ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

এএফসি মহিলা ফুটসাল চ্যাম্পিয়নশিপ, ২ থেকে ১২ মে অনুষ্ঠিত আসরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে এশিয়ার ১৫ দেশের মেয়েরা, ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম ও চাইনিজ তাইপে

ফুটসাল খেলতে থাইল্যান্ড যাচ্ছেন সাবিনা-কৃষ্ণারা

প্রকাশিত: ০৪:৩৪, ৩০ এপ্রিল ২০১৮

ফুটসাল খেলতে থাইল্যান্ড যাচ্ছেন সাবিনা-কৃষ্ণারা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ছেলেরা না পারলেও মেয়েরা বাংলাদেশের ফুটবলকে দারুণ সাফল্যে ভাসিয়ে চলেছেন। অনুর্ধ পর্যায়ে বাংলাদেশ এখন বিশ্বকাপ ফুটবল খেলার স্বপ্ন বুনছে। দারুণ এই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে দ্রুতগতির ফুটসালেও আবির্ভাব ঘটতে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রমীলা ফুটবল দলের। আগামী মাসে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এএফসি মহিলা ফুটসাল চ্যাম্পিয়নশিপে খেলবে বাংলাদেশ মহিলা দল। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের লক্ষ্য, সার্বিক দিক অবহিত করতে রবিবার বাফুফে ভবনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন বিষয় অবহিত করেন ফুটসাল টিমের ম্যানেজার আমিরুল ইসলাম, প্রধান কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন, মিডিয়া ম্যানেজার আহসান আহমেদ অমিত। বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রাও উপস্থিত ছিলেন। খেলোয়াড়, কর্মকর্তাসহ ২০ সদস্যের বাংলাদেশ দল যাচ্ছে থাইল্যান্ড। দলের কোচ ও অধিনায়ক ভাল করার প্রত্যয়ের কথা জানিয়েছেন। কোচ ছোটন জানান, এই ধরনের টুর্নামেন্টে আমাদের খেলার অভিজ্ঞতা খুব একটা নেই। এই খেলা হয়ে থাকে ইনডোরে। আমাদের এতে আরও বেশি অভ্যস্ত হতে হবে। আশা করছি এই টুর্নামেন্ট ভবিষ্যতে আরও ভাল করতে কাজে দেবে। বাংলাদেশ কোচ আরও বলেন, আমরা ৪১ জন মেয়ের মধ্যে ১৪ জন বেছে নিয়েছি। প্রথমবারের মতো ফুটসাল খেলতে যাচ্ছি। নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য নেই। আমি বলবো, অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্যই আমাদের এ টুর্নামেন্টে অংশ নিতে যাওয়া। মেয়েদের জন্য এটা হচ্ছে শুরু; কিন্তু প্রতিপক্ষ দলগুলো অভিজ্ঞতায় ভরপুর। ভিয়েতনাম সাউথ ইস্ট এশিয়ান গেমেসর পাঁচবারের রানার্সআপ। বাংলাদেশ অধিনায়ক সাবিনা খাতুন বলেন, আমি মালদ্বীপের ক্লাবে ফুটসাল খেলি ২০১৫ ও ২০১৬ সালে। তবে এখন খেলতে যাচ্ছি জাতীয় দলের হয়ে। ক্লাব আর জাতীয় দলের মধ্যে অনেক পার্থক্য। আসলে আমরা নতুন অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য যাচ্ছি। দেশের জার্সি গায়ে আমাদের কারোরই ফুটসালে খেলার অভিজ্ঞতা নেই। আমরা ভালো খেলার চেষ্টা করবো প্রথম অংশগ্রহণে। ২০১৫ সালে ফুটসালের প্রথম আসর অনুষ্ঠিত হয়। দুই বছর পরপর হওয়ার কথা থাকলেও গত বছর আসরটি হয়নি। এবার আবারও মাঠে গড়ানোর অপেক্ষায়। আসরে চার গ্রুপে ১৫টি দেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে শিরোপার জন্য। বাংলাদেশ খেলবে ‘বি’ গ্রুপে। সানজিদা, কৃষ্ণা, সাবিনাদের প্রতিপক্ষ মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম ও চাইনিজ তাইপের মেয়েরা। ২ মে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী দিনেই মাঠে নামবে ছোটনের দল। ব্যাংককে খেলবে মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে। আসরে ‘এ’ গ্রুপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে স্বাগতিক থাইল্যান্ড, হংকং, ইন্দোনেশিয়া ও ম্যাকাও। ‘সি’ গ্রুপে জাপান, চীন, বাহরাইন ও লেবানন এবং ‘ডি’ গ্রুপে ইরান, উজবেকিস্তান ও তুর্কমেনিস্তান। প্রতিটি গ্রুপ থেকে সেরা দু’টি দল কোয়ার্টার ফাইনালের টিকেট পাবে। এরপর পর্যায়ক্রমে সেমিফাইনাল ও ফাইনাল। বাংলাদেশ দল ॥ সাবিনা খাতুন (অধিনায়ক), রুপনা চাকমা, রুকসানা বেগম, কৃষ্ণা রানী সরকার, সিরাত জাহান স্বপ্না, মাসুরা পারভীন, আঁখি খাতুন, সানজিদা আকতার, শিউলি আজিম, আনাই মগিনি, মারিয়া মান্ডা, মনিকা চাকমা, শামছুন্নাহার ও মার্জিয়া এবং গোলাম রাব্বানী ছোটন (কোচ)।
×