ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপিও চায় না তারেক দেশে আসুক ॥ কাদের

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ২৯ এপ্রিল ২০১৮

বিএনপিও চায় না তারেক দেশে আসুক ॥ কাদের

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি এখন ফাঁদে পড়ে গেছে। ওই যে একটি গান আছে না, ফান্দে পড়িয়া বগায় কান্দে রে..। এই ফাঁদ থেকে তারা কিভাবে বের হবে। বিএনপি একেক দিন একেক কথা বলে, সকালে বলে এক কথা, বিকেলে বলে আরেক কথা। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বানিয়েছে, তিনিও থাকেন বিদেশে। তিনি দণ্ডপ্রাপ্ত আবার পলাতক। সাহস থাকে তো বাংলাদেশে আসুন। জেল জুলুম, রাজপথ যারা মোকাবেলা করতে পারে না, এই বাংলার মাটিতে কোন দিন তারা নেতা হতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেতারাও চায়না তারেক জিয়া দেশে আসুক। শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ১৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি সড়কের উন্নয়ন ও সংস্কার কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আড়াইহাজার উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজালাল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ মোল্লা, আড়াইহাজার পৌরসভার মেয়র হাবিবুর রহমান, গোপালদী পৌরসভার মেয়র আব্দুল হালিম সিকদার, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুন্দর আলী, থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সিরজুল ইসলাম ভূঁইয়া, আড়াইহাজার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আলী মোল্লা প্রমুখ। এছাড়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন, তারেক জিয়া রাজনীতি করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পালিয়ে গেছে। সেই কাগজ আমাদের কাছে আছে। মন্ত্রী বলেন, এতদিন পরে একি শুনি মন্থনার মুখে। বিএনপি এখন বলে রাজনৈতিক আশ্রয়। এতদিন শুনেছি চিকিৎসার জন্য রাজনৈতিক আশ্রয়। জোর করে রাজনৈতিক আশ্রয় বানাচ্ছে। সরকার তারেক জিয়াকে দেশে আনতে পারবে না বিএনপির নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বক্তব্যের সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, তার মানে ওনি দেশে থাকবে না। তার মানে বিএনপিও চায়না তারেক জিয়া দেশে আসুক। মন্ত্রী বলেন, নয় বছরের নয় দিনও দেখিনি বিএনপিকে রাস্তায় দাঁড়াতে। এই বছর না ওই বছর আন্দোলন হবে কোন বছর। রোজার ঈদ তার পরে বলে কোরবানির ঈদ। দেখতে দেখতে নয় বছর পার হয়ে গেছে। আন্দোলনের মরা গাঙ্গে জোয়ার আসে না। বিএনপির এখন আন্দোলন নেই আছে শুধু নালিশে। নয়াপল্টনে ঘরের ভেতরে বসে প্রেস ব্রিফিংয়ের নামে নালিশ করা, আর বিদেশী দূতাবাসে গিয়ে নালিশ করে। প্রেস বিফিং করে মিথ্যাচারের ভাঙ্গা রেকর্ড বাজায়। ওবায়দুল কাদের দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, মানুষ কিন্তু আমাদের দিকে সবসময় নজর রাখছে। আমরা কে কি করছি সবই মানুষের নজরে আছে। সংসদ সদস্য বাবু ভাল, কিন্তু তার আশে পাশের মানুষ যদি খারাপ হয় তবে এই ভাল ম্লান হয়ে যাবে। কর্মীরা যদি জনগণের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করেন, তবে একজন জনপ্রতিনিধি কোন অন্যায় না করেও সেই জনপ্রতিনিধিকে খেসারত দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের আর ৬-৭ মাস বাকি আছে। কেউ ক্ষমতার দাপট দেখাবেন না। এটা আমার বিশেষ অনুরোধ। মন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি হৃদয়ের স্মৃতিতে আছে, নিপীড়নের জন্য, অত্যাচারের জন্য, রক্তপাতের জন্য। তারা কত মায়ের চোখের পানি ঝড়িয়েছে, কত পিতাকে সন্তান হারা করেছে, কত পরিবার বছরের পর বছর এ আড়াইহাজারে তাদের জন্য থাকতে পারেনি।
×