ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম মিশনে মধ্যপ্রাচ্যে পম্পেও

প্রকাশিত: ০৩:৪৫, ৩০ এপ্রিল ২০১৮

দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম মিশনে মধ্যপ্রাচ্যে পম্পেও

নবনিযুক্ত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও শনিবার মধ্যপ্রাচ্যে মিত্র দেশগুলোতে সফর শুরু করেছেন। তিনি এ সফরে মার্কিন কূটনীতিতে সদম্ভ আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। এএফপি। ব্রাসেলসে ন্যাটো বৈঠকে যোগদানের পর পম্পেও সৌদি আরব, ইসরাইল ও জর্ডানে তিনদিনের সফর শুরু করেন। ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনা সম্পর্কে সহযোগী দেশগুলোকে হালনাগাদ করাই পম্পেওর এ সফরের উদ্দেশ্য। পম্পেও জোর দিয়ে বলেছেন, তার বস এখনও এ সংক্রান্ত কোন সিদ্ধান্ত নেননি। কিন্তু ট্রাম্প আগামী মাসে চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেবেন এবং তেহরানের পরমাণু কর্মসূচীর বিরুদ্ধে আবারও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবেন বলে ব্যাপকভাবে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তিনি ট্রাম্পের ঘোষণাকে সামনে রেখে ইরানের প্রধান আঞ্চলিক দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করবেন। সাবেক সিআইএ প্রধান পম্পেও বৃহস্পতিবার ট্রাম্পের শীর্ষ কূটনীতিবিদ হিসেবে শপথ নেন এবং দু’ঘণ্টার মধ্যে ব্রাসেলস যাত্রা করেন। কিন্তু এ সফরে দ্বিতীয় একটি ব্যক্তিগত মিশনও তার রয়েছে। তিনি বিদেশের সরকারগুলোকে ও তার সহকর্মীদের দেখাতে চান যে, তার পদচ্যুত পূর্বসূরী রেক্স টিলারসনের বিশৃঙ্খল সময়কালের পর কূটনীতি সঠিক পথে নিয়ে আসা হয়েছে। সাবেক তেল নির্বাহী ট্রাম্পের প্রথম পররাষ্ট্র মন্ত্রী উচ্চপদস্থ অবস্থান পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন, অজনপ্রিয় আমলাতান্ত্রিক সংস্কারে হাত দিয়েছেন এবং প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল স্পষ্টত কম। সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা ব্যবসায়ী ও রক্ষণশীল কংগ্রেস সদস্য পম্পেও ন্যাটো ও মধ্যপ্রাচ্যের সহযোগীদের সাহায্য করার লক্ষ্যে শপথ গ্রহণের পরপরই মার্কিন কূটনীতিকে সঠিক পথে নিয়ে আসার উদ্যোগ নিয়েছেন। কিন্তু তিনি মঙ্গলবার ওয়াশিংটন ফিরে পররাষ্ট্র দফতরের স্টাফদের উদ্দেশে ভাষণ দেয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। তিনি শুক্রবার ন্যাটোর প্রধান দফতরে বলেছেন, পররাষ্ট্র দফতরের যে সকল কর্মকর্তা এ মিশনে কর্মরত আছেন তাদের একটি বড় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এইমাত্র আমি বৈঠক করেছি। তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, পররাষ্ট্র দফতর এর গৌরব ফিরে পাবে। পম্পেওর সংক্ষিপ্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় সমালোচকরা তার অতীতের ইসলাম ও সমলিঙ্গ বিয়ের ওপর বিবৃতির সমালোচনা করেছেন। তারা বলেছেন, এ জন্য তিনি বিদেশে আমেরিকান আদর্শের যথাযথ সমর্থক বলে বিবেচিত হবেন না। কিন্তু এ সফরে তার চারপাশের কর্মকর্তাদের মধ্যে আশাবাদও দেখা যায় যে মার্কিন কূটনীতিতে অবশেষে একজন প্রধান এসেছেন যিনি প্রেসিডেন্টের পক্ষে কথা বলবেন এবং পররাষ্ট্র দফতরের মূল উদ্দেশ্য তুলে ধরবেন। পম্পেও শনিবার সৌদি আরবে রিয়াদে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে এক ভোজসভায় মিলিত হওয়ার আগে তার প্রতিপক্ষে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রী আদেল আল-জুবায়েরের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বিন-সালমান ট্রাম্প ও পম্পেওর মতোই তীব্র ইরান-বিরোধী। পম্পেও সৌদি আরব সফর শেষে যাবেন ইসরাইল। তিনি এখানে যুক্তরাষ্ট্রের একনিষ্ঠ সমর্থক প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করবেন। এর পর তিনি যাবেন জর্ডান।
×