ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এলপিজির দাম ঠিক করবে সরকার ॥ জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ২৯ এপ্রিল ২০১৮

এলপিজির দাম ঠিক করবে সরকার ॥ জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম নির্ধারণ করে দিতে চায় সরকার। ক্রমান্বয়ে এলপিজির ব্যবহার বাড়লেও ভোক্তার সুবিধায় সরকার কিছু করছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। এককভাবে এলপিজি আমদানি এবং দামও নির্ধারণ করে থাকেন উদ্যোক্তারা। এতে এলপিজিতে অতিবাণিজ্যের অভিযোগও রয়েছে। বিদ্যুত জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন অচিরেই সরকার উদ্যোক্তাদের জন্য দেশে এলপিজি বিক্রির দাম নির্ধারণ করে দেবে। সরকার নির্ধারিত দামেই গ্রাহক পর্যায়ে এলপিজি বিক্রি করতে হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এলপিজির মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার উদ্যোগ অব্যাহত রাখা হয়েছে। তিনি শনিবার ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পেট্রোম্যাক্স এলপিজির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে বলেন, এলপিজি সংরক্ষণ করে লাইনের মাধ্যমে এপার্টমেন্টগুলোতে বা কমিউনিটি ভিত্তিতে বাড়িতে বাড়িতে দেয়া যেতে পারে। প্রাকৃতিক গ্যাস এবং আমদানি করা এলএনজি শিল্প কারখানায় ব্যবহার করলে বেশি অর্থনৈতিক সুফল পাওয়া যায়। সঙ্গত কারণে শিল্পেই এলপিজি দেয়া হবে। এক্ষেত্রে প্রতিমন্ত্রী আবারও বাসা বাড়িতে গ্যাস সংযোগ না দেয়ার ইঙ্গিত দেন। এর আগে প্রতিমন্ত্রী গৃহস্থালিতে নতুন গ্যাস সংযোগ দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন। এখন এলএনজি এলেও বাসা বাড়িতে নতুন সংযোগ না দেয়ার বিষয়ে সরকার নীতি পরিবর্তন করেনি। এমনকি বাসা বাড়িতে যে গ্যাস সংযোগ রয়েছে সেখানে মারাত্মক সংকট থাকলেও এ বিষয়ে নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে পেট্রোবাংলা। অথচ যত গ্যাস বাসা বাড়িতে সরবরাহ করা হয় তার ৮০ শতাংশের বেশি বিল নেয়া হয়। একটি চুলা ২৪ ঘণ্টা ধরলে যে পরিমাণ গ্যাস প্রয়োজন হয়, তা হিসাব করেই গৃহস্থালির গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয়। এখন পাইপ লাইনে গ্যাস সরবরাহকে একেবারেই নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। গ্যাসের দাম বৃদ্ধিকে এখন অন্তর্ভক্ত না করা হলেও ভবিষ্যতে এই দর বৃদ্ধি করা হবে বলে জানিয়েছেন তিতাস গ্যাস বিতরণ কোম্পানির এক কর্মকর্তা। ওই কর্মকর্তা বলেন, এক্ষেত্রে পাইপ লাইনের গ্যাসের দাম এখকার দ্বিগুণ করা হতে পারে। এতে পাইপ লাইনের গ্যাসের চেয়ে এলপিজি বিক্রয়ই সাশ্রয়ই হবে। এলপিজি বটলিং ও বাজারজাত করার জন্য এ পর্যন্ত ৫৫ কোম্পানিকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তাদের মোট বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ২৩ লাখ ৬০ হাজার টন। অন্যদিকে দেশে এলপিজির বার্ষিক চাহিদা ৩০ লাখ টন। প্রতিমন্ত্রী এ সময় বলেন, এলপিজি ব্যবহার ও বটলিং নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে সরকারের পাশাপাশি এলপিজি কোম্পানিগুলোকেও অবদান রাখতে হবে। নিরাপত্তার বিষয়টি অগ্রাধিকার দেয়া উচিত। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য ডাঃ মোঃ হাবিবে মিল্লাত, সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান, ইয়ুথ গ্রুপের চেয়ারম্যান রেজাকুল হায়দার ও ইয়ুথ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফিরোজ আলম বক্তব্য রাখেন।
×