ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শ্রমজীবী মানুষের গান -এল এন উজ্জ্বল

প্রকাশিত: ০৬:৪১, ১ মে ২০১৮

শ্রমজীবী মানুষের গান  -এল এন উজ্জ্বল

১ মে বিশ্বে শ্রমিক দিবস, এই দিবসে বিশ্ব মানবতার মুক্তির স্লোগান নিয়ে সারা বিশ্বে জেগে ওঠে শ্রমজীবী মানুষ । শ্রমিকের এই ত্যাগ স্মরণে প্রকাশ পেয়েছে এল এন উজ্জ্বলের গান ‘ওরা শ্রমজীবী’ গানটি। বাংলার ও বিশ্বের মেহনতী কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর ভাইদের উৎসর্গ করা হয়েছে, ‘ওরা শ্রমজীবী’ শিরোনামের গানটি। ইতোমধ্যে গানটির মিউজিক ভিডিওর কাজ শেষ হয়েছে। তার কাহিনীতে ফুটিয়ে তুলেছেন বাস্তবতায় একজন শ্রমিক কিভাবে জীবন যুদ্ধে থেমে যায়। একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না। তারই জীবন্ত প্রতিছবি-এই গানটি। কণ্ঠশিল্পী এল এন উজ্জ্বল ও সহশিল্পী নিঝুম গুপ্তা। গানটি লিখেছেন শিল্পী নিজেই এবং গানটির সুর ও সঙ্গীতায়োজন করছেন সুশীল কুমার। মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করেছেন- বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের গুণী অভিনেত্রী খালেদা আক্তার কল্পনা, কেন্দ্রীয় চরিত্রে জসিম রহমান, চরিত্রে রিসতা ও আরও অনেকে। পুরো গানটিজুড়ে তুলে ধরা হয়েছে শ্রমিকের আর্তনাদ এবং দাবি-দাওয়া। চাওয়া হয়েছে শ্রমিকের ন্যায্য হিস্যা। গানটিতে জীবন যুদ্ধে হারিয়ে যাওয়া এক শ্রমিকের হতভাগ্য পরিবারের দুরবস্থা ফুটিযে তোলা হয়েছে। ঘটনার আকস্মিতায় মৃত্যু হয় শ্রমিকের। কিন্তু শ্রমিকের পরিবারের দায়িত্ব কে নেবে, কিংবা কি হবে ভবিষ্যত এমন একটি চাওয়া থেকে মিউজিক ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে। যার প্রতিটি পরতে পরতে চাওয়া হয়েছে শ্রমিকের নিশ্চিত ভবিষ্যতের অঙ্গীকার। গানটির প্রসঙ্গে শিল্পী এল এন উজ্জ্বল বলেন, ভিন্ন ভাবনা থেকে গানটির জন্ম। এর আগেও রোমান্টিক গান করেছি আমি, কিন্তু শ্রমিকদের নিয়ে কোন গান করা হয়নি। সে ইচ্ছা থেকেও গানটি করেছি। তবে ওই যে বললাম ভিন্ন ভাবনা! সেটা হলো শ্রমিকের ভবিষ্যত। একটু পরিষ্কার করেই বলি, শ্রমিকের ঘাম কিংবা মেহনতী মানুষ নিয়ে গান হয়ত হয়েছে অনেক কিন্তু একটা বিষয় সবাই এড়িয়ে গেছে সেটা হলো শ্রমিকের ভবিষ্যত। অর্থাৎ চাকরি শেষে সবাই একটি অবসর ভাতা পায়, যেটা দিনমজুরের নেই। আবার কোন অফিসের স্টাফ হঠাৎ মারা গেলে তার পরিবর্তে অনেক সময় পরিবারের কাউকে চাকরির সুযোগটা করে দেয়া হয় যেটা দিনমজুরের জন্য নয়। এবং কোন প্রজেক্টে কাজ করতে গিয়ে কোন দিনমজুর যদি মারাও যায় দেখা যায় সামান্য কিছু আর্থিক সহোযোগিতা দিয়ে বিষয়টা ধামা চাপা দেয়া হয়। কেউ আর ভাবে না আর্থিক উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটা না থাকলে পরিবারটা চলবে কিভাবে। কোথায় যায় তখন শ্রম মন্ত্রাণালয়। প্রতিবছরই মে দিবস আসে আর যায় কিন্তু কোথায় শ্রমিকদের উন্নতি। কোথায় তাদের জন্য পাস করা নতুন কোন আইন? কাগুজে কলমে কিছু হলেও তা বাস্তুবে দেখা যায় না। সে ভাবনা থেকেই গানটি তৈরি করা। আশা করি ভাল লাগবে সবার। ১ মে আশুলিয়ার ফ্যান্টাসি কিংডম গ্রাউন্ডে শ্রমিক দিবস আয়োজিত সরকারী এক অনুষ্ঠানে গানটি পরিবেশন করা হবে। এবং সেই সঙ্গে গানটি ১ মে মঙ্গলবার ২০১৮ ‘শুভ মুক্তি’ পেতে যাচ্ছে। ডিপ্রজন্ম ডেস্ক
×