ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রস্তুতি ম্যাচ

তামিমের ব্যাট দিয়ে রুমানার সেঞ্চুরি

প্রকাশিত: ০৪:২৪, ৩ মে ২০১৮

তামিমের ব্যাট দিয়ে রুমানার সেঞ্চুরি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দুটি ব্যাটই চুরি হয়ে গেছে। কি করার। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য উড়াল দিতেও অল্প সময় আছে। এই মুহূর্তে ব্যাট কেনা কঠিন। আর তাই বাংলাদেশ ওপেনার তামিম ইকবালকে সামনে পেয়েই রুমানা আহমেদ বলে দিলেন ব্যাট চুরি হয়ে যাওয়ার কথা। তামিমও মুহূর্তেই একটি ব্যাট রুমানাকে উপহার দিয়ে দেন। সেই ব্যাট দিয়েই রুমানা বুধবার সেঞ্চুরি হাঁকান। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে প্রস্তুতি ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকান রুমানা। নর্থ ওয়েস্ট উইমেন্স দলের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে ১৩৬ রান করেন রুমানা। ১৪৪ বলে আট চারে ১৩৬ রান করেন রুমানা। পচেফস্ট্রুমে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি বাংলাদেশের। চার রানেই সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার সানজিদা ইসলাম ও মুর্শিদা খাতুন। তবে তৃতীয় উইকেটে ফারজানা খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে ২৬৬ রানের বিশাল জুটি গড়েন রুমানা। এই জুটি গড়ার পথে ১৩০ বলে ১২ চারের মারে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন রুমানা। শেষ পর্যন্ত ২০ চারে ১৩৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। শুধু রুমানাই নন, সেঞ্চুরি পেয়েছেন ফারজানাও। ১৪৩ বলে ১০ চারের মারে ১০২ রান করে অপরাজিত থাকেন ফারজানা। এই দু’জনের ব্যাটে চড়েই মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ২৭০ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ। তামিম ‘সিএ’ ব্যাট দিয়ে খেলেন। রুমানাও তাই। আর এ জন্যই তামিমের কাছেই মনের কথা খুলে বলেন রুমানা। ব্যাট হারিয়ে গেছে। ব্যাট লাগবে। তা জানাতেই ব্যাট হাজির হয়েছে। সেই ব্যাট পেয়ে আনন্দিতও হয়েছিলেন রুমানা। বলেছিলেন, ভাল কিছু করে দেখানোর চেষ্টা করবেন। রুমানা প্রস্তুতি ম্যাচেই তা করে দেখালেন। বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা নারী দলের মধ্যকার শুক্রবার সিরিজের প্রথম ওয়ানডেটি হবে পোচেফস্ট্রুমের সেনওয়াস পার্কে। এরপর এক এক করে ৬ মে দ্বিতীয়, ৯ মে তৃতীয়, ১১ মে চতুর্থ ও ১৪ মে পঞ্চম ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে। ওয়ানডে সিরিজের পর ১৭ মে প্রথম টি২০, ১৯ মে দ্বিতীয় ও ২০ মে তৃতীয় টি২০ হবে। ২১ মে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন নারী ক্রিকেটাররা। ২৮ এপ্রিল দিবাগত রাতে দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশে দেশ ছেড়েছিল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। এ সিরিজ নিয়ে বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক রুমানা আহমেদ জানিয়েছিলেন, ‘আমাদের দেশের যে সমস্যা হয়, আমরা জেতার জন্যই খেলি। কিন্তু দীর্ঘ এক বছর পর আমরা আন্তর্জাতিক সফরে যাচ্ছি। হার-জিত খেলার অংশ। কিন্তু আমি মনে করি, এটা আমাদের অভিজ্ঞতা অর্জনে কাজে লাগবে।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘২০১৩ সালে আমরা দক্ষিণ আফ্রিকা গিয়েছিলাম। ২০১৭ সালে তারা আমাদের দেশে এসেছিল। ২০১২ সালেও খেলা হয়েছে। সবমিলিয়ে ওদের সঙ্গে তিনটা সিরিজ কিন্তু খেলেছি অতীতে। বেশি হয়তো জয় ছিল না, হয়তো দুই-তিনটা জয় ছিল। সবমিলিয়ে ওরা বিশ্বের চার নম্বর দল। আমরা নয় নম্বর। তার মানে এই না যে আমরা ভেঙ্গে পড়ছি বা পারি না। আমাদের উদ্দেশ্য থাকবে যেহেতু দীর্ঘ এক বছর পর খেলছি ভাল করব এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করব। আমাদের আত্মবিশ্বাস আছে, ভাল কিছু করতে পারব।’ সেই ভালর শুরু যেন মিলে গেল।
×