ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মুখোশধারী ধর্মবাজদের প্রতিহত করতে হবে ॥ ইনু

প্রকাশিত: ০৭:২৪, ৩০ এপ্রিল ২০১৮

মুখোশধারী ধর্মবাজদের প্রতিহত করতে হবে ॥ ইনু

ধর্মের মুখোশ পরা ধর্মনাশী ধর্মবাজদের প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। রবিবার রাজধানীর কমলাপুরে ঐতিহাসিক ধর্মরাজিক বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ আয়োজিত ‘বুদ্ধ পূর্ণিমার তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। খবর বাসসর। হাসানুল হক ইনু বলেন, ধার্মিকেরা ধর্মচর্চা করেন আর ধর্মের মুখোশধারী বা ধর্মবাজরা ধর্মনাশ করে। তারাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী ও সমাজে বিশৃঙ্খলাকারী। তিনি বলেন, গৌতম বুদ্ধ অহিংসা ও শান্তির বাণী প্রচার করে মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে এসেছিলেন। মহামতি বুদ্ধ এবং সকল ধর্মের অনুসারীদের সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠায় মুখোশধারী ধর্মবাজদের প্রতিহত করতে হবে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ধর্ম ও শান্তির আদর্শ নিয়মতান্ত্রিক জীবনের শিক্ষা দেয় আর দ-িত অপরাধীকে আইনের উর্ধে রাখার নির্লজ্জ অপচেষ্টাকারীরা যেমন আইন মানে না তেমনি ধর্মও মানে না। সে কারণেই রাজাকার-জঙ্গী-জামায়াত ও তাদের দোসররা সকল ধার্মিক ও শান্তিপ্রিয় মানুষের শত্রু। শান্তির পথে আগুয়ান হতে এদের সমবেতভাবে প্রতিহত করতে হবে। সংঘনায়ক শুদ্ধানন্দ মহাথেরোর সভাপতিত্বে সভায় সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বক্তব্য রাখেন। উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বুদ্ধ পূর্ণিমা উদ্যাপিত ॥ উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে রবিবার ঢাকাসহ সারাদেশে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা উদ্যাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে দেশজুড়ে বৌদ্ধ বিহারগুলোতে বুদ্ধ পূজা, প্রদীপ প্রজ্বালন, শান্তি শোভাযাত্রা, ধর্মীয় আলোচনা সভা, প্রভাত ফেরি, সমবেত প্রার্থনা, আলোচনা সভা ও বুদ্ধ পূজা হয়। এছাড়া মানব জাতির সর্বাঙ্গীন শান্তি ও মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশন রাজধানীর মেরুল বাড্ডা আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে দিবসটি উৎসবমুখর এবং ভাবগম্ভীর পরিবেশে উদ্যাপনের জন্য দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করে। কর্মসূচীর মধ্যে ছিল সকাল দশটায় বুদ্ধপূজা, মহাসংঘদান এবং সন্ধ্যা ছয়টায় আলোচনাসভা। ধর্মরাজিক বৌদ্ধ বিহারে দিনভর পূজা অর্চনার পাশাপাশি দেশ-বিদেশের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘনায়ক শুদ্ধানন্দ মহাথেরোর পরিচালনায় পঞ্চশীল, অষ্টশীল, সূত্রপাঠ, সূত্রশ্রবণ ও সমবেত প্রার্থনায় অংশ নিয়ে সারা বিশ্বের মানুষের জন্য মঙ্গল কামনা করে। সারাদেশে রাষ্ট্রীয় ছুটির এদিনের শুরুতে শান্তি শোভাযাত্রা এবং বৌদ্ধ মঠ ও মন্দিরগুলোতে দিনব্যাপী প্রদীপ প্রজ্বালন, পূজা ও প্রার্থনার আয়োজন করে বুদ্ধের আদর্শ অনুসারী বৌদ্ধ সম্প্রদায়।
×