ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে সেরেনা

প্রকাশিত: ০৪:২৩, ৩ মে ২০১৮

কঠিন চ্যালেঞ্জের  মুখে সেরেনা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সেরেনা উইলিয়মসকে নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত খোদ উইম্বলডনের আয়োজক কমিটি। কেননা প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে টেনিস কোর্টের বাইরে ছিলেন সেরেনা। সেই প্রভাব পড়েছে তার র‌্যাঙ্কিংয়েও। এই মুহূর্তে তার ডব্লিউটিএ র‌্যাঙ্কিং ৪৪৯। প্রথমে বিয়ে তারপর সন্তানের জন্মের কারণে দীর্ঘদিন টেনিস থেকে বিরতি নিয়েছিলেন টেনিসের ওপেনযুগে সর্বোচ্চ গ্র্যান্ডস্লামের মালিক। এমনকি এ্যালেক্সিস অলিম্পিয়ার জন্মের সময়ে বেশ খারাপ সময়ও পার করতে হয়েছে তাকে। এক সাক্ষাতকারে তিনি জানিয়েছিলেন যে, একসময় মৃত্যুর মুখে চলে যেতে হয়েছিল তাকে। কঠিন সেই সময় পার করে কোর্টে ফিরেছেন সেরেনা উইলিয়ামস। কিন্তু এখন পর্যন্ত নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি তিনি। ইন্ডিয়ান ওয়েলসে নিজের বোন ভেনাস উইলিয়ামসের কাছে রাউন্ড অফ ৩২এ হেরে গিয়েছিলেন তিনি। আর মায়ামি ওপেনে তো আরও বাজে পারফর্মেন্স উপহার দেন বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের সাবেক এই নাম্বার ওয়ান তারকা। প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে জাপানের তরুণ প্রতিভাবান খেলোয়াড় নাওমি ওসাকার কাছে হার মানেন তিনি। তবে ২৩ গ্র্যান্ডস্লামের মালিক কী উইম্বলডনের বাছাইয়ে তকমা দেয়া হবে? তা নিয়েই চলছে এখন জল্পনা-কল্পনা। দুইপক্ষের মতো দুই রকম মেনে নিয়েছেন উইম্বলডন প্রধান। ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন সেরেনা। এবার তার সামনে ফেরার কঠিন চ্যালেঞ্জ। বর্তমান বিশ্ব টেনিসের এক নম্বর খেলোয়াড় রোমানিয়ার সিমোনা হ্যালেপ মনে করেন, সেরেনাকে ইন্ডিয়ান ওয়েলসেই শীর্ষ বাছাই হিসেবে খেলার সুযোগ দেয়া উচিত ছিল। কেননা শেষ টুর্নামেন্টে খেলার সময় সেরেনাই র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ছিলেন। উইম্বলডনের নিয়ম অনুযায়ী একজন খেলোয়াড় যদি র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ৩২এর বাইরে ছিটকে যান তাহলে তাকে বাছাই হিসেবে গণ্য করা হবে না। কিন্তু সেরেনা উইলিয়ামসের বিষয়টা একেবারেই ভিন্ন। তাই এ ব্যাপারে মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানিয়েছেন অল ইংল্যান্ড ক্লাবের চেয়ারম্যান ফিলিপ ব্রুক। এদিকে সেরেনার বর্তমান বয়স ৩৬ বছর। তাই প্রশ্ন উঠছে সন্তান জন্মের পর এ বয়সে সেরেনা কী পারবেন নিজেকে মেলে ধরতে? সেই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে তার সমর্থকদের মনের মধ্যে। অতীত ইতিহাস ঘাঁটাঘাঁটি করে দেখা যায় বেলজিয়ামের কিম ক্লাইস্টার্স এবং অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি সন্তান হওয়ার পরও গ্র্যান্ডসøাম জয়ের স্বাদ পেয়েছিলেন। তাই অনেকেই মনে করছেন সেরেনা উইলিয়ামসও পারবেন। এ প্রসঙ্গে ১৯৮০’র দশকের আমেরিকান টেনিস তারকা যিনি বর্তমানে ইএসপিএন-এর কমেন্টেটর পাম শ্রিভার বলেন, ‘তার না পারার কোন কারণই নেই। কারণ ত্রিশে যা করেছে তা অন্য কোন খেলোয়াড়ই করে দেখাতে পারেনি। সেরেনা উইলিয়ামসের জন্য এটা অন্য আরেকটি চ্যালেঞ্জের মতোই।’ ১৯৯৯ সালে ইউএস ওপেন জয়ের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক টেনিসের পাদপ্রদীপের আলোয় উঠে আসেন সেরেনা। এরপর আর পেছনের দিকে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। গত বছরের জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতে জার্মান কিংবদন্তি স্টেফিগ্রাফের রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে যান তিনি। বর্তমানে টেনিসের উন্মুক্তযুগে সবচেয়ে বেশি গ্র্যান্ডস্লামের মালিক সেরেনা। আমেরিকান টেনিসের জীবন্ত কিংবদন্তির সামনে এখন নতুন মাইলফলকের হাতছানি। সবমিলিয়ে ২৪টি গ্র্যান্ডস্লাম জেতা মার্গারেট কোর্টকে ছোঁয়ার হাতছানি।
×