ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

স্মিথ-ওয়ার্নারদের প্রতি নমনীয় হচ্ছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশিত: ০৪:২১, ৩ মে ২০১৮

স্মিথ-ওয়ার্নারদের প্রতি নমনীয় হচ্ছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে কেপটাউন টেস্টে বহুল আলোচিত বল টেম্পারিংয়ের দায়ে এক বছরের জন্য সকল ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ অস্ট্রেলিয়ার দুই তারকা স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার। ওই ঘটনায় পুরো ক্রিকেট বিশ্বই কেঁপে উঠেছিল। খোদ অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রীর চাপে অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ককে এমন শাস্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। তবে এত কঠোর শাস্তির পক্ষে, বিপক্ষে দু’দিকেই জনমত তৈরি হয়। সিএ তখন বলেছিল, দলে ফিরলেও আর কখনই অধিনায়ক হতে পারবেন না তারা। সেই সিএ সুর বদলে নমনীয় হচ্ছে। বোর্ড প্রধান জেমস সাদারল্যান্ড বলেছেন, ‘সুযোগটা ওদের পাওয়া উচিত।’ এখন তিনি বলছেন, ‘আরও একবার সুযোগ পাওয়া উচিত স্মিথ-ওয়ার্নারদের। একই সঙ্গে ক্রিকেটারদের নৈতিকভাবে দৃঢ় করতে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে ব্যবস্থা নিয়েছে সিএ।’ এদিকে নির্বাহী পরিচালক সিমনের নেতৃত্বে একটি এথিক্স কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেটি ক্রিকেটারদের নৈতিক শিক্ষা দেবে। একই সঙ্গে সাবেক টেস্ট ওপেনার রিক ম্যাককস্কারের নেতৃত্বে একটি রিভিউ কমিটি গঠন করেছে বোর্ড। কমিটিতে আরও আছেন নতুন টেস্ট অধিনায়ক টিম পেইন, প্যাট কামিন্স, নারী দলের অধিনায়ক রাচেল হায়নেস এবং বর্তমান ক্রিকেটারদের পক্ষে আছেন শেন ওয়াটসন ও জর্জ বেইলি। ক্রিকেটারদের গতিবিধি নিয়ে কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে সেটি তদন্ত করবে এই কমিটি। উল্লেখ্য, বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগে স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারকে সবধরনের ক্রিকেট থেকে এক বছর করে নিষিদ্ধ করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। একই অপরাধে ক্যামেরন ব্যানক্রফটের নিষেধাজ্ঞা ৯ মাসের। শুধু তাই নয় তিন ক্রিকেটারই বাদ পড়েছেন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকেও। তবে এই তিন তারকাকে আরও একবার সুযোগ দেয়া উচিত বলে মনে করেছেন ক্রিকেট সিএ প্রধান নির্বাহী সাদারল্যান্ড। গত মার্চে কেপটাউন টেস্টের তৃতীয়দিনে দ্বিতীয় সেশনের সময় বিতর্কিত ঘটনাটি ঘটায় অস্ট্রেলিয়া। টিভিতে ধরা পড়ে হলুদ কাপড়ের মতো কিছু একটা (আসলে সিরীষ কাগজ) পকেট থেকে বের করেছিলেন ব্যানক্রফট। পরে সেটি লুকানোর চেষ্টা করেন তার ট্রাউজারের ভেতরে। দিনের খেলা শেষে অধিনায়ক স্মিথ দোষ স্বীকার করে জানান বল টেম্পারিংয়ের চেষ্টা করার সিদ্ধান্তটি ছিল দলীয়। ওই ম্যাচেই নেতৃত্ব হারান তিনি। বাদ পড়েন পরের টেস্ট থেকে। মান বাঁচাতেই অতটা কঠোর হয়েছিল সিএ। তবে বাস্তবতা হচ্ছে এই দু’জনকে ছাড়া মাঠের ক্রিকেটেও দলটির ভরাডুবি নিশ্চিত। আগামী বছর বিশ্বকাপ পর্যন্ত যদি তার মাঠের বাইরে থাকেন তবে রেকর্ড চ্যাম্পিয়নদের কপালে আরও দুর্ভোগ নেমে আসবে। তার ওপর ধারণা করা হচ্ছে স্পন্সর, দর্শক ডিমান্ড, এসব বিবেচনা করেই সিএ’র মনোভাবের এই পরিবর্তন।
×