ব্রিটেনের ছোট্ট আলফিকে (২৩ মাস) কৃত্রিমভাবে বাঁচিয়ে রাখতে টম ইভান্স ও কেট জেমস দম্পতি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে যে আইনী লড়াইয়ে নেমেছিলেন তাতে শেষ পর্যন্ত হেরে যান তারা। আলফি ইভান্স বছরখানেক আগে কোষের বিরল রোগে আক্রান্ত হয়ে কোমায় চলে গিয়েছিল। খবর বিবিসির
ইংল্যান্ডের লিভারপুলের আলডের হেই চিল্ড্রেন্স হসপিটালে আলফিকে কৃত্রিমভাবে (ভেন্টিলেশন) বাঁচিয়ে রাখা হয়েছিল। এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও তার অবস্থার ক্রমাবনতির কারণে চিকিৎসকরা ভেন্টিলেশন খুলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন। চিকিৎসকরা বলেন, আলফির ‘মস্তিষ্কের কোষ দ্রুত মরে যাচ্ছে’। তাকে ‘বৃথা বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা নিষ্ঠুর ও অমানবিক’ হবে। কিন্তু আলফির মা-বাবা চিকিৎসকদের এ পরামর্শ মানতে নারাজ ছিলেন। তারা আলফিকে চিকৎসার জন্য ইতালি নিয়ে যেতে চাইছিলেন। চিকিৎসকরা সে অনুমতি না দেয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আদালতের শরণাপন্ন হন আলফির মা-বাবা। ছেলের চিকিৎসা চালিয়ে নিতে মা-বাবার এ লড়াই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়। চারমাসের আইনী লড়াইয়ের পর হাইকোর্ট ভেন্টিলেশন খুলে ফেলার পক্ষে রায় দেয়।
গত সোমবার আলফির ভেন্টিলেশন খুলে নেয়া হয়। শনিবার স্থানীয় সময় ০২:৩০ মিনিটে আলফি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। ফেসবুকে টম ইভান্স এ খবর জানিয়ে বলেন, আমার বীর তার ঢাল নামিয়ে রেখেছে এবং তার ডানা মেলে দিয়েছে.... খুবই হৃদয়বিদারক। আলফির বাবা-মায়ের অভিযোগ হাসপাতালে তাদের ছেলের ভুল চিকিৎসা হয়েছে এবং সে সেখানে ‘বন্দির মত’ ছিল।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: