স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ রাজধানী ঢাকার উত্তরা ১০নং সেক্টরের আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে লাইফওয়ে বাংলাদেশ প্রাইভেট লিঃ নামে ভুয়া এমএলএম কোম্পানির সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের ২৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ সদস্যরা। এ সময ৩১ জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়েছে। জব্দ করা হয় বিপুল পরিমাণ অবৈধ মালামাল। গত শনিবার রাতে এ অভিযান চালানো হয়। রবিবার বিকেলে র্যাব-১১ এর এএসপি মোঃ নাজমুল হাসানের পাঠানোর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানা যায়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- কোম্পানির পরিচালক মোঃ জিয়াউর রহমান, ডিস্ট্রিবিউটর মোঃ গোলাম কিবরিয়া, ইনচার্জ মোঃ রাশেদুর রহমান ওরফে সুমন, মোঃ সুমন, মোঃ রবিন, আমিনুল ইসলাম ওরফে সোহেল, মোঃ মাহবুবুর রহমান, মোঃ রুহুল আমিন, মোহাইমিনুল ইসলাম, সজীব হোসেন, মোঃ ইমন মিয়া, মোঃ সাইফুল ইসলাম, মোঃ শরীফুল ইসলাম, মোঃ আরিফুল ইসলাম, মোঃ নাঈম, আবুল কালাম, মোঃ সাকিব, আমজাদ হোসেন, মোঃ হরমুজ আলী, মোঃ শাহিন ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, নয়ন চন্দ্র রায় ও মোঃ বিটু মিয়া।
উক্ত এমএলএম কোম্পানি হতে জব্দ করা হয় ৩৭টি মোবাইল, ৫টি কম্পিউটারের মনিটর, ২টি সিপিইউ, ২টি টেলিভিশন, ১টি প্রিন্টার, ১টি ল্যাপটপ, ১টি ওয়াটার ফিল্টার, ২টি স্পুন সেট, ১টি ফিরনি সেট, ১০টি স্যুপ পিস, ২টি ডিনার সেট, ৬টি ফুড পট পিস, ২টি হটপট সেট, ৪টি ব্লাংক সাইন স্ট্যাম্প পেপার, ১টি ভুয়া ট্রেড লাইসেন্স, নগদ ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৫ টাকা ও বিপুল পরিমাণ ভুয়া ডকুমেন্ট। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও জব্দকৃত নথিপত্র পর্যালোচনা করে জানা যায় যে, উক্ত ভুয়া এমএলএম কোম্পানি মাসিক ১৬ হাজার ও তদুর্ধ টাকা বেতনের প্রতিশ্রুতি প্রদান করে ৩টি ভিন্ন প্যাকেজে চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে যথাক্রমে ২৭ হাজার ১শ’, ৩৭ হাজার ১শ’ ও ৪৭ হাজার ১শ’ টাকা গ্রহণ করে। পরবর্তীতে প্রশিক্ষণের নামে সপ্তাহ খানেক কালক্ষেপণ করে প্রত্যেককে নতুন ২ জন সদস্য সংগ্রহের শর্ত প্রদান করে। নতুন সদস্য সংগ্রহ করে দিলে সংগৃহীত টাকার সামান্য কমিশন প্রদান করে। নতুন সদস্য দিতে না পারলে কূট-কৌশলের আশ্রয় নিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে খালি স্ট্যাম্প ও আপোস নামায় জোরপূর্বক স্বাক্ষর নিয়ে তাড়িয়ে দেয়। প্রতিবাদ করলে ভাড়াটিয়া লোকজন দ্বারা আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতনও করে থাকে।