ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকার দিনরাত -মারুফ রায়হান

প্রকাশিত: ০৪:২৫, ১ মে ২০১৮

ঢাকার দিনরাত -মারুফ রায়হান

রাজধানীর রোমান্টিক বরষা এখন হয়ে উঠেছে বিরক্তিকর ও ঝামেলাপূর্ণ। বৃষ্টির মতো প্রাকৃতিক স্বাভাবিক একটি বিষয় কেন হয়ে উঠবে বিপরীত? গত রোববারের বৃষ্টিতে স্পষ্ট হয়ে গেল সামনের বর্ষাকাল রাজধানীবাসীর জন্য কতোটা ভোগান্তিময় হয়ে উঠবে। ঢাকার কোনো কোনো জায়গায় জলাবদ্ধতা এমন রূপ নিচ্ছে যে একে মিনি বন্যা বলাই সমীচীন। যদি গত বছরের মতো এবারের বর্ষা মৌসুমেও এমন মিনি বন্যার ধকল পোহাতে হয় তাহলে স্পষ্ট হয়ে উঠবে যে আমাদের মেয়র সাহেবেরা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেননি। বরং তারা কতটুকু উদ্যোগ নিয়েছেন, কেন তারা সফল হতে পারছেন না, কোথায় গলদÑ এসব বিষয় খোলাখুলি ঢাকাবাসীকে জানিয়ে দিতে পারেন। শুধু ফটোসেশনমার্কা কর্মসূচী নিয়ে পত্রিকায় পাতায় ছবি ছাপিয়ে আত্মতুষ্টির কোনো অবকাশ আগামীতে আর থাকবে বলে মনে হয় না। নাগরিকরা আগের চাইতে অনেক বেশি সচেতন এবং তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। . তাজ্জব উন্মাদনা! ঢাকার কিছু ঘটনা দেখেশুনে তাজ্জব হতে হয়। সিনেমার টিকিট পাওয়ার জন্য এর আগে ঢাকায় শেষ কবে কোন ছবির জন্য এমন উন্মাদনা লক্ষ্য করা গেছে মনে নেই। ছবির নাম ‘অ্যাভেঞ্জার্স : ইনফিনিটি ওয়ার’। সাড়া জাগানো এ্যাভেঞ্জার্স সিরিজের নতুন ছবি। ২৭ এপ্রিল আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। একই দিনে ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্সেও ছবিটি মুক্তি পেল। আর মুক্তির আগেই ছবির টিকিট পেতে দীর্ঘ লাইন। বসুন্ধরা সিটির ৮তলা থেকে একেবারে গ্রাউন্ডফ্লোর শেষ হয়ে রাস্তায় গিয়ে লাইন ঠেকে। দর্শকের চাহিদা দেখে প্রতিদিন ১৩টি করে শো চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শুক্রবার ও শনিবারের কোন টিকিট নেই। কম সময়ে সর্বকালের সবচেয়ে বেশিবার দেখা ট্রেলারের রেকর্ড ‘অ্যাভেঞ্জার্স : ইনফিনিটি ওয়ার’ ছবির দখলে। প্রকাশের প্রথম ২৪ ঘণ্টায় এটি দেখা হয়েছে ২৩ কোটি বার! যা ছাড়িয়ে গেছে পুরনো সব রেকর্ড। ঢাকার দর্শকদের উন্মাদনা দেখে একজন ফেসবুকে লিখলেন : ‘এ্যাভানজার্স ফিল্মটা কি আজকেই দেখতে হবে? আগামীকাল পরশু কিংবা এক সপ্তাহ পরে কি ছবিটা দেখা যাবে না? আগামী সপ্তাহে দেখলে কি আপনি পিছিয়ে যাবেন? লোকজন কি আপনাকে নিয়ে ঠাট্টা করবে? আপনি কি এ্যাভেন্জার্স না দেখলে সমাজচ্যুত হবেন? কাল বেঁচে নাও থাকতে পারেন এবং এ্যাভেন্জার্স না দেখে মরলে আফসোস থাকবে- এই দুই ভাবনা ছাড়া পাগলের মতো আজকে এবং এখনই এ্যাভেন্জার্স দেখার আর কোন কারণ বের করতে পারলাম না।’ . আজ মহান মে দিবস ও পবিত্র শব-ই-বরাত আজ শব-ই-বরাত বা সৌভাগ্যরজনী। যথাযথভাবে পালিত হবে এটা আশা করা যায়। মানুষ যদি একে অপরের সৌভাগ্য চেয়ে শুভকামনা জানায় তবে সেটিও অনেক সৌভ্রাতৃত্বসুলভ বলে হবে। আজ মহান মে দিবসও। এদিন ঢাকায় রাস্তায় রাস্তায় শ্রমিকেরা শোভাযাত্রা বের করেন। এই একদিনই দেখি শ্রমজীবীদের অকৃত্রিম আনন্দ-উচ্ছ্বাস। ভাল লাগে। মে দিবসে সংবাদপত্রে সম্পাদকীয়/আর্টিক্যাল লেখা হলেও এদিন ‘মে দিবসের পত্রিকা’ বলে কিছু বেরোয় না। অবশ্য আশির দশকে আমরা যখন ‘নাটক শুধু বিনোদন নয়, শ্রেণী সংগ্রামের সুতীক্ষè হাতিয়ার’ মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে নাটক করতাম, সে সময়ে চার পাতার ‘মে দিবসের কাগজ’ বেরুতো আমাদের আরণ্যক নাট্যদল থেকেই। তাতে মে দিবসের কবিতা লিখতাম আমরা ক’জন। ‘সর্বজনকথা’ নামে একটি সাময়িক পত্রিকাও মে দিবসকে সামনে রেখে প্রকাশিত হয়। সাম্প্রতিক সময়ে শ্রমিকদের বিভিন্ন বিষয়কে তুলে ধরার চেষ্টা পত্রিকাটিতে লক্ষণীয়। তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণের মাধ্যমে, গবেষণার ভিত্তিতে ওই সংখ্যায় প্রকাশিত লেখাগুলো বর্তমান সময়কে ধারণ করার চেষ্টা করেছে। বেশিরভাগ লেখা শ্রমিক বিষয়ে হলেও এতে সমাজসজ্ঞান বেশকিছু রচনা রয়েছে। পত্রিকাটির সংবাদ দিতে গিয়ে পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ঢাবির শিক্ষক মোশাহিদা সুলতানা ঋতুর বক্তব্য অন্তর ছুঁয়ে গিয়েছিল। তাঁর কথা যেন শ্রমের প্রতি মর্যাদাশীল বহু মানুষের কথা। উদ্ধৃত করছি : ‘মে দিবস শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে পুনর্বার অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়ার দিন। দুনিয়াজুড়ে সকল মজদুরের আমৃত্যু লড়াইয়ের কণ্ঠকে নতুন করে শুনবার দিন। ঘামে ভিজতে ভিজতে পরিবারের যেই শিশু মেয়েটি, যেই শিশু ছেলেটি হয়ে ওঠে প্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিক, যার ঘামে ফলে ফসল আর আমাদের গায়ে জোটে কাপড়, যার হাতুড়ির বাড়িতে, শাণিত করাতের ধারে, পেরেকের ঠোকায় গড়ে ওঠে বাড়ি-ঘর-মসনদ, যার নির্ঘুম রাতের বিনিময়ে নিশ্চিন্তে ঘুমায় মালিক শ্রেণী, যার পরিবারহীন রাতযাপনে টিকে থাকে অন্য কোন পরিবার, যার হাতের পরশে শহরের পথের আবর্জনা অদৃশ্য হয়Ñ সেইসব মানুষের লড়াই সংগ্রামের গল্প নগরজীবনে অদৃশ্য প্রেতাত্মার মতো ঘুরে বেড়ায়। শ্রমিকের ওপর নিপীড়নের কাহিনী, অন্যায্য মজুরি আর অনিরাপদ কর্মপরিবেশে সদাসম্প্রসারমান শ্রমবাজারের করুণ আখ্যানে বাতাস ভারি হতে থাকে। ঝড় আসে না। আন্দোলনের বীজ সহস্রবার মূলেই ধ্বংস হতে হতে দুটি লড়তে থাকা কচিপাতার মতো চেয়ে থাকে যেই শ্রমিকের হারাতে বসা স্বপ্ন, সেই স্বপ্ন পুনর্বার ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে শ্রমিক আন্দোলনের ইতিহাস, দেখে সংগঠিত শ্রমিকের পদযাত্রার ঐতিহাসিক মুহূর্তগুলো, দেখে কঠোর আত্মত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে অধিকার আদায়ের সাফল্য। কোটি কোটি কণ্ঠের একত্রিত ধ্বনিতে যেই দিন কেঁপে উঠবে দুনিয়া, ন্যায্য অধিকার আদায় করবে শ্রমিক, সেইদিনের অপেক্ষায় বার বার মে দিবস আসবে। ব্যর্থতায় ও সফলতায় চলতে থাকবে অন্তহীন লড়াই।’ . ঈদের মতো লম্বা ছুটির ফাঁদে আবার ঈদের মতো লম্বা ছুটির ফাঁদে পড়েছে ঢাকা। ঢাকাবাসী সরকারী চাকরিজীবীদের মহাসুখ। এক সপ্তাহে তিন তিনটে ছুটি। বুদ্ধ পূর্র্ণিমা, মে দিবস ও শবেবরাত। সপ্তাহের দুই মাথায় শুক্র শনি দুদিন হিসেবে চার দিনের ছুটির সবুজ সংকেত। মাঝখানে দুটো দিন কর্মদিবস। তাই কোন রকমে এই দুটি দিন ম্যানেজ করতে পারলে চাকরিজীবীরা ৯ দিনের ছুটি ভোগ করতে পারবেন। ঈদের মতোই লম্বা ছুটি বলতে হবে। এমন ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করে অনেকেই চলে গেছেন ঢাকার বাইরে। অনেকে দেশের বাইরেও। কক্সবাজার, কলকাতা আর ব্যাংককে যাওয়ার উড়োজাহাজের টিকেট বহু আগেই বিক্রিবাট্টা শেষ। সত্যি মানুষের যেমন পয়সা হয়েছে, তেমনি ছুটি উপভোগে ভ্রমণটাও প্যাশন হয়ে উঠেছে। রবিবার সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে সরকারী ছুটি, রাস্তা সুনসান। আমরা গণমাধ্যমকর্মীরা ঘর থেকে বেরিয়েছি কর্মস্থলের উদ্দেশে। রাস্তাঘাট অনেকটা ফাঁকা দেখে মনে প্রশ্ন এলোÑ রাজধানী কি কখনও ঘুমোয়? তার কি ঝিমুনি আসে? কিংবা মধুর অলসতায় ভোগে কখনও; অবকাশ-অবসর বলে তার অভিধানে কি কিছুই লেখা নেই! সরকারী অফিসের কর্মজীবীরা তো বটেই, ব্যাংকসহ বহু বেসরকারী প্রতিষ্ঠানেই সপ্তাহে দুদিন শুক্র-শনিবার থাকে ছুটি। তবে মানুষের অত্যধিক চাপে ঢাকা মহানগরী যে পরিমাণ ভারাক্রান্ত তাতে অর্ধেক ঢাকাবাসী ঘর থেকে না বেরুলেও তার ভিড়ভাট্টায় হাঁসফাঁস দশা কাটে না। এবার অবশ্য ঢাকাকে কিছুটা ফাঁকাই লাগছে। এটা ঠিক যে, বহু বেসরকারী কার্যালয়ে চলতি সপ্তাহে সোম ও বৃহস্পতিবার ভালমতোই কাজ হবে। বহু লোকের ঢাকা ছাড়ার জো নেই। তিন দিনের ছুটি ঢাকার গতানুগতিক তিন তালে বিশেষ ছন্দপতন ঘটায় না। . শহর নারীবান্ধব নয়! এই শহর নারীবান্ধব নয়, এমন তথ্য জোরালো হচ্ছে। অথচ শহরের প্রায় অর্ধেক অধিবাসীই নারী। এক গবেষণায় দেখা গেছে, গণপরিবহন-ব্যবস্থা ভাল না থাকায় ৫৬ শতাংশ নারী বাড়ির বাইরে বেরোতে চান না। পাশাপাশি প্রায় এক-চতুর্থাংশ নারী বলেছেন, বাসের চালক বা সহকারী তাঁদের সঙ্গে অপমানজনক আচরণ করেছেন। ‘নারী সংবেদনশীল নগর-পরিকল্পনা’ শীর্ষক একটি গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণাটি বলছে, এই নারীদের ৯৪ শতাংশ নানা কারণে পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করে না। পুরুষ সঙ্গী ছাড়া তাঁরা একা এসব টয়লেট ব্যবহার নিরাপদ মনে করেন না। ৭২ শতাংশ নারী বলেছেন, ফুটপাথগুলো নির্মাণসামগ্রী, হকার ও দোকানদারদের দখলে। গবেষণাটি আরও বলছে, ৮৭ শতাংশ নারী পার্ক ও উদ্যানের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম বলেছেন। রক্ষণাবেক্ষণের, পরিচ্ছন্নতার সমস্যাসহ পার্ককে অসামাজিক কর্মকাণ্ডের স্থান মনে করেন অনেক নারী। শিশুদের সুরক্ষায় পরিচালিত ‘চাইল্ড হেল্পলাইন’ উদ্বোধন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজের মানবিক গুণাবলী জাগিয়ে তুলে সমাজকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছিলেন। মানুষের ভেতরের পশুত্ব যেন কখনও জেগে না ওঠে, তার জন্য সচেতনতা সৃষ্টির কথাও বলেছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর এই আহ্বান বর্তমান সময়ের জন্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। মাঝেমধ্যে হতাশা এসে ভর করে- কোথায় চলেছে আমাদের সমাজ। যৌন নির্যাতনসহ শিশু নির্যাতনের ঘটনা উদ্বেগজনকহারে বাড়ছে। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিলম্বিত বিচার। শিশু নির্যাতনের ঘটনায় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল করার দাবি দীর্ঘদিনের। দেশের যে কোন প্রান্তে কোন শিশু কোন ধরনের সহিংসতা, নির্যাতনের শিকার হলে বিনা মূল্যে হেল্পলাইনে ফোন করে জানাতে পারবে। দেশে শিশু নির্যাতন যে হারে বেড়েছে, তাতে হেল্পলাইন কিছুটা কাজে আসবে নিশ্চয়। তবে সবার আগে প্রয়োজন শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ। মনে হচ্ছে শিশুর ওপর বর্বর নির্যাতন প্রতিরোধ এবং নির্যাতনকারীকে শাস্তি দেয়ার জন্য বিশেষ তৎপরতা ও আইনের সংশোধন জরুরী হয়ে পড়েছে। শিশুধর্ষণ নিয়ে চিন্তা উদ্রেককারী গভীর লেখা তেমন পাই না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী, বর্তমানে কানাডা প্রবাসী লেখক নাহার মনিকা ইংল্যান্ডের নারীবাদী সংগঠনের তৎপরতার দিকে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে গিয়ে বললেন : ‘সম্ভবত সেই সময় পার হয়ে গেছে যখন ধর্ষণকে নারী নিজেই নিজের লজ্জা, কলঙ্ক মনে করত। প্রতিকার বা বিচার পাওয়ার প্রশ্নও ছিল না। আজকের দিনেও ধর্ষক বদলে যায়নি বরং ক্ষেত্রবিশেষে তাদের বিকৃতি বেড়েছে, কিন্তু আমাদের নারী থানায় গিয়ে বিচার চাইতে পারে, প্রতিবাদে আমরা রাস্তায় নামতে পারি। ধর্ষিত হওয়াকে নিজের কলংক ভাবার দিন বদলে গেছে। বিশ্বের যেসব দেশে ধর্ষণের সুষ্ঠু বিচার নারী পায়, সেসব দেশেও অবস্থা একদিনে বদলায়নি। অনেক আন্দোলন, প্রতিবাদের কাঠখড় পুড়িয়ে রাষ্ট্রকে আইন প্রণয়ন আর প্রয়োগের পর্যায়ে আনতে হয়েছে। ধর্ষণ নিয়ে সাধারণ মানুষের ধারণা, বিশ্বাস পরিবর্তনের জন্য উন্নত দেশেও নিয়মিত গবেষণা, ক্যম্পেইন চলে। খোদ ইংল্যান্ডেও নারীবাদী সংগঠনকে নিয়মিত আপডেট করতে হয় তাদের রেইপ ক্রাইসিস ওয়েবসাইট। ধর্ষণ সংক্রান্ত মিথ আর বাস্তবতার পার্থক্য সুন্দর করে ব্যাখ্যা করে মানুষকে বোঝায় তারা। চমৎকার এই ব্যাখ্যাগুলো সহজ আর বোধগম্য।’ বলাবাহুল্য আমাদের মানবাধিকার সংগঠন এবং নারী আন্দোলনকারীদের কাছ থেকেও আমরা এ ধরনের উদ্যোগ আশা করি। . বৈশাখে বই উপহার নববর্ষে যদি প্রিয়জনকে বই উপহার না দিয়ে থাকেন তাহলে বৈশাখ ফুরোবার আগে দিতে পারেন। সেই সুযোগ পাচ্ছেন শাহবাগেই। কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে ‘ঢাকা বিভাগীয় বইমেলা’। বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থার মোট ৫১টি স্টল। গল্প, কবিতা, উপন্যাস, ভ্রমণ, শিশুতোষ, প্রবন্ধসহ নানা ধরনের বইয়ের পসরা। এই আয়োজনে অংশ নিয়েছে জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি এবং পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতিভুক্ত বিভিন্ন প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। ‘চেতনার জাগরণে বই’ প্রতিপাদ্যে সপ্তাহব্যাপী এই মেলার সূচনা হয় জমকালো ও বর্ণিল অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। গণগ্রন্থাগারের উন্মুক্ত আঙিনায় বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন অতিথিরা। এরপর শওকত ওসমান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় উদ্বোধনী আলোচনা। এতে উদ্বোধকের বক্তব্য দেন ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। পরশু ৩ মে শেষ হচ্ছে মেলা। দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলছে মেলা। ২৯ এপ্রিল ২০১৮ [email protected]
×