ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সাবেক সেনা সার্জেন্ট হত্যা

২০ মাস পর স্ত্রীসহ তিনজনকে গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০৫:২২, ৩০ এপ্রিল ২০১৮

২০ মাস পর স্ত্রীসহ  তিনজনকে  গ্রেফতার

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ২৯ এপ্রিল ॥ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট শামীম হত্যাকান্ড ঘটনার ২০ মাস পর নিহতের স্ত্রীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ হত্যাকান্ডে সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত দুই হত্যাকারী দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। রবিবার টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাওরীন মাহমুদ ও আরিফুল ইসলামের আদালতে তারা হত্যাকান্ডে সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দী দেয়। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার দুপুরে নিহতের স্ত্রী রাজিয়া বেগমকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশের (ওসি) অশোক কুমার সিংহ জানান, বিগত ২০১৬ সালে ১৭ আগস্ট সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট শামীম গোপালপুর থেকে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে রওয়ানা হওয়ার পর নিখোঁজ হন। এরপর ওই বছরের ২৪ আগস্ট গোপালপুরের বৈরান নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রাজিয়া বেগম ২৬ আগস্ট অজ্ঞাতনামা কয়েক ব্যক্তিকে আসামি করে গোপালপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। গোপালপুর থানা পুলিশ দীর্ঘদিন তদন্ত করেও এ হত্যাকান্ডে কোন ক্লু খুঁজে পায়নি। পরে মামলাটি টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করে হত্যাকান্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত গোপালপুর উপজেলার বাসকাইল গোইজারপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আব্দুল রহিম ও হোসেন আলীর ছেলে সুজনকে আটক করে। গ্রেফতাকৃতরা আদালতকে জানান, নিহতের স্ত্রী রাজিয়া সুজনের সঙ্গে পরকীয়ায় আসক্ত ছিল। স্ত্রীর পরিকল্পনায় শামীমকে হত্যা করা হয়েছে। ওইদিন শামীম বাড়ি থেকে ঢাকা সাভারের হেমায়েতপুরে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তাকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে এসে জুয়া খেলার কথা বলে গোপালপুরের বৈরান নদীর পাশে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ছুরি দিয়ে হত্যা করা হয়। পরে তার লাশ বৈরান নদীর কচুরিপানার নিচে ঢেকে রাখা হয়। পরদিন পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। গ্রেফতারকৃতদের তথ্যের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশ রবিবার দুপুরে নিহতের স্ত্রী রাজিয়া বেগমকে গোপালপুরে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে। টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশের (ওসি) অশোক কুমার সিংহ আরও বলেন, হত্যার সঙ্গে জড়িত এমন সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়ায় নিহতের স্ত্রী রাজিয়া বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার বিকেলে ১০ দিনের পুলিশী রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
×