ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

গাজায় ফিলিস্তিনী হত্যার নিন্দা জানাল জাতিসংঘ

প্রকাশিত: ০৩:৪৬, ৩০ এপ্রিল ২০১৮

গাজায় ফিলিস্তিনী হত্যার  নিন্দা জানাল জাতিসংঘ

গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনীদের ওপর ইসরাইলের দমন পীড়নের নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। শুক্রবার সংস্থার মানবাধিকার কমিশন প্রধান জায়েদ রাদ আল হুসাইন এ নিন্দা জানান। এদিন গাজায় ফিলিস্তিনীদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে গুলি চালায় ইসরাইল। এতে তিন জন নিহত ও তিন শতাধিক আহত হন। বিবিসি ও আলজাজিরা। ৩০ মার্চ থেকে গাজা সীমান্তে বিক্ষোভ করে আসছে ফিলিস্তিনীরা। তাদের শান্তিপূর্ণ এই বিক্ষোভে গুলি চালিয়ে এখন পর্যন্ত ৪৪ জনকে হত্যা করেছে ইসরাইল। নিহতদের মধ্যে সাংবাদিকও রয়েছেন। ভূমি দিবস উপলক্ষে শুরু হওয়া এ বিক্ষোভ আগামী ১৫ মে নাকাবা দিবস পালনের মধ্য দিয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। জাতিসংঘের বিবৃতিতে বলা হয়, ফিলিস্তিনীদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে এ ধরনের হামলা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে এবং অসংখ্য ফিলিস্তিনীকে যারা হত্যা এবং আহত করেছে তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। জায়েদ বলেন, ফিলিস্তিনীদের ওপর হত্যাকা- চালানোর বিষয়টি খুবই বেদনাদায়ক। অসংখ্য ফিলিস্তিনী আহত হওয়ার যে খবর আসছে তাতে এটা স্পষ্ট যে ইসরাইলী বাহিনী একবার দুইবার নয় বারবার তাদের ওপর তাজা গুলি ব্যবহার করছে। প্রতিদিনই খবর আসছে গাজায় ফিলিস্তিনীদের ওপর হামলা করছে ইসরাইলী বাহিনী। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এবং সংস্থা ইসরাইলী হামলার নিন্দা জানালেও তারা এতে কোন কর্ণপাত করছেন না। উল্টো তাদের ওপর হামলাকারী সেনাদের প্রশংসা করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ১৯৪৮ সালে শরণার্থী হওয়া লাখ লাখ মানুষকে ইসরাইলের দখলে থাকা এলাকায় ফিরতে বাধা দেয়ার প্রতিবাদে সীমান্ত বরাবর ‘গ্রেট মার্চ অব রিটার্ন’ নামের এ বিক্ষোভের ডাক দেয় হামাসসহ বিভিন্ন সংগঠন। শুরুর দিন হিসেবে বেছে নেয়া হয় ৩০ মার্চকে; ১৯৭৬ সালের এই দিনে ভূমি দখলের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে ইসরাইলী নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ছয় বিক্ষোভকারী নিহত হন। ভূমি থেকে উচ্ছেদ হওয়ার ৭০তম বার্ষিকীতে আগামী ১৫ মে এ কর্মসূচী শেষ হওয়ার নির্ধারিত তারিখ। ফিলিস্তিনীদের দাবি, শরণার্থী হওয়া পরিবারগুলোকে তাদের ভূমিতে ফিরতে দিতে হবে। অন্যদিকে ইসরাইল বলছে, হামলার দুরভিসন্ধি থেকেই হামাস এ বিক্ষোভের ফন্দি এঁটেছে।
×