ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চার মাসে ১৮৭১ সড়ক দুর্ঘটনায় ২১২৩ জন নিহত

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ১ মে ২০১৮

চার মাসে ১৮৭১ সড়ক দুর্ঘটনায় ২১২৩ জন নিহত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের সড়ক যোগাযোগ খাতের খবর শুভ নয়। এক কথায় বললে, সড়ক দুর্ঘটনায় অভিশপ্ত এখন সড়ক যোগাযোগ খাত। সড়কগুলোতে প্রাণহানি বা অঙ্গহানি এখন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিতুমীর কলেজের মেধাবী শিক্ষার্র্থী রাজীব হোসেনের মৃত্যু এখনও দেশবাসীর মনে দগদগে ক্ষত হয়ে আছে। তার ভগ্নহৃদয়ে আর্তি যখন মানবিক আঘাত হানছে, তখন পরাঘাত এসেছে বাসের চাকায় পা হারানো গৃহকর্মী রোজিনার মৃত্যুর সংবাদ। এভাবে ঝরে যাচ্ছে অসংখ্য তাজা প্রাণ। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চার মাসে ১ হাজার ৮৭১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২ হাজার ১২৩ জন নিহত ও ৫ হাজার ৫৫৮ জন আহত হয়েছে। সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি এই পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন বিশ্লেষণে গত বছরের তুলনায় এই সময়ে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে। দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রসমূহে প্রচারিত সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করে সংগঠনটি। সড়ক দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, দেশের ৬টি বিভাগীয় হাসপাতালের তথ্য অনুসারে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিগত ৪ মাসে মারা গেছে ২০৬ জন। বিদায়ী বছরের একই সময়ে ছোট-বড় ১ হাজার ৭৬৫টি সড়ক দুর্ঘটনায ১৯৭৯ জন নিহত ও ৪ হাজার ৭২৭ জন আহত হয়েছিল। এতে দেখা গেছে ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে মোট দুর্ঘটনা ১ দশমিক ৬ শতাংশ, নিহত ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ, আহত ৮ দশমিক ৩১ শতাংশ বেড়েছে। সুপারিশ মালা ॥ সড়ক দুর্ঘটনাকে জাতীয় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে জরুরী ভিক্তিতে এসব দুর্ঘটনার প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি কমাতে উদ্যোগ গ্রহণ। মালিক-শ্রমিক-যাত্রী-সরকার মিলে সম্মিলিতভাবে এই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ গ্রহণ। ফিটনেস বিহীন মেয়াদউত্তীর্ণ লক্কড়-ঝক্কড় যানবাহন উচ্ছেদ করে মানসম্মত যানবাহনের ব্যবস্থা করা। চালকদের আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, চালকদের হাতে দৈনিক চুক্তিভিক্তিক বাস, ট্রাক, হিউম্যান হলারসহ অন্য যানবাহন ইজারা দেয়া বন্ধ করা, দেশের সকল বেহাল সড়ক-মহাসড়ক সংস্কার করা, ট্রাফিক আইনের যথাযথ প্রয়োগ, বিআরটিএকে শক্তিশালী করা, পরিবহন খাতকে রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত করা ও ফুটপাত নির্মাণ, সংস্কার এবং বেদখল মুক্ত করে হাঁটার পরিবেশ নিশ্চিত করা।
×