ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

রুনি-গিগস-ল্যাম্পার্ডের সঙ্গে এলিট ক্লাবে ফ্যাব্রিগাস, ৫০ গোল ও ১০০ এ্যাসিস্টের রেকর্ড গড়লেন এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার, ব্লুজদের হয়ে লীগে অর্ধশতক জয়ের স্বাদ পেয়েছেন এ্যান্টনিও কন্টে

আশা বাঁচিয়ে রাখল চেলসি

প্রকাশিত: ০৪:৩৪, ৩০ এপ্রিল ২০১৮

আশা বাঁচিয়ে রাখল চেলসি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইতোমধ্যেই ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলেছে ম্যানচেস্টার সিটি। নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে টপকে সিটিজেনদের প্রথম শিরোপা উপহার দেন সাবেক বার্সিলোনার সফল কোচ পেপ গার্ডিওলা। তবে প্রিমিয়ার লীগে লড়াই চলছে এখনও। তা হলো শীর্ষ চারে থেকে লীগ শেষ করে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগে খেলার লড়াই। শনিবার প্রিমিয়ার লীগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে চেলসি ১-০ গোলে হারায় খর্বশক্তির দল সোয়ানসি সিটিকে। আর এই তিন পয়েন্টের সৌজন্যেই শীর্ষ চারে থেকে মৌসুম শেষের স্বপ্ন দেখছে এ্যান্টনিও কন্টের দল। এই ম্যাচে নতুন এক ইতিহাস গড়েন সেস ফ্যাব্রিগাস। প্রিমিয়ার লীগের ইতিহাসে প্রথম ব্রিটেনের বাইরের কোন খেলোয়াড় হিসেবে ৫০টি গোল ও ১০০টি এ্যাসিস্ট করার রেকর্ড গড়লেন ব্লুজদের এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার। সোয়ানসি সিটির বিপক্ষে এ্যাওয়ে ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই গোল করেন তিনি। আর তাতেই ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে গোলের হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। স্প্যানিশ এই খেলোয়াড়ের বাইরে আরও তিনজন খেলোয়াড় এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। ইংলিশ তিন তারকা ওয়েইন রুনি, ফ্র্যাংক ল্যাম্পার্ড ও রায়ান গিগস প্রিমিয়ার লীগে এর আগে অর্ধশত গোলের রেকর্ড করেছিলেন। ২০০৪ সালে আর্সেনালের হয়ে ৩০ বছর বয়সী ফ্যাব্রিগাসের প্রিমিয়ার লীগে অভিষেক হয়। এরপর ২০১১ সালে প্রিমিয়ার লীগ ছেড়ে স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সিলোনায় যোগ দেন তিনি। তবে লা লিগাতেও খুব বেশিদিন স্থায়ী হতে পারেননি তিনি। ২০১৪ সালে আবারও চেলসির মাধ্যমে লন্ডনে ফিরে আসেন ফ্যাব্রিগাস। সোয়ানসি সিটিকে হারিয়ে টানা তিনটি এ্যাওয়ে ম্যাচ জয়েরও স্বাদ পেল কন্টের দল। গত সেপ্টেম্বরের পর এ্যাওয়ে ম্যাচে এটাই তাদের সর্বোচ্চ ফলাফল। সেবার টানা পাঁচ ম্যাচে জয় পেয়েছিল ব্লুজরা। এই ম্যাচে নতুন এক মাইলফলক স্পর্শ করেছেন চেলসির কোচ এ্যান্টনি কন্টেও। এটা তার চেলসির কোচ হিসেবে লীগের ৫০তম ম্যাচ জয়। কোচ হিসেবে ৭৩ ম্যাচে চেলসির প্রতিনিধিত্ব করে জয়ের অর্ধশতক পূর্ণ করেন তিনি। তারচেয়ে এই তালিকায় এগিয়ে রয়েছেন কেবলই দুইজন। তারা হলেন ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ কোচ পেপ গার্ডিওলা (৬৯) এবং চেলসিরই সাবেক কোচ জোশে মরিনহো (৬৩)। সোয়ানসি সিটির বিপক্ষে জয়ের ফলে ৩৫ ম্যাচ থেকে চেলসির সংগ্রহে এখন ৬৬ পয়েন্ট। অবস্থান লীগ টেবিলের পঞ্চম। চার নাম্বারে থাকা টটেনহ্যাম হটস্পারের চেয়ে মাত্র দুই পয়েন্ট কম। যদিওবা একটি ম্যাচ কম খেলেছে স্পার্শরা। প্রিমিয়ার লীগে ৩৪ ম্যাচ খেলে ৯০ পয়েন্ট নিয়ে আরও আগেই শিরোপা পুনরুদ্ধার করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পয়েন্ট ৭৪। তবে সোয়ানসি সিটির বিপক্ষে জয়ের পর তিন পয়েন্ট পেয়ে কন্টে যে দারুণ তৃপ্ত তা শুনুন তার নিজের মুখ থেকেই। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সোয়ানসি সিটির মাঠ থেকে তিন পয়েন্ট পেয়েছি আমরা। আমাদের জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। কেননা চ্যাম্পিয়ন্স লীগে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে এটা খুবই দরকার ছিল।’ তবে ব্যাপারটাকে সহজও মানছেন না কন্টে। কিন্তু এই জয় যে স্পার্শদের ওপর চাপ বাড়াবে সেটা নিশ্চিত। এ প্রসঙ্গে কন্টে বলেন, ‘এখন পরিস্থিতি মোটেও আমাদের হাতে নেয়। কিন্তু এই জয়ের ফলে টটেনহ্যামের ওপর কিছুটা হলেও চাপ পড়বে। কেননা সোমবারই যে তারা আবার ওয়াটফোর্ডের বিপক্ষে মাঠে নামছে।’ এদিন চেলসি ছাড়াও জয়ের স্বাদ পেয়েছে ক্রিস্টাল প্যালেস, এভারটন, ওয়েস্টব্রুমউইচ এবং সাউদাম্পটন। তবে দিনের প্রথম ম্যাচে লিভারপুল গোলশূন্য ড্র করে তুলনামূলক খর্বশক্তির দল স্টোকসিটির সঙ্গে। এই ম্যাচে গোলের দারুণ সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মোহাম্মদ সালাহ।
×