ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

২০১৯ বিশ্বকাপ নিয়ে রোমাঞ্চিত তামিম

প্রকাশিত: ০৭:৩১, ২৯ এপ্রিল ২০১৮

২০১৯ বিশ্বকাপ নিয়ে রোমাঞ্চিত তামিম

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আগামী ওয়ানডে বিশ্বকাপ ২০১৯ সালে ইংল্যান্ড এ্যান্ড ওয়েলসে অনুষ্ঠিত হবে। এ বিশ্বকাপে ১৯৯২ সালের ফরমেটে খেলা হবে। ১০ দল অংশ নেবে। প্রতিটি দল পরস্পরের বিপক্ষে লড়াই করবে। গ্রুপপর্ব শেষে পয়েন্ট তালিকায় সেরা চার দল সেমিফাইনালে খেলবে। এরপর লর্ডসে হবে ফাইনাল খেলা। বাংলাদেশ ওপেনার তামিম ইকবাল বিশ্বকাপ নিয়ে রোমাঞ্চিত। বিশেষ করে ফরমেট নিয়ে বেশি রোমাঞ্চিত। তামিম এ নিয়ে বলেছেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে খুবই রোমাঞ্চিত। একটা টুর্নামেন্টে সবার সঙ্গে খেলা, এই সুযোগ আমরা পাব। প্রতিটি টেস্ট খেলুড়ে দেশের সঙ্গে খেলা হবে, একটা সহযোগী দেশও আছে। ফরমেট নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে রোমাঞ্চিত। এটা এমন ফরমেট, যদি কোন দল শিরোপা জিততে চায় পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে সেই দলকে ভাল খেলতে হবে। প্রতিটি দলকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। লম্বা সময় ধরে অনেক ম্যাচ জিততে হবে কোয়ালিফাই করতে। ফরমেটটা চ্যালেঞ্জিং হবে। আমি খেলতে উন্মুখ। গ্রুপ থাকলে বোঝা যায় কটা ম্যাচ আমাদের জিততে হবে কোয়ালিফাই করতে। গ্রুপে এক-দুইটা ম্যাচ জিতলে কোয়ালিফাই করা সম্ভব। কিন্তু এখানে হয়তো ৫-৬টা ম্যাচ জিততে হবে কোয়ালিফাই করতে হলে। এটা অবশ্যই একটা চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার আমাদের জন্য। লম্বা সময় ভাল খেলতে হবে। টুর্নামেন্টেকে যদি আমরা স্মরণীয় করে রাখতে চাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, বিশ্বকাপের এখনও এক বছর সময় আছে। এই সময়ে যে সিরিজগুলো আছে আমরা যদি ভাল খেলি, সিরিজ যদি জিতি তবে আত্মবিশ্বাস নিয়ে যাওয়া যাবে।’ বিশ্ব একাদশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেলা হবে। ৩১ মে লর্ডসে অনুষ্ঠিত হবে খেলাটি। এ ম্যাচে তামিমও থাকছেন। এ ম্যাচ নিয়ে তামিম জানান, ‘আমাদের সবার জন্য গর্বের ব্যাপার হবে এটা। সাধারণত টিভিতে দেখেছি লর্ডসে বিশ্ব একাদশের খেলা হচ্ছে। এখন বাংলাদেশ থেকে দু’জন (তামিম ও সাকিব) সেখানে প্রতিনিধিত্ব করবে। এটা বড় ব্যাপার। এটাই চেষ্টা থাকবে ভাল খেলে মনে রাখার মতো ম্যাচ খেলব।’ চন্দ্রিকা হাতুরাসিংহে চলে যাওয়ার পর এখন পর্যন্ত প্রধান কোচ নিয়োগ দিতে পারেনি বিসিবি। বিসিবি তাড়াহুড়োও করছে না। ব্যাপারটি তামিমের কাছে ইতিবাচক মনে হচ্ছে, ‘আমার কাছে যেটা ভাল লাগছে, তারা (বিসিবি) তাড়াহুড়ো করছে না। চাইলে হুট করে একজন নিয়েও আসতে পারত। তাড়াহুড়ো না করে যাকেই নিয়ে আসুক সময় নিয়ে করছে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। যথার্থ কোচকে খুঁজতে সময় নিচ্ছে, এটা ভাল দিক। আর খেলোয়াড়দের কথা যদি বলেন, ১৯-২০ এই খেলোয়াড়রাই হয়তো খেলবে। একটু পরিবর্তন হয়তো হবে। খেলোয়াড়রা সবাই মানসিকভাবে প্রস্তুত, তারা জানে যে ভিন্ন কন্ডিশনে বিশ্বকাপ খেলতে হবে। এখন যে কোচিং স্টাফ আছে তারা সেভাবেই এগোচ্ছে। বিদেশের মাটিতে কিভাবে আরও ভাল খেলতে পারি সেভাবেই এগোচ্ছি।’ তামিম ইনজুরিতে আছেন। ইনজুরি সারতে রিহ্যাব চলছে। শনিবার প্রথম দৌড়ান তামিম। রানিং সেশন শুরু হয়েছে তার। ইনজুরি নিয়ে তামিম জানান, ‘আজ প্রথম দৌড়ালাম। অনেকদিন ধরে রিহ্যাব চলছে। আজ (শনিবার) রানিং সেশন শুরু হলো। চার-পাঁচটা রানিং সেশনের পর বুঝতে পারব। রানিংয়ের গতি যখন বাড়াব তখন বলতে পারব ব্যথা আছে কি নেই। আশাকরি ১৩ তারিখ ক্যাম্প শুরুর আগে ফিট হয়ে যাব।’ নতুন ভবিষ্যত সফরসূচীতে বাংলাদেশকে প্রচুর ম্যাচ খেলতে হবে। সেই সঙ্গে ক্রিকেটারদের ফিটও থাকতে হবে। তামিম ব্যস্ত সূচীতেও ভাল খেলার আশা করছেন, ‘আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশ যত ম্যাচ খেলবে গত ১০-১৫ বছরে মনে হয় এত ম্যাচ খেলেনি। এটা ইতিবাচক দিক। সবাইকে কৃতিত্ব দেয়া উচিত বোর্ড খেলোয়াড়কে। খেলোয়াড়রা ভাল খেলেছে বলেই অনেক কিছু সম্ভব হয়। আগামী পাঁচ বছর আশাকরি দলের সঙ্গে থাকব আর যত বেশি ম্যাচ খেলতে পারি খেলব। চেষ্টা করব যে সুযোগগুলো আসছে দুহাতে লুফে নিতে। শুধু খেলার জন্য খেলা নয়, চেষ্টা করব ভাল খেলতে।’ বিশ্বকাপে নকআউট পর্বে যাওয়া সম্ভব? এমন প্রশ্ন উঠতেই অবশ্য তামিম সামনের সিরিজগুলো নিয়ে মনোযোগ দেয়ার কথা বললেন, ‘বিশ্বকাপে যারা যায় ভাল করতেই যায়। আমি সবসময়ই বলছি এক বছরের পরের চিন্তা না করাই বেটার। তার আগে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ আছে। এগুলোয় মনোযোগী থাকা ভাল। হ্যাঁ, বিশ্বকাপে যাব ভাল করব, এটা সবাই চাই। এখনই বিশ্বকাপ নিয়ে কথা বলাটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমাদের সামনে যে সিরিজ আসছে- ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর, এশিয়া কাপ, অনেক টুর্নামেন্ট সামনে। তবে চূড়ান্ত লক্ষ্য বিশ্বকাপ, সবাই এখানে ভাল খেলতে চায়। বিশ্বকাপে আমাদের পারফর্মেন্স নির্ভর করে এই সিরিজগুলোয় আমরা কেমন খেলছি।’
×