা দিতে শুরু করলেও বর্তমানে ৮-১০টা অপারেটর এই সেবা দিচ্ছে। বাকি যে প্রতিষ্ঠানগুলো ছিল সেগুলোর লাইসেন্স বাতিল হয়ে গেছে নয় তো অপারেটরগুলো লাইসেন্স ফিরিয়ে দিয়েছে। যে প্রতিষ্ঠানগুলো এখন সেবা দিচ্ছে সেগুলো নতুন নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। বর্তমানে আইপি টেলিফোনি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কলসেন্টারগুলোতে ব্যবহার হচ্ছে আইপি ফোন। স্মার্ট যোগাযোগ পদ্ধতি হওয়ায় বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো বিশেষ করে ব্যাংকগুলোর প্রতি ঝুঁকছে। এই প্রযুক্তি সময় এবং অর্থ সাশ্রয় করেছে। বিভিন্ন কোম্পানি এখন তাদের পণ্য ও সেবার প্রচারে টেলি-মার্কেটিংয়ে আইপি ফোন ব্যবহার করছে। জানা গেছে, ব্যাংকের কল সেন্টারগুলো আগে বেশ সমস্যায় ছিল। সে সময় বিটিসিএল-এর ল্যান্ডফোন ছাড়া অন্য কোনও সংযোগ ছিল না। আইপি টেলিফোনি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান আসার পর প্রতিযোগিতামূলক সেবা গ্রহণ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়। আইপি প্রযুক্তির কারণে গ্রাহকদের বিনিয়োগও অনেক কমে আসছে। বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব আউটসোর্সিং এ্যান্ড কল সেন্টারের (বাক্য) সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন জানান, আইপি ফোনের কারণে কল সেন্টারগুলো পরিচালনা সহজ হয়েছে। বিপিও খাতের প্রসারে আইপি ফোনের ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইপি ফোন সব পক্ষকেই স্বস্তি দিচ্ছে। আইপি টেলিফোনি প্রযুক্তি কয়েক ঘণ্টায় সেবা চালু করতে পারে। বর্তমানে আম্বার আইটি, বিডিকমসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান সফলতার সঙ্গে আইপি টেলিফোনি সেবা দিচ্ছে। আম্বার আইটির রয়েছে আইপি ফোনের টোটাল সলিউশন। ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, বিকাশ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানগুলো আম্বারের সেবা নিচ্ছে বলে জানা গেছে। দিনে দিনে এসব প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক বাড়ছে। বর্তমানে ব্যাংকগুলোর পাশাপাশি ডিজিকন, সুপারটেলের মতো অনেক দেশী-বিদেশী প্রতিষ্ঠান এ ব্যবসায় এগিয়ে এসেছে। অভ্যন্তরীণ কল সেন্টারগুলো একটা নতুন ব্যবসা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে একটা নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরিতে ভূমিকা রাখছে। আগে কল সেন্টারে এজেন্ট হিসেবে চাকরির জন্য যেখানে ভাল ইংরেজী জানাটা বাধ্যতামূলক ছিল যা অনেকের জন্য প্রতিবন্ধকতা তৈরি করত। এ ধরনের কল সেন্টারে যেহেতু দেশের গ্রাহককে সেবা দেয়া হয় কাজেই বাংলা ভাষাতেই তারা সেবা দিতে পারছে। উন্নত প্রযুক্তি এবং সেবার মান ভাল হওয়ার কারণে এই সেবায় কল ভলিউম প্রতিনিয়ত বাড়ছে, যা কর্মসংস্থান তৈরি এবং দক্ষ জনবল সৃষ্টি করছে যা বিপিও (বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং) খাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে।
×