ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পহেলা মে শ্রমিক লড়াইয়ের অনন্য দিন

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ১ মে ২০১৮

পহেলা মে শ্রমিক লড়াইয়ের অনন্য দিন

১৮৮৬ সালের ১ মে বঞ্চনার শিকার সংগঠিত শ্রমিক শ্রেণীর রক্ত প্লাবনের এক ঐতিহাসিক ঘটনাপঞ্জি। ১৬ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে ৮ ঘণ্টা শ্রম সময় দাবির কঠোর ব্রত নিয়ে সেদিন আমেরিকার শিকাগো শহরের হে মার্কেটের অগণিত শ্রমিক রাজপথে নেমে আসে। সময়ের দুর্বার মিছিলে যা শুধু শিকাগো শহরেই সীমাবদ্ধ থাকে না বিশ্বব্যাপী এ আন্দোলনের বহ্নিশিখা ছড়িয়ে পড়তে সময়ও লাগেনি। কারণ ব্যাপারটি শুধু নির্দিষ্ট বলয়ে আটকে থাকার মতো নয়। যে কোন বিশেষ উৎপাদন ব্যবস্থার বিরাট শক্তি এই শ্রমিক শ্রেণী সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছে। যাদের মূল্যবান শ্রমশক্তির বিনিময়ে যে কোন দেশের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা শুধু গতিই পায় না পুরো কাঠামো শক্ত আর মজবুত করতে নির্ণয়রের ভূমিকাও পালন করে। যাদের বাদ দিলে পুরো ব্যবস্থা দিশেহারা হতে সময় লাগে না। অথচ তারাই সমাজের মূল উৎপাদক শ্রেণী হয়েও বঞ্চিত এমনকি সর্বহারাও। বলা হয়ে থাকে এই শ্রমিকের নাকি শ্রম হারানো ছাড়া কিছু হারাবার থাকে না। কায়িক শ্রম শক্তি বিনিয়োগ করে যারা অর্থনীতির চাকা সচল রাখে তাদের বঞ্চনার ইতিহাস কি শুধুই ১৮৮৬ সালের বিশেষ দিনের এক রক্তমাখা অধ্যায়ের আখ্যান? নাকি সৃষ্টির ঊষালগ্ন থেকেই এর একটি ধারাবাহিক ঐতিহাসিক পটভূমি আছে? আমরা একটু পেছনের দিকে ফিরে তাকালেই দেখতে পাব এর একটি পর্যায়ক্রমিক দুঃসহ অভিযাত্রা যা আজ অবধি একটি চলমান প্রক্রিয়া। ঊনবিংশ শতাব্দীর বস্তুবাদী সমাজ বিশ্লেষক কার্ল মার্কস তাঁর ‘কমিউনিস্ট মেনিফেস্টো’ বইটি শুরু করেছিলেন এই বলে, ‘আজ পর্যন্ত সমাজে যত ইতিহাস হয়েছে তা প্রতিটি ঐতিহাসিক যুগের শ্রেণী সংগ্রামের ইতিহাস।’ পরবর্তীতে এঙ্গেলস এই বিশেষ বাক্যটিতে তারা চিহ্ন দিয়ে পাদটীকায় যোগ করেন আদিম সমাজ বাদে। মার্কস বর্ণিত পাঁচটি সমাজ কাঠামোর বিশেষ স্তর নির্দেশনায় যা আছে তা হলো- ১. আদিম সাম্যবাদ ২. দাস প্রথা ৩. সামন্ত যুগ ৪. পুঁজিবাদী সমাজ ও ৫. সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা যা সর্বশেষে সাম্যবাদের জন্ম দেবে। বিভিন্ন ঐতিহাসিক যুগের এই সমাজ কাঠামোর ৫টি অবয়ব কম-বেশি সব সামাজিক চিন্তক তাদের বিশ্লেষণে উপস্থাপন করেছেন। কোন নির্দিষ্ট ব্যবস্থার প্রতি আস্থা আর বিশ্বাস একেবারে ভিন্ন কথা। কিন্তু সমাজ ব্যাখ্যার ঐতিহাসিক তত্ত্বে তেমন কোন গরমিল দেখা যায়নি বিভিন্ন সমাজ গবেষকের বস্তুনিষ্ঠ আলোচনায়। এ কথা সুবিদিত শ্রেণী বিভক্ত সমাজে উৎপাদনের মালিকানা থাকে সম্পদের প্রতিভুদের হাতে আর সাধারণ শ্রমিক শ্রেণী তার মূল্যবান কায়িক শ্রম বিনিয়োগ করে পুরো ব্যবস্থাকে সচল আর শক্তিশালী করে তোলে। পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম শ্রেণী বিন্যস্ত সমাজ হিসেবে দাস সমাজকেই সংজ্ঞায়িত করা হয়। দাস প্রভু, দাস এবং মুক্ত মানব। আদিম সমাজের ক্রান্তিলগ্নে যখন ব্যক্তিগত সম্পত্তির উদ্ভব ঘটে অখন দিগি¦জয়েরও প্রবল বাসনা নতুন সভ্য হওয়া মানুষের মনে দানা বাঁধতে থাকে। যাযাবর বৃত্তির অবসান ঘটে। ফলে স্থায়ী নিবাস এবং একটি সুসংহত উৎপাদন ব্যবস্থা গড়ে তোলার তাগিদ অনুভব হয়। যুদ্ধ এবং সংঘাতের মধ্য দিয়ে নতুন আস্তানা তৈরি দাস সমাজ ব্যবস্থার প্রাথমিক স্তর। বিজেতা শক্তির একাধিপত্যে বিজিতরা সব সময় শৃঙ্খলিত হয়ে দাসে পরিণত হতো। ফলে এক সময় গৃহদাস থেকে শুরু করে পুরো উৎপাদন ব্যবস্থা দাস শ্রমনির্ভর হয়ে গেল। প্রাচীন গ্রীক এবং রোমান সভ্যতার বিকাশমান যুগটাই ছিল অমানবিক দাস প্রথার ওপর নির্ভরশীল এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে বৃহত্তর গোষ্ঠীর পায়ে দাসত্বের শৃঙ্খল পরানো হয়েছিল। যে দুঃসহ কালপর্বে সক্রেটিস, প্লেটো, এ্যারিস্টটলের মতো গ্রীক দার্শনিকরা জ্ঞানের সাম্রাজ্যে সদর্পে বিচরণ করছিলেন। কিন্তু তাঁদের লেখনীতে অসহায়, বঞ্চিত এবং আটকে থাকা এই বৃহত্তর শ্রেণীর পক্ষে বিপক্ষে কোন বার্তায়ই সাধারণ মানুষের সামনে আসেনি। সে সময়ও দাসরা তাদের অধিকার ও দাবি আদায়ে বিদ্রোহ করত, সংঘবদ্ধ আন্দোলনেও শরিক হতো। ইতিহাস বিখ্যাত সেই ‘স্পাটাকা’ দাস বিদ্রোহ আজও অবিস্মরণীয় এক করুণ আখ্যান। কোন ধরনের সামাজিক এবং পারিবারিক অধিকার দাসদের ছিল না। বিয়ে পর্যন্ত তারা করতে পারত না। খ্রিস্টীয় চতুর্থ শতকে বর্বর জাতির আক্রমণে রোমান সভ্যতার পতন সুনিশ্চিত হলে এই অমানবিক দাস উৎপাদন ব্যবস্থার সলিল সমাধি হয়। তখন থেকে দশম শতাব্দী পর্যন্ত সারা ইউরোপে চলছিল এক অন্ধকার যুগ। সেখান থেকে সামন্ততন্ত্রের উৎপত্তি ও বিকাশ আর এক নতুন যুগের মহাপরিকল্পনা। পূর্বের দাস মালিকরা ছিন্ন ভিন্ন অবস্থায় এক সময় ঘুরে দাঁড়াতে সচেষ্ট হয়। উৎপাদন ব্যবস্থার মূল হাতিয়ার তখন পর্যন্ত ভূমিই। ভূমিকে কেন্দ্র করে মধ্যযুগে যে আর্থ-সামাজিক কাঠামো বিস্তার লাভ করে ইতিহাসে তা সামন্ততান্ত্রিক সমাজ হিসেবে বিবেচিত। এই সামন্ত যুগের আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য ছিল খ্রিস্টিয়ানিটি বা ক্যাথলিক ধর্ম। ফলে শ্রেণী ব্যবস্থার নিরিখে ধর্মীয় যাজকরা সর্বোচ্চ পদে আসীনই ছিল না সবচেয়ে বড় সামন্ত প্রভুও তারা ছিল। ধর্মানুভূতির দ্বারা শৃঙ্খলিত এই কঠিন বলয়ের উৎপাদক শ্রেণী বলতে ভূমির সঙ্গে অচ্ছেদ্য সম্পর্কে বাধা ভূমি দাসকেই বুঝাত। ভূমির সঙ্গে এই বন্ধন এত দৃঢ় আর মজবুত ছিল কোন সামন্ত প্রভু তার জমি বিক্রি করলে সঙ্গে ভূমিদাস ও বিক্রীত হয়ে যেত। মধ্য যুগের এই ক্যাথলিক চার্চ সর্বমানুষের চিন্তাকে করেছিল রুদ্ধ, প্রতিদিনের কর্ম জীবন হয়ে যায় গতিহীন এমনকি বিজ্ঞানকেও করে রাখে তার সেবাদাসী। ফলে সে জড়তা আর অসাড়তাকে আঘাত করা ছিল সেই সময়ের অপরিহার্য দাবি। ষোড়শ শতাব্দীতে ইউরোপে যে রেনেসাঁস বা পুনর্জাগরণ শুরু হয় তা ছিল মূলত এই ধর্মের কাঠিন্য থেকে সর্বমানুষের মুক্তির জন্য এক সাংস্কৃতিক লড়াই কিংবা উপরি কাঠামোগত বিপ্লব। কারণ সেই যুগসন্ধিক্ষণে ভেতরের মূল কাঠামো ছলে বলে কৌশলে উঠতি বেনিয়াদের মুনাফা অর্জনের সহায়ক শক্তি হিসেবে গড়ে উঠতে থাকে। পাশাপাশি বিজ্ঞানের অবিস্মরণীয় জয়যাত্রা, বিভিন্ন ভৌগোলিক আবিষ্কার আর উপনিবেশ স্থাপন নতুন সমাজ কাঠামোর ভিত্তিকে আরও গতিশীল পর্যায়ে নিয়ে যায়। জেমস ওয়াটের স্টিম ইঞ্জিনের আবিষ্কার শিল্প বিপ্লবের যে শুভযাত্রা সূচনা করে তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল উপনিবেশ আক্রান্ত দেশগুলো থেকে সম্পদ লুণ্ঠরের এক মহা অভিযাত্রা। অনেক ঐতিহাসিক এই অভিমতও ব্যক্ত করেন ১৭৫৭ সালে ক্লাইভের হাতে বাংলার পতন না হলে ১৭৬০ সালে ইংল্যান্ডে শিল্প বিপ্লব হতো না। অনেক ইংরেজ ঐতিহাসিক ও অর্থনীতিবিদ এও বলেছেন জেমস ওয়াটের আগেও বহু বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার পুঁজির অভাবে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি। অর্থাৎ শিল্প বিপ্লবের মাত্রাতিরিক্ত অর্থের যোগান দিতে হয়েছিল ভারতবর্ষের মতো আরও অনেক লুণ্ঠিত দেশকে। এ তো গেল পুঁজির আদিম সঞ্চয়নের মূলধনের ব্যাপারটি। যাদের মূল্যবান শক্তিই উৎপাদনের শ্রেষ্ঠ হাতিয়ার তাদের আধুনিক অবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়াল তাও ঐতিহাসিক ধারায় বিশ্লেষণ অত্যন্ত জরুরী। দেশ থেকে দেশান্তরে বণিক পুঁজির ক্রমবিকাশ ব্যবসা বাণিজ্যকে যে মাত্রায় নিয়ে যায় সেখানে ভূমির অবস্থান হয়ে যায় উৎপাদনের মূল ধারা থেকে বিচ্ছিন্ন, বিপন্ন। ফলে হাজারো ভূমিদাস উৎপাদন ব্যবস্থা থেকে ছিটকে পড়ে অসহায় এবং বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ফলে তৈরি হতে থাকে নতুন শ্রমিক শ্রেণী। অষ্টাদশ শতাব্দী থেকে শুরু হওয়া শিল্প বিপ্লবের অভিঘাতে ভূমিদাসদের নিঃস্ব হতে সময় লাগেনি। তারা শুধু সর্বহারাই হলো না একেবারে স্বাধীনও হয়ে গেল। ফলে বুর্জোয়াদের সহযোগী, সহায়ক শ্রেণী হিসেবে বিকাশ লাভ করতে থাকে মুক্ত মজুরি শ্রমের মতো এক অন্যমাত্রার শ্রমশক্তি। দাস এবং ভূমিদাস বংশানুক্রমিকভাবে আবদ্ধ থাকত তাদের মালিকের কাছে। কিন্তু ঊনবিংশ শতাব্দীর নতুন ব্যবস্থায় আধুনিক শ্রমিক শ্রেণীকে কোনভাবেই তার প্রভুর কাছে আটকে থাকতে হয় না। সে মুক্ত তবে জীবিকার তাড়নায় তাকে তার শ্রম বিক্রি করতেই হয়। নিত্যনতুন উদ্ভাবনী শক্তি সভ্যতার উৎকর্ষে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখলেও এই অসহায় শ্রমিক শ্রেণীকে কোন পর্যায়ে দাঁড় করায় তাও উল্লেখ্য। কায়িক শ্রমে যত না পণ্য উৎপাদন সম্ভব বৈজ্ঞানিক শক্তিতে সে সক্ষমতা অনেক বেশি। যন্ত্র শুধু শ্রেণী বিভাজন করল তা কিন্তু নয় প্রত্যেক শ্রমিকের শ্রমকেও পর্যায় ক্রমিকভাবে আলাদা করে দিল। ফলে অনেক কম সময়ে অনেক বেশি পণ্য উৎপাদন একেবারে হাতের মুঠোয় এসে গেল। কিন্তু শ্রমিকের শ্রম সময় কমল না উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে লাগল। শ্রমিকদের মাত্রাতিরিক্ত শ্রম শোষণের সমস্ত মুনাফার অংশীদার হলো ধণাঢ্য মালিক। তারা সম্পদের পাহাড় গড়তে থাকে। ফলে শ্রমিক তার প্রাপ্ত মজুরি থেকেও বঞ্চিত হয়ে যায়। একজন পুঁজিপতি যে অর্থ বিনিয়োগ করে কারখানায় তার লভ্যাংশ এত বেশি কল্পনা করা যায় না। কি উপায়ে? সেখানেও থাকে অন্য কোন রহস্য। যারা বিজ্ঞ অর্থনীতিবিদ ও সমাজবিজ্ঞানী তাদের বিশ্লেষণে অতিরিক্ত সম্পদ গড়ার রহস্য ভেদ হয়ে যায়। ইংরেজ ক্লাসক্যিাল ধনবিজ্ঞানী এ্যাডাম স্মিথ ও ডেভিড রিকার্ডো শ্রমিকের মজুরি নির্ধারণ করেন একজন শ্রমিক পণ্য উৎপাদনে যতখানি শ্রম বিনিয়োগ করে তার ওপর। কিন্তু অর্থনীতির আর বিশ্লেষক কার্ল মার্কস সেখানে পরিষ্কার করে বলেন একজন শ্রমিকের শ্রমমূল্য নির্ধারণ হয় তার শ্রম সময় দিয়ে। আবশ্যিক শ্রম আর উদ্বৃত্ত শ্রম। প্রয়োজনীয় শ্রমের বিনিময়ে শ্রমিক তার মজুরি পায় আর বাড়তি শ্রমের কারণে সে মালিকের জন্য উদ্বৃত্ত মূল্য তৈরি করে। আর এই উদ্বৃত্ত মূল্যই মালিক পক্ষের সম্পদের পাহাড় গড়ার নিয়ামক শক্তি। মার্কস আরও বলেন, শ্রমিক উৎপাদনে যা বিনিয়োগ করে তা শুধু তার শ্রমই নয় শক্তিও বটে। যে শক্তি তাকে মূল উৎপাদকের ভূমিকায় দাঁড় করিয়ে সর্বস্বান্ত করে। ফলে সে কখনও তার প্রাপ্য এবং ন্যায্য মজুরি পায় না। ধনবাদী সভ্যতা পণ্য বিকাশের এমন একটি পর্যায় যেখানে শ্রমিকের শ্রমশক্তি নিজেই পণ্যে পরিণত হয়। আর শ্রমিকের শ্রমশক্তি এমন একটি পণ্য যে নিজের মূল্যের চাইতেও অধিক মূল্য সৃষ্টি করে। শ্রমিকদের ন্যায্য পাওয়ার বঞ্চনার এই ইতিহাস আজও তার ধারা অব্যাহত রেখেছে। ১ মের দাবিতে শ্রম ঘণ্টা ১৬ থেকে কমিয়ে ৮-এ আনা হলেও ১০-১২ ঘণ্টা এখনও শ্রমিকরা উদয়াস্ত খেটে যায়। ওভারটাইমের নামে তাদের আরও কয়েক ঘণ্টা খাটানো হলেও সে পাওনা থেকেও বঞ্চিত করা হয়। ১৮৮৬ সালের ১ মে শ্রমিক আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে সরকারী বাহিনী যেভাবে বোমা বিস্ফোরণ এবং গোলাগুলির মাধ্যমে তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সেই রক্তস্নাত ইতিহাসকে স্মরণ করে আজও সারা দুনিয়ার শ্রমিক সংগঠনগুলো একাত্ম হয়, নতুন অঙ্গীকারে দাবি আদায়ের প্রত্যয় ব্যক্ত করে সর্বোপরি শোষণমুক্ত সমাজ গঠনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়। লেখক : সাংবাদিক
×