ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পরমাণু অস্ত্রমুক্ত কোরিয়া উপদ্বীপ গড়াই চ্যালেঞ্জ

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ২৯ এপ্রিল ২০১৮

পরমাণু অস্ত্রমুক্ত কোরিয়া উপদ্বীপ গড়াই চ্যালেঞ্জ

প্রথম উত্তর কোরীয় নেতা হিসেবে কিম জং উন দক্ষিণ কোরিয়া সফর করেন। পরমাণু অস্ত্র নিয়ে তার আপোসের ইচ্ছা রয়েছে কী না এই সফর তাকে সে পরীক্ষার মুখোমুখি করেছে। শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্ত এলাকায় দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইনের সঙ্গে উনের সাক্ষাতের খবরটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করে। নিউইয়র্ক টাইমস। দুই কোরিয়ার শীর্ষ নেতারা একসঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন, মাত্র কয়েক মাস আগেও তা কেউ ধারণা করতে পারেনি। ৩৪ বছর বয়সী উত্তর কোরীয় নেতা যে শান্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এই সফরের মধ্য দিয়ে তিনি বাইরের বিশ্বকে সে বার্তাটি দিলেন। দক্ষিণ কোরিয়ার নেতা মুন জায়ে ইনের দিক থেকে দেখলে দীর্ঘ দিনের বৈরী প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে তিনি সফলতার পরিচয় দিয়েছেন। পরমাণু অস্ত্র নিয়ে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে যে অচলাবস্থা চলছিল শুক্রবারের দু নেতার বৈঠকের মধ্য দিয়ে তার আপাতত অবসান ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। উন বলেন, ‘আমি সংঘাতের যুগের অবসান ঘটাতে এসেছি।’ মুন জায়ে ইনের সঙ্গে তার বৈঠকটি আন্তরিক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোরিয়া উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করা এবং কোরিয়া যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক অবসান ছিল তাদের মূল আলোচ্য সূচী। কোরিয়া উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করতে এক বছরের মধ্যে কাজ শুরু করতে উন রাজি হয়েছেন। দুদেশের শীর্ষ পর্যায়ে শুক্রবার অনুষ্ঠিত বৈঠকটি ছিল ঐতিহাসিক। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সেনাসজ্জিত সীমান্ত হেঁটে দক্ষিণ কোরিয়ায় যান উন। দক্ষিণ কোরিয়া সীমান্তের পানমুনজম গ্রামের পিস হাউস সম্মেলন কেন্দ্রে দু’নেতার মধ্যে ৩০ মিনিটের আলোচনায় শান্তি প্রতিষ্ঠার কথাই জোর দিয়ে বলা হয়। বৈঠক শেষ উভয় নেতার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দক্ষিণ ও উত্তর কোরিয়া এটি উপলব্ধি করে যে শান্তির স্বার্থে পুরোপুরি পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ প্রয়োজন এবং পুরো কোরিয়া উপদ্বীপ পরমাণু অস্ত্রমুক্ত রাখতে উভয় দেশ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করছে।’ এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে উন মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মূল দাবি মেনে নিলেন। ট্রাম্প উনকে দ্রুত পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু উন যে ট্রাম্পের দাবি এত দ্রুত মেনে নেবেন এটি কেউই আশা করেনি। কিম উন মাস খানেকের মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন। তার আগে দুই কোরিয়ার মধ্যে এই আলোচনা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। অনেক দক্ষিণ কোরীয় আগের শীর্ষ বৈঠকগুলো দেখে বর্তমান বৈঠক থেকে খুব বেশি প্রত্যাশা করছেন না। দ্রুত একত্রিকরণের চেয়ে বরং শান্তি প্রতিষ্ঠা এখন তাদের প্রত্যাশা।
×