ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ইরাকে নির্বাচন ॥ ঘুরেফিরে একই মুখগুলো থাকছে

প্রকাশিত: ০৩:৪৫, ৩০ এপ্রিল ২০১৮

ইরাকে নির্বাচন ॥ ঘুরেফিরে একই মুখগুলো থাকছে

ইরাকে সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের পতনের এক দশক পরে এই প্রথম দেশটিতে বহু দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হতে যাচ্ছে। ভোটাররা বলছেন, পুরনো মুখের সেই একই ভোটের কায়েমী স্বার্থকেই দেখতে পাচ্ছেন তারা। এএফপি। মিদান আল হামাদানি (৪০) বলেন, আর কতদিন ইব্রাহিম আল-জাফারি, ইয়াদ আলাবি, নুরি আল-মালিকি অথবা হায়দার আল আবাদি ক্ষমতায় থাকবেন। পার্লামেন্ট সদস্য হিসেবে এক মিনিট পরে মন্ত্রী। তাদের তালিকা হচ্ছে ইরাকের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ভাইস প্রেসিডেন্ট, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। দলগুলোর প্রায় সবগুলোই একই ও একই লোককে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করে। আমরা তা পছন্দ করি বা না করি। ইরাকের রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি জনগণের বিশ্বাসে ঘাটতি রয়েছে। মূলত মৌলিক সেবাখাতগুলোতে ব্যর্থতার পাশাপাশি ব্যাপক দুর্নীতির বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত। দ্বন্দ্ব ও অন্তর্ঘাতমূলক সহিংসতার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে ইরাকের। ১২ মে থেকে প্রায় সাত হাজার প্রার্থী আসনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। যার মধ্যে রাজধানীতে ৭১টি সংরক্ষিত আসনও রয়েছে। মাঠ পর্যায়ে ৩২০টি নিবন্ধিত ভোট কেন্দ্রে দুই কোটি ৪০ লাখ ইরাকী ভোট দেবেন। বাগদাদের এ্যাপার্টমেন্ট ভবন এমনকি গাছেও নির্বাচনী পোস্টারে ছেয়ে গেছে। কিছু এলাকায় প্রার্থীরা পোস্টারে ২০১৪ থেকে ২০১৭ সালের ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) পরাজিত করার কথা উল্লেখ করেছেন। ক্ষুব্ধ হায়দার আলÑশামরি (৩৫) বলেন, এটা পুরনো একই মুখের নির্বাচন। তারা সবাই এখন ধনী। লোকজন তার কাছ থেকে কোন সেবা আশা করতে পারেন না। উম্মা ইউসেফ (৫৪) বলেন, সাদ্দাম হোসেনের শাসনামলেও এই একই ব্যক্তিরা ইরাকের ক্ষমতায় আসীন ছিলেন। তাহলে কি পরিবর্তন হল। অন্তত আমরা এই মুখগুলোর পরিবর্তন চাই। আমরা মিথ্যা থেকে মুক্তি চাই। নির্বাচন কমিশনের মতে, মাত্র ২০ শতাংশ প্রার্থী নতুন।
×