ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

তিন ধর্ষকের স্বীকারোক্তি

বরিশালে গণধর্ষণের শিকার ছাত্রীর অবস্থা গুরুতর

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ২৯ এপ্রিল ২০১৮

বরিশালে গণধর্ষণের শিকার ছাত্রীর অবস্থা গুরুতর

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ নগরীর একটি মেসে গণধর্ষিত কলেজ ছাত্রীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় শুক্রবার রাতে তাকে শেবাচিম হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস ইউনিট থেকে সার্জারি ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, শনিবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত তিন ধর্ষক বরিশাল মেট্রোপলিটন আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নিজেদের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছে। সূত্রমতে, গণধর্ষণের মূলহোতা ছাত্রদল নেতা রায়হান উল ইসলাম রাব্বি, চিহ্নিত ইয়াবা বিক্রেতা মানিক শেখ ও সাইফুল ইসলাম সজিবকে পৃথকভাবে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আনিছুর রহমান জিজ্ঞাসাবাদ করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী রেকর্ড করেছেন। ধর্ষণকারীরা নিজ নিজভাবে শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের খাস কামরায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। এরপূর্বে আসামিদের কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ আদালতে হাজির করে। অপরদিকে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ শুক্রবার রাতে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নিজাম উদ্দিন নামের আরও এক ধর্ষণকারীকে আটক করেছে। পুলিশ গণধর্ষণের মামলায় এ পর্যন্ত প্রধান আসামিসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। এছাড়া কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষিতার মা শুক্রবার রাতে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। শনিবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত চার ধর্ষককে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে শুক্রবার দুপুরে ওই শিক্ষার্থী বিএম কলেজ এলাকায় তার বয়ফ্রেন্ড ইমতিয়াজের কাছে নোট নিতে আসে। এ সময় ওই ছাত্রী ও ইমতিয়াজকে বিএম কলেজ সংলগ্ন এলাকা থেকে স্থানীয় বখাটে রায়হান উল ইসলাম রাব্বী ও মানিক শেখ জিম্মি করে মথুরানাথ পাবলিক স্কুল সড়কের হানিফ সিকদারের মালিকানাধীন সিকদার ভিলা নামের ছাত্রাবাসের সাইফুল ইসলাম সজিবের কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে বসে বখাটেরা ইমতিয়াজের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে জোরপূর্বক তাকে (ইমতিয়াজ) ওই ছাত্রাবাস থেকে বের করে দেয়। পরবর্তীতে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক চেতনানাশক খাইয়ে বখাটেরা পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
×