ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

করিমগঞ্জে সন্তান হারিয়েও পরিবার বাড়িছাড়া

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ২৯ এপ্রিল ২০১৮

করিমগঞ্জে সন্তান হারিয়েও পরিবার বাড়িছাড়া

নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ, ২৮ এপ্রিল ॥ জেলার করিমগঞ্জে পূর্ব শত্রুতায় খুন হয়েছে সন্তান। থানায় মামলা হলেও আসামিরাই এখন মারমুখী। ভিকটিমের বাবা-চাচার ছয়টি পরিবারকে করেছে বাড়িছাড়া। ৩৫টি ঘর ভাঙচুর করেছে, করেছে অগ্নিসংযোগ। কেটে নিচ্ছে গাছপালা। দখল করে নিয়েছে ফসলি জমি। এ অবস্থায় শনিবার দুপুরে জেলা প্রেসক্লাবে এসে ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করেছে। করিমগঞ্জের দেওপুর কাজলাহাটি গ্রামের আব্দুর রউফ আলফাতুন (৭০) নামে এক বৃদ্ধ তার স্বজনদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানান, তার ভাই আজিজুল হকের ছেলে আব্দুল্লাহ বিন-ইহাদকে (১৮) গত বছর ২৩ মে দুপুরে নিয়ামতপুরের শ্বশুরবাড়ি থেকে দেওপুর কাজলাহাটি গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে প্রান্ত (২০) ও কবির উদ্দিনের ছেলে সাদ্দাম (৩২) ডেকে নিয়ে যান। এ সময় তার স্ত্রী মনি বেগম এগিয়ে গিয়ে নূরু মিয়ার ছেলে লিমন (২৮), কাজলের দুই ছেলে জামরুল (৩২) এবং ইজাজুলকেও (২৬) দেখতে পান। ওইদিন রাতেও ইহাদ বাড়ি ফিরে না আসলে খোঁজাখুঁজি করে পরদিন বিকেলে পার্শ্ববর্তী তাড়াইলের মাগুড়ি হাওড়ে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়। নিহতের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এ ঘটনায় নিহতের মা ললিতা বেগম বাদী হয়ে তাড়াইল থানায় উপরের ৫ জন ছাড়াও একই এলাকার ফেরদৌস মিয়ার স্ত্রী পারভীন সুলতানাসহ (৫৭) অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পরবর্তী সময়ে মামলাটি সিআইডিতে ন্যাস্ত করা হয়েছে। মামলার এজাহার ও সংবাদ সম্মেলনে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ মাসে দেওপুর কাজলাহাটি গ্রামের সুন্দর আলীর ছেলে সৈয়দ আলী (৩০) নিয়ামতপুর বাজারে খুন হয়েছিলেন। সেই ঘটনায় নিহত ইহাদকেও আসামি করা হয়েছিল। এর জের ধরে ৩৫টি ঘরের মালামাল ও নিয়ামত পুর বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট করা হয়, তিনটি ঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়। সৈয়দ আলী হত্যা মামলায় ইহাদ জামিন নিয়ে বাড়ি আসার পরই তাকে ডেকে নিয়ে খুন করা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। বর্তমানে ৬টি পরিবারের ৮০ জন সদস্য কিশোরগঞ্জ শহরে আত্মীয়দের বাসা এবং ভাড়া বাসায় দিন কাটাচ্ছেন।
×