ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বকাপে ভাল কিছু প্রত্যাশা মুশফিকের

প্রকাশিত: ০৪:২৪, ৩ মে ২০১৮

বিশ্বকাপে ভাল কিছু প্রত্যাশা মুশফিকের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্বকাপ আসতে এখনও একবছর বাকি। কিন্তু যখনই সূচী ঘোষণা করে দিয়েছে আইসিসি, তখন থেকেই এ নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে। এবার ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ যে হবে ১০ দলের। সব দল সবার সঙ্গে খেলবে। বাংলাদেশ গ্রুপপর্বেই ৯টি ম্যাচ খেলবে। অনেক ম্যাচ খেলার সুযোগ। আর তাই দল কি করতে পারবে এ নিয়েও আগ্রহের কমতি নেই। বাংলাদেশ দলের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীম ভাল কিছুর আশাই করছেন। তিনি বলেছেন, ‘এখনও এক বছরের মতো বাকি আছে। দীর্ঘ সময়। কি হবে না হবে বলা কঠিন। অবশ্যই চেষ্টা থাকবে বিশ্বকাপটা খেলার।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘যেটা বললেন সবার সঙ্গে সবার খেলা হবে। ওইরকম সুযোগ আমাদের দরকার ছিল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আমাদের ভাল একটা স্মৃতি আছে ইংল্যান্ডে। আশা থাকবে, সবার প্রত্যাশাও থাকবে বাংলাদেশ দল আগে যা করেছে তারচেয়ে বেটার করবে। সেই সামর্থ্য আছে আমাদের। এই বিশ্বকাপে আমাদের তেমন একটা দল যেতে পারে যা কিনা গত তিন-চার বিশ্বকাপ থেকে ভাল করার এই একটা সুযোগ। আমি মনে করি আমরা যারা চার-পাঁচজন সিনিয়র আছি এবং জুনিয়রাও মিলে যদি খেলতে পারি তাহলে ভাল কিছু করার সুযোগ আছে।’ বিশ্বকাপ হবে ইংল্যান্ড এ্যান্ড ওয়েলসে। আর বাংলাদেশ সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ইংল্যান্ডে সেমিফাইনালে খেলেছে। এ স্মৃতিই যেন প্রেরণা হয়ে ধরা দিচ্ছে। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ ইংল্যান্ড এ্যান্ড ওয়েলসে ৩০ মে থেকে ১৪ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। সম্প্রতি ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের চূড়ান্ত সূচী প্রকাশ করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ হবে ১৯৯২ সালের ফরমেটে। যেখানে গ্রুপপর্বে প্রতিটি দল পরস্পরের বিপক্ষে খেলেছিল। থাকছে না কোন কোয়ার্টার ফাইনাল। পয়েন্ট তালিকায় সেরা চার দল উঠবে সেমিফাইনালে। এরপর লর্ডসে হবে ফাইনাল। মোট ৪৮টি ম্যাচ হবে ৪৬ দিনের টুর্নামেন্টে। পঞ্চমবারেরে মতো বিশ্বকাপ ক্রিকেট আয়োজন করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। এর আগে তারা ১৯৭৫, ১৯৭৯, ১৯৮৩ ও ১৯৯৯ এ বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল। ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপেই বাংলাদেশ চমক দেখিয়েছিল। তারা পাকিস্তানকে হারিয়ে ছিল। তার পরই বাংলাদেশ পেয়ে যায় টেস্ট স্ট্যাটাস। ইংল্যান্ডে বাংলাদেশের সুখস্মৃতি ভালই আছে। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেই যেমন নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছে। কার্ডিফে এর আগে ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে। আর ইংল্যান্ডকেও তাদের মাটিতে হারিয়েছে। আর তাই ইংল্যান্ডে খেলা বাংলাদেশের জন্য সুবিধারই। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন শুরু হবে ২ জুন। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে লড়বে টাইগাররা। ৫ জুন একই ভেন্যুতে নিজেদের একমাত্র দিবারাত্রির ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ। এরপর স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৮ জুন কার্ডিফে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে খেলবে বাংলাদেশ। ১১ জুন ব্রিস্টলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে, ১৭ জুন টৌনটনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, ২০ জুন নটিংহ্যামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, ২৪ জুন সাউদাম্পটনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে, ২ জুলাই বার্মিংহ্যামে ভারতের বিপক্ষে, ৫ জুলাই লর্ডসে পাকিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে লড়াই করবে বাংলাদেশ। দুই সেমি-ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ৯ জুলাই এবং ১১ জুলাই। ১৪ জুলাই ফাইনালের সাক্ষী হবে ঐতিহাসিক লর্ডস। এর আগে বাংলাদেশ ৫টি ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলে। ১৯৯৯ সালে ইংল্যান্ড এ্যান্ড ওয়েলসে প্রথম, ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় দ্বিতীয়, ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে তৃতীয়, ২০১১ সালে বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কায় হওয়া বিশ্বকাপে চতুর্থ ও ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে হওয়া বিশ্বকাপে পঞ্চমবারের মতো খেলে। একবার শুধু ৯টি ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়। গ্রুপপর্ব পেরিয়ে সুপার এইটে খেলে বাংলাদেশ। গ্রুপপর্বে তিন ম্যাচ ও সুপার এইটে ৬ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। আগামী বিশ্বকাপেও ৯ ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে এবার গ্রুপপর্বেই খেলতে হবে সেই ৯ ম্যাচ। খেলা ইংল্যান্ড এ্যান্ড ওয়েলসে হবে। তাই মুশফিক ভাল করার আশা দেখছেন।
×